হিমছড়ির ঝর্ণা দেখতে গিয়ে....।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। বন্ধুরা গত পর্বে আপনাদের সাথে আমি বলেছিলাম আমরা অনেকগুলো সিঁড়ি পাড়ি দিয়ে হিমছড়ি পাহাড়ের উপপিষ্টে আরোহন করেছিলাম। হিমছড়ি পাহাড়টি অনেক বড়। আপনাদের মধ্যে যারা গিয়েছেন তারা অবশ্যই এ বিষয়টা জানেন।
হিমছড়ি পাহাড় কে কেন্দ্র করে আরো একটি জিনিস রয়েছে। যে জিনিসটা সবাইকে আকর্ষণ করে। আর সেটা হলো ঝর্ণ। হিমছড়ির ওয়েবসাইটে ও সেখানে সাইনবোর্ড লেখা আছে বাংলাদেশের একমাত্র শীতল পানির ঝর্ণা রয়েছে সেখানে। ঝর্ণা দেখার আকর্ষণে আমরাও অনেক দূর থেকে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু ঝর্ণা দেখতে গিয়ে আমরা যা দেখলাম তা দেখে আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ঝর্না দিয়ে কি পরিমান পানি পড়ছে। এটা দেখে যে কেউ বুঝতে পারবে বর্তমানে এটা একটি কৃত্রিম ঝর্ণ। মটরের সাহায্যে এখান দিয়ে পানি ফেলানো হচ্ছে। আর পানির অবস্থা কি বাজে, যখন বৃষ্টি থাকে তখন হয়তো ওরজিনাল ঝর্ণার রোপ দেখা দেয়। এখন ঝর্ণা দিয়ে যে পরিমাণ পানি পড়ছে সেটা দেখার জন্যই অনেক দর্শনার্থী ঝর্ণার দিকে ছুটে যাচ্ছে। আমরা দূর থেকে তাকিয়ে একটু দেখে ফেরত চলে এসেছি। কারণ এই ঝর্ণা দেখে সময় নষ্ট করার মত সময় আমাদের নেই।
এ রাস্তা দিয়ে হেটে হেঁটে ঝর্ণার দুকে যেতে হয়। এখানে বসে দর্শনার্থীরা রেস্ট নিতে পারে। আবার বাচ্চারা খেলাধুলা ও করতে পারে। এখানে বিভিন্ন প্রাণীর আকৃতির কিছু ডাস্টবিন রয়েছে। যেগুলো দেখে বাচ্চারা আনন্দ উল্লাস করে থাকে। যখন পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়,তখন হয়তো এই ঝর্ণাটি তার হারানো গৌরব ফিরে পেতে পারে।
হিমছড়ি পাহাড়ে ওঠার আগে রাস্তার পাশে বেশ কিছু শপ রয়েছে। এ শপ গুলোতে বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ি মালামাল পাওয়া যায়। সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন ধরনের ঝিনুকের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সেখানে সবচেয়ে বেশি যেটা দেখলাম সেটা হল আচার। দোকানগুলোতে পাহাড়ি উপজাতিরা তাদের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকে। আমাদের মধ্যে দু এক জন এখানে কেনাকাটা করেছে। আমরা জুম্মার নামাজ শেষ করে আমাদের রিজার্ভ করা অটো নিয়ে আমরা আমাদের হোটেলের দিকের রওনা করলাম। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য হলো ভার্মিজ মার্কেট। দেখা হবে পরের পর্বে, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৭-০১-২০২৫ |
সময় | দুপুর ১২.৩০ মিনিট |
স্থান | হিমছড়ি,কক্সবাজার |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
হিমছড়ি এখন আর আগের মত নেই। আর কৃত্রিম ঝর্ণা না দিয়েই বা কি করবে পর্যটককে আকৃষ্ট করার জন্য তারা কত কি করছে। গতবার যখন গিয়েছিলাম হিমছড়ির উপরের দিকে আর গেলাম না, আসে পাশে ঘুরাঘুরি করে সেখান থেকে ব্যাক করলাম। ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আমি যদি আর কোন সময় যাই তাহলে হিমছড়ি যাওয়ার কোন পরিকল্পনা নাই। সেখানে দেখার মত কিছু নেই। ধন্যবাদ।
জি একদম ঠিক ভাই।।আমি ২বার গিয়েছি এর পর আর একবার ও যাইনি।
Done

হিমছড়ি ঝরনা দেখতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সেখানে আমার কখনো যাওয়া হয়নি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটা খুব সুন্দর। আপনার কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো। সেখানে আপনার অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বে বার্মিজ মার্কেটে কাটানো মুহূর্তগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
যে জায়গাটা সত্যিই অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ।
কক্সবাজারে এমন অনেক সৌন্দর্য থাকে যেগুলো আমরা উপভোগ করে থাকি৷ এই সৌন্দর্য উপভোগ করার মধ্যে যে আলাদা একটি আনন্দ থাকে সেটি একেবারে অসাধারণ হয়ে থাকে৷ আর আজকে যেভাবে আপনি হিমছড়ির ঝরনা দেখার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগছে৷ এখানে আপনি সবকিছু খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷
এই জায়গা গুলো সুন্দর্য উপভোগ করে শেষ করা যাবে না। বারবার যেতে মন চাইবে। ধন্যবাদ।
কক্সবাজার হিমছড়িরসৌন্দর্য আমাকে বারবার টানে।