রাত তখন ১২.৩০।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে রাত বারোটার ট্রেন জার্নির গল্প শেয়ার করবো।
মানুষের জীবনটা বড়ই অদ্ভুত। জীবনে কখন কি ঘটে সেটা বুঝা বড়ই মুশকিল। গতকাল যা ঘটেছে সেটা অকল্পনীয়। প্রতিদিনের মত গতকালও অফিসে গিয়েছিলাম। সারাদিন ভালোই অফিস করলাম। সন্ধা সাতটার দিকে বাসায় আসি। অফিসে এসি থাকায় বাহিরের গরমটা তেমন বুঝা যায় না। তবে সন্ধ্যার পরে অফিস থেকে বের হয়ে হেঁটে বাসায় গেলে তখন গরমটা বুঝা যায়। তো অফিস থেকে বাসায় গিয়ে ফ্যানটা ছেড়ে খাটের উপর শুয়েছি, এমন সময় শশুর বাড়ি থেকে ফোন আসে।
শুক্রবারে আমার ওয়াইফের বড় ভাইয়ের ছেলের আকিকার অনুষ্ঠান করবে। আমি যেন ইমিডিয়েটলি চলে আসি। হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বড় দুলাভাই আগামী সাপ্তাহে বিদেশ চলে যাবে। যার ফলে হঠাৎ এই আকিকার অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন হঠাৎ করে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কিভাবে যাবো। একবার চিন্তা করলাম সকালে যাবো। আবার চিন্তা করলাম বাড়ি যেহেতু ব্রাহ্মণবাড়িয়া এত টেনশন কিসের।
সাড়ে আটটার সময় সব কিছু গুছিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। কারন আমি জানি যে ৯.২০ মিনিটে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন ও ১১.১৫ মিনিটে তুর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেন আছে। আল্লাহর উপর ভরসা করে কমলাপুরের উদ্দেশ্য গাড়িতে উঠলাম। সাড়ে আটটার সময় কমলাপুর এসে দেখি মহানগর এক্সপ্রেস পাঁচ নাম্বার লাইনে দাড়নো। একটি স্ট্যান্ডিং টিকেট নিয়ে একটি এসি বগির ১ নাম্বার সিটে গিয়ে বসে পড়লাম।
৯.৩০ মিনিটে ট্রেন ছাড়লো। আমি যেই সিটে বসেছি সেই সিটের মালিক কমলাপুর থেকে ট্রেনে উঠে নাই। বিমানবন্দর স্টেশনে ৩/৪ মিনিট বিরতি দিয়ে চলতে লাগলো আমি বসেই রইলাম। নরসিংদী পার হয়ে ভৈরব স্টেশন আসার পরে সিটের মালিক আসলো। তখন রাত ১২ টা বাজে। রাত ১২.৩০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসে নামলাম।
তখন স্টেশনে মানুষের সংখ্যা খুবই কম ছিল। জেলা সদরের স্টেশন তারপরেও দেখতে পাচ্ছেন মানুষ কম। ফ্লাইওভার নিচে এসে দাড়াতেই একটি অটো এসে দাড়ালো, সেটাতে চড়ে কাউতলি মোড়ে এসে মিষ্টি জাতীয় খাবার নিলাম। তারপরে অটোতে চড়ে সোজা বাসায়।
বাড়ি যেহেতু ব্রাহ্মণবাড়িয়া যত রাতই হোক না কেন কোন চিন্তা নেই। বাস না থাকলেও ট্রেন আছে। আর ট্রেন জার্নি সব থেকে আরামদায়ক। আর আমার কাছেও ভালো লাগে। গতকালকের ট্রেন জার্নিটা খুবই ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠানেও ভালোমন্দ খাওয়া দাওয়া হলো,আলহামদুলিল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ২৪-০৪-২০২৫ |
সময় | রাত -১২.৩০ মিনিট |
স্থান | রেলওয়ে স্টেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া , ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
এত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে নেমে আপনি যে মিষ্টির দোকান খোলা পেয়েছেন সেটাই আমার কাছে বেশ আশ্চর্য লাগল।
এই ধরনের হঠাৎ জার্নিগুলো জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে এবং আমাদের অনেক পরিণত করে তোলে। আপনারও বোধ করি সেরকমই অনুভূতি হয়েছে।
জী ঠিক বলেছেন হঠাৎ জার্নি গুলো থেকে অনেক ধরনের শিক্ষা অর্জন করা যায়।
https://x.com/RamimHa74448648/status/1915814670310740276?t=yOF9ZAfE-0keRpGPWZrEEQ&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1915815455253795324?t=PowBa8m5KVbA0Q2hrsFO8g&s=19