আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের অষ্টম ও শেষ পর্ব।।
আজ সোমবার, ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি।
সবার সুস্বাস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে আজকে নতুন একটি পোষ্টি শুরু করতেছি,
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,
আমি আজকে আপনাদের সাথে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের অষ্টম ও শেষ পর্ব শেয়ার করবো। ইতি মধ্যে আমি সপ্তম পর্বের মাধ্যেমে আশি থেকে নব্বইটির ও বেশি ফটো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সব গুলো ফটোই দুর্লব যা সব জাগায় দেখা যাবে না। আজকে এমন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো যা দেখে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন।
আমরা যেদিন আহসান মঞ্জিলে গিয়েছিলাম, সেদিন সরকারি ছুটির দিন থাকার কারণে অনেক বেশি মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। আমরা জাদুঘরটির পিছন দিক দিয়ে প্রবেশ করে সমস্ত জাদুঘর ঘুরে সামনের গেট দিয়ে বের হয়েছিলাম। সামনের গেটটি এত সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে যা দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়ে যায়। তখনকার সময়ে এত সুন্দর ডিজাইন অকল্পনীয়। সম্পূর্ণ ভবনের ডিজাইন ও কালার দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। বারবার যেতে মন চাই সেই জাদুঘরে। জাদুঘরের সামনে বিশাল বড় একটি মাঠ রয়েছে। সেই মাঠে বসে আড্ডা দিতে দারুন লাগে। মাঠের পরেই রয়েছে বুড়িগঙ্গা নদী। মাঠের মাঝে ঘাসের উপরে বসলে ধারুন একটি অনূভুতি ফিল হয়। বুড়িগঙ্গা নদীতে যখন পানি বেশি থাকে তখন বেশি ভাল লাগে। আর পাশেই সদরঘাট থাকার কারনে লঞ্চের আওয়াজও শুনা যায়।
এটি হলো নবাবের ব্যবহৃত গাড়ি। এই গাড়ি ব্যবহার করে নবার তার রাজ্যে ভ্রমন করতো। বিভিন্ন জাগায় আসা যাওয়া করতো। সেই স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্যই এমন একটি গাড়ি তৈরী করে জাদুঘরে রাখা হয়েছে। পুরাতন ডিজাইনরে গাড়ি হলেও দেখতে কিন্তুু দারুন।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ০৫ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এটি হলো নবাবের ব্যবহৃত ঘোড়ার গাড়ি। গাড়ি,ঘোড়া,মানুষ গুলো এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যে দেখলে বুঝা যায় নবাব এখন ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাস্তবের মত মনে হচ্ছে।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ১০ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এটি হলো নবাবের ব্যবহৃত কাঠের নৌকা। নবাবের নৌকাটি দুই তলা বিশিষ্ট ছিল। উপরে ঘরের টিনের চালের মত ডিজাইন করা হয়েছে। উপরের দিকে তাকালে বুঝা যায় টিনের ঘর আর নিচের দিকে তাকালে বুঝা যায় নৌকা।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ১৫ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এটি হলো নবাবের ব্যবহৃত জাহাজ। এই জাহাজটিগে চড়ে নবার নদী ভ্রমন করতো। এই জাহাজটিও দুই তলা বিশিষ্ট। জাহাজের ডিজাইনটি দেখে আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। জাহাজ তো নয় যেন রাজপ্রাসাদ।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ২০ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এটি নবাবের ব্যবহৃত খাট কিনা জানি না। তবে খাটের ডিজাইনটি দেখে আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। আমি চিন্তা করেছি এই ডিজাইনের একটি খাট অর্ডার দিয়ে বানিয়ে আনবো। খাটের সামনের ডিজাইনটি বেশি সুন্দর।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ২৫ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এটি হলো নবাবের ব্যবহৃত গোসলখানা বা ওয়াশ রুম। অপনারা দেখেতে পাচ্ছে বিশাল বড় একটি লোহার কড়াই। সম্ভবত এই কড়াইতে গরম পানি রাখা হতো। সম্পূর্ণ ওয়াশ রুম টাইলস করা। তখনকার সময়ে টাইলস ছিল। ভাবা যায় এগ্লা।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
আহসান মঞ্জিলের সামনে মাঠের মধ্যে ঘাসের উপর বসে ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। এত মানুষ নিজের একটি ফটোগ্রাফি করার সুযোগ নেই। যায়হোক মোটামুটি ভালই সময় কাটিয়েছি। ভালই লেগেছে। আপনারা যারা এখন জাদুঘরটিতে ঘুরতে যান নি, সুযোগ করে একবার গিয়ে ঘুরে দেখে আসবেন।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৫ টা ০৫ মিনিট
স্থান : আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন বিষয় নিয়ে। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। ভূল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ রইল। সবাইকে ধন্যবাদ ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
জাদুঘরের নাম | আহসান মঞ্জিল জাদুঘর |
স্থান | আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা । |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ২১-০২-২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/ArianKh29670721/status/1663228616518537217?s=20
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের শেষ পর্ব পড়ে অনেক ভালে লাগলো ভাইয়া ৷ জাদুঘর ঘুরে ঘুরে জাদুঘরের জিনিসপত্রের দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সুন্দর বিবরণের মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো এতো কিছু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেরে ৷ যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে দেওয়া জন্য ৷
জী ভাইয়া জাদুঘরে অনেক জিনিষ পত্র ছিল। দেখে ভালই লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের অষ্টম পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগল। আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে অনেক কিছু দেখতে পেলাম। আসলে খাটের ডিজাইনটা অনেক সুন্দর লাগছে। ঘাসের উপর বসে এভাবে ফটোতুলতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু খাটের ডিজাইনটা আমার কাছেও খুবই ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের অষ্টম ও শেষ পর্ব দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমার এখনো সেখানে ভ্রমণ করা বাকি আছে। তবে আপনার ভ্রমণ দেখে অনেক ভালো লাগলো আর সাথে রাজাদের বিভিন্ন ধরনের নিদর্শন দেখতে পাচ্ছি। ঘোড়ার গাড়ি, নৌকা, জাহাজ এই নিদর্শন গুলো দেখতে খুবই সুন্দর। ধন্যবাদ আহসান মঞ্জিলে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপু এক সময় সুযোগ করে ঘুরে আসবেন। ভাল লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
আহসান মঞ্জিলে ভালই তো ঘোরাঘুরি করছেন আর দেখে তো আমারই যেতে ইচ্ছা করছে । খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করেছেন । নবাবের ব্যবহৃত ঘোড়ার গাড়িতে আমার তো চড়তে মন চাইছে মনে হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি করে দূরে কোথাও ঘুরে আসি। আর ওয়াশরুম টাও অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে।
ঘোড়ার গাড়িটা সত্যিই দারুণ। কিন্তুু সেটা নকল,হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।
বাহ! দেখতে দেখতে আপনি আহসান মঞ্জিলের ঘোরাঘুরির অষ্টম তম পর্ব শেয়ার করলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই পর্বতেও আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বর্ণনা সহকারে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি ঘোরাঘুরি মুহূর্তে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু অষ্টম পর্ব দিয়ে আহসান মঞ্জিলের অধ্যায় শেষ করে দিলাম। ধন্যবাদ আপু।
আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের ভ্রমণের ঘোরাঘুরি করার পোস্ট টা খুবই উপভোগ করলাম পড়ার সময়। নবাবের ব্যবহারিত বিভিন্ন রকম জিনিসপত্রের ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। দুটি গাড়ি দেখে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এগুলো সত্যিকারের এবং রাজাকে নিয়ে যাচ্ছে। নৌকার মধ্যে এবং জাহাজের মধ্যে দুই তলা ঘর করা হয়েছে এই দৃশ্যটি অসম্ভব সুন্দর ছিল। নবাবের ব্যবহারিত খাটটির ডিজাইন ও অসম্ভব সুন্দর। সব মিলিয়ে আপনার ঘুরাঘুরি করার পোস্ট খুব সুন্দর উপভোগ করেছি। শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
জী ভাইয়া জায়গাটাতে ঘুরে খুব ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ কিছুদিন ধরে আপনি আমাদের মাঝে আহসান মঞ্জিলের বিশেষ বিশেষ অংশ উপস্থাপন করছিলেন। আমার দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু ধারনা লাভ করলাম এবং দেখতে পারলাম। খুবই ভালো লেগেছে প্রত্যেকটা পোস্ট আজকের শেষ হয়ে গেল তাই যেন একটু কেমন লাগছে। যাক অনেকগুলো তথ্য জানতে পেরে খুব খুশি হলাম।
জী ভাইয়া অবশেষে আহসান মঞ্জিল ভ্রমন পর্ব শেষ করে দিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছিলেন আপনি দেখেই বুঝতে পারছি। আজকে অষ্টম এবং শেষ পর্বের মাধ্যমে আহসান মঞ্জিল ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তটা শেষ করেছেন। খুবই ভালোই উপভোগ করলাম আপনার পুরোপুরি ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তটা পড়ে। অনেক কিছুই দেখতে পারলাম আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে। নবাবের গোসলখানা, ব্যবহারিত খাট, ঘোড়ার গাড়ি, রাজ্য ভ্রমণের গাড়ি, জাহাজ, নৌকা সবকিছু আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে সত্যি আমি একেবারেই মুগ্ধ। এরকম একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।
জী আপু নবাবের এ টু জেট সব কিছু জাদুঘরে রয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।