আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের সপ্তম পর্ব।।
আজ শুক্রবার- ১৫ই বৈশাখ-১৪৩০ বাংলা
সবার সুস্বাস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে আজকে নতুন একটি পোষ্টি শুরু করতেছি,
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,
আমি আজকে আপনাদের সাথে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের সপ্তম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার মনে হচ্ছে আর মাত্র দুই তিনটি পর্বের মাধ্যমেই আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমন পর্ব শেষ হয়ে যাবে। ইতি মধ্যে আমি ষষ্ট পর্বের মাধ্যেমে সত্তরটিরও বেশি ফটো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সব গুলো ফটোই দুর্লব। বর্তমানে এসব জিনিষ তেমন দেখা যায় না। আর ঐ গুলো ছিল আধুনিক যুগের শুরুর জিনিষ পত্র। ঐ জিনিষ গুলোর মাঝে এখন অনেক গুলো বিলু্প্ত হয়ে গেছে,আবার অনেক গুলো পরিবর্তন হয়ে নতুন ভাবে আবিষ্কার হয়েছে।
আজকে আমার জুড়িতে রয়েছে রাজা বাদশাহদের সৌখিন অনেক জিনিষ পত্র। শখের বসে ঘরের সুন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিছু জিনিষ রয়েছে। আবার রয়েছে কিছু বিনোদনের জিনিষ পত্র। এছাড়াও রয়েছে অনেক স্মৃতিময় আসবাব পত্র। জিনিষ গুলো দেখলে বুঝা যায়,যারা জিনিষ গুলো ব্যবহার করেছে তারা মনে হয় ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামে গেছে। কিছু দিন পরেই তারা এসে যেন জিনিষ গুলো আবার ব্যবহার করবে। যায়হোক এক সময় পৃথিবীতে সবাই স্মৃতি হয়েই থাকবে। এসব জিনিষ দেখলে কিছুটা হলে জ্ঞান অর্জন হবে।
আমার মন চাই পৃথিবীর সব জাদুঘর গুলো ঘুরে ঘুরে দেখি। কিন্তু সাধ থাকলেও যাওয়ার মত দেখার মত সাধ্য নেই। পৃথিবীতে কত কিছু আছে। কি দেখলাম জীবনে। ইতিহাস নিয়ে পড়েছি তো তাই পুরাতন জিনিষ দেখলে সে গুলো তথ্য জানার জন্য আমার হৃদয় টানে। যায়হোক এসব কথা বলে লাভ নেই, চলুন ফটো গুলো শেয়ার করি।
ইউরোপ আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত নকশা করা ফুল দানি। এই জিনিষ গুলো বহু বছরের পুরনো। অনেক দামি জিনিষ। যারা বিত্তবান,অঢেল সম্পদের মালিক এক মাত্র তাদের বাসা বাড়িতেই এই জিনিষ গুলো দেখা যায়। এগুলো কিন্তুু সাধারন মাটির তৈরী না। খুব সম্ভবত চিনা মাটি দিয়ে তৈরী।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ১০ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
তৎকালিন আমলে নবাবদের ব্যবহৃত কাঠের সোফা। ড্রেসিং টেবিল ও অন্যান্য আসবাব পত্র। মাঝখানে গোল একটি সোফা দেখতে পাচ্ছেন। এরকম সোফা সেট আর আমি দেখি নাই। কাঠের তৈরী জিনিষ তো এখনও অক্ষত অবস্থায় আছে। আরেকটি জিনিষ খেয়াল করলাম তারা পায়ের নিচেও সোফা দিয়ে বসতো।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ১৫ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এটিতো সবাই চিনেন। এটি হলো বিশাল বড় একটি পিয়ানো। জানিনা এই পিয়ানোটা কে বাজাতো। এই পিয়ানো আমি ঐদিন প্রথম দেখেছিলাম। কত মানুষের হাতের ছোয়াঁ পেয়েছে এটি। অথচ এখন সেই মানুষ গুলো নেই তবে পিয়ানোটা এখনো শত বছরের স্মৃতি বহন করে দাড়িয়ে আছে।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ১৫ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কি নেই এই রাজ প্রাসাদে। এটি হলো ডান্সের রুম। বিশাল বড় ডান্স রুমের দুই পাশে রয়ে সবার জায়গা। তখন তো টেলিভিশন, ডিসপ্লে বা ইন্টারনেট ছিল না। এই রুমটির মাঝখানে নাচ হতো আর চার পাশে বসে মানুষ সেই নাচ উপভোগ করতো। উপরের ছাদের ডিজাইনটা কিন্তুু অনেক সুন্দর।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ২০ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
নাচের সেম্পলের কয়েকটি ফটোগ্রাফি উপরের দেয়ালে লাগানো আছে। তখনকার যুগেও মেয়েরা বিভিন্ন ডিজাইনের কত দামি দামি ড্রেস পড়ে নাচ করতো। এগুলো সব বিদেশি সংস্কৃতি। রাজা বাদশা বা নবাবরা যে প্রচুর পরিমানে আনন্দ উল্লাস করতো, এগুলো তার প্রমান।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ২০ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এখানে মাঝখানের যে চেয়ারটি রয়েছে,সেটিতে নবাব বসতো। আর তার দুই পাশে তার পত্নিরা বসতো। নবাব বা রাজা বাদশাহদের তো অনেক গুলো পত্নি থাকতো। জিনিষের জাগায় জিনিষ পড়ে আছে অথচ মানুষ নেই। এগুলো দেখেও আমাদের শিক্ষা হয় না।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ২০ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এটি হলো নবাবদের ব্যবহৃত একটি খাট। এই খাটটি লোহা দ্বারা বানানো। আমার কাছে কাঠ দিয়ে বানানো নবাবদের ব্যবহৃত এক সেট ফার্নিচার আছে। ডিজাইন দেখলে আপনারা চমকে উঠবেন। এগুলো পরের পর্বে দেখাবো। নবাবরা মনে হয় উচ্চতায় একটু ছোট ছিল। আমার কাছে খাটটি ছোট মনে হয়,হি হি হি।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ০৫ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এখানে দেখা যাচ্ছে নবাবের ব্যবহৃত দুইটি পানি বা ছুরার মগ। এগুলো কিন্তুু সাধারন মগ না। অনেক দামি মগ। আর পাশে পিতলের যে জিনিষটা দেখা যাচ্ছে,এটা কি আমি সঠিক বুঝতে পারতেছি না। তখন তো স্টিকার দেখেছিলাম তবে এখন মনে করতে পারছি না।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ০৫ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন বিষয় নিয়ে। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। ভূল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ রইল। সবাইকে ধন্যবাদ ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
জাদুঘরের নাম | আহসান মঞ্জিল জাদুঘর |
স্থান | আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা । |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ২১-০২-২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আহসান মঞ্জিলে যাব যাব চিন্তা করে এখনো যাওয়া হয়নি তবে অনেকের ভ্রমন পোষ্টে দেখেছি। আজকে আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম আহসান মঞ্জিল এর জাদুঘরের কিছু ফটো চিত্র। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
জী ভাইয়া জায়গাটা অনেক সুন্দর। অনেক স্মৃতি রয়েছি ভিতরে। গেলে অনেক মজা পাবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের সপ্তম পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগল। আসলে ভাইয়া পুরানো দিনের এ সকল জিনিস পত্র বর্তমান বিলুপ্তের পথে। তবে এই পুরনো আসবাব পত্র দেখলে অনেক ভালো লাগে। কাঠের সোফা, খাট, ফুলদানি ইত্যাদি ছবিতে দেখতে অনেক ভালো লাগল। আসলে বাস্তব দেখতে কতই না সুন্দর। যাইহোক ভাইয়া, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু আগের দিনের অনেক কিছু বর্তমানে বিলুপ্ত। জাদুঘরে গেলে কিছুটা বুঝা যায়। ধন্যবাদ আপু।
আহসান মঞ্জিলের কাছে থেকেও এখনো যেতে পারিনি। এর অনেক কাহিনি বইতে পড়েছি তবে সরাসরি দেখা হয়নি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে আহসান মঞ্জিলের রাজা আর নবাব দের অনেক আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন জিনিস দেখতে পেলাম। প্রতিটা জিনিস দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোও খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের সপ্তম পর্ব শেয়ার করার জন্য।
আপু কাছে থাকলে এক সময় সুযোগ করে চলে যাবেন। অনেক ভাল লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
আহসান মঞ্জিল থেকে ধারণ করা আসবাবপত্রের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে যে তখনকার রাজা বাদশারা অনেক বেশি বিলাসিতা ছিলেন অনেক বেশি দামি জিনিস ইউজ করতেন তারা। ফটোগ্রাফি গুলা আপনি দারুণ ভাবে নিয়েছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জী আপু আগের দিনের রাজা বাদশাহরা অনেক বিলাসিতা করেছে। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি। আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের সপ্তম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আহসান মঞ্জিলের অনেক পুরনো জিনিসপত্রের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। তবে আহসান মঞ্জিলের নাচের সেম্পলের ফটোগ্রাফিটি দেখে বেশ মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দারুন একটি ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া ভিতরে কোন কিছুর অভাব নেই। কি জীবন যাপন তারা করেছেন,ভিতরে গেলে সব দেখা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আজ আপনার এই সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো এবং বর্ণনার মাধ্যমে আহসান মঞ্জিল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনি বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের মাঝে আহসান মঞ্জিল সম্পর্কে অনেক পোস্ট করে আসছেন। খুব ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জী ভাইয়া যে ফটো গুলো আছে আরো কয়েকটি পোষ্ট হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।