বাৎসরিক বনভোজন উপলক্ষে কক্সবাজার ভ্রমন- হিমছড়ি পর্ব।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কক্সবাজার ভ্রমন পঞ্চম পর্ব শেয়ার করবো। আজকের পর্বে থাকবে হিমছড়ি ভ্রমনের অনুভূতি।
বন্ধুরা আমি এগারোটার দিকে বিচ থেকে হোটেলে এসে গোসল করে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। তারপর বাকি সদস্যরা একে একে সবাই আসলো। গোসল করে সবাই হালকা নাস্তা করে নিলো। তারপর সবাই হিমছড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিলো। কেউ কেউ চাঁন্দের গাড়ি দিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। কিন্তু সবাই হিমছড়ি যাবে না। কারন অনেকে আগেই হিমছড়ি ঘুরে এসেছে। তাছাড়া সবাই একসাথে যাওয়া সম্ভব নয়, কারন সবাই একসাথে ফ্রেশ হতে হতে ১ টা বেজে যাবে। শুক্রবারে আবার নামজ পড়তে হবে। সেই কারনে পাঁচ জন দশজন করে যে যেভাবে পারে সে ভাবেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো।
তারপর আমরা যারা আগে ফ্রেশ হয়ে গেছি তারা হোটেল থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে দাড়ালাম। কিভাবে যাওয়া যায় গাড়ি দেখতে লাগলাম। চাঁন্দের গাড়িতে যেতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আমরা মাত্র ছয়জন রাস্তায় এসে দাড়ালাম আর তাছাড়া আমরা ইনানী বিচেও যাবো না। শুধু হিমছড়ি ঘুরে চলে আসবো। সে জন্য আমরা অটোরিকশা ঠিক করলাম। ছয়জন হিমছড়ি যাবো সেখানে এক ঘন্টা থাকবো তারপর এই অটোরিকশা দিয়েই আবার চলে আসবো। এভাবে কথা বলে অটো রিজার্ভ করা হলো।
অটোতে ছয়জন বসে হোটেলের সামনে থেকে হিমছড়ির উদ্দেশ্য রওয়ানা হলাম। কলাতলি মোড়ে গিয়ে কঠিন জ্যামের মধ্যে আটকে গেলাম। আট-দশ মিনিট জ্যামে আটকে আবার চলতে লাগলো। মেরিন ড্রাইভে গিয়ে দারুণ একটি অনুভূতি ফিল হলো। এক পাশে বিশাল পাহাড় অন্য পাশে বিশাল সমুদ্র। সমুদ্রের বিশাল বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আচড়ে পড়ছে। রাস্তার পাশে বিশাল বড় বড় ঝাউ গাছ দাড়িয়ে আছে, পরিবেশ টা খুবই সুন্দর। তবে আমাদের ভুল হয়ছে, চান্দের গাড়িতে গেলে বেশি ভালো লাগতো। গ্রুপ হয়ে চান্দের গাড়ি দিয়ে গেলে মেরিন ড্রাইভে বেশি আনন্দ পাওয়া যায়।
কলাতলি মোড় থেকে প্রায় বিশ মিনিট যাওয়ার পরে আসে হিমছড়ি ঝর্না ও ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র। অটো থেকে নেমে সাগরের দিকে তাকালে দৃশ্য টা দারুণ লাগে। তারপর ধীরে ধীরে ভিতরের দিকে গেলাম। টিকেট কাউন্টারের সামনে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। আমি দুটি টিকেট নিলাম। একটি আমার আর একটি এক কলিগের। প্রতি টিকেটের মূল্য ৩৫ টাকা করে রাখে। জায়গা অনুযায়ী টিকেট মূল্য অনেক বেশি। এখানে যা আছে তা দেখতে সর্বউচ্চ টিকেট মূল্য ২০ টাকা হতে পারে। ঠিকাদার কত টাকা দিয়ে লিজ নিছে আর জনগন থেকে কত টাকা আদায় করছে এই বিষয় টা খতিয়ে দেখে না কেউ। এটাই বাংলাদেশ।
যায় হোক টিকেট নিয়ে ভিতরে গিয়ে কি কি দেখলাম পরের পর্বে সেটা শেয়ার করবো। আজকে আর কথা বাড়াবো না। এখনই বিদায় নিবো, সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৭-০১-২০২৫ |
সময় | দুপুর ১২.৩০ মিনিট |
স্থান | কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Task Done
কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। তাছাড়া সবাই মিলে একসাথে ঘুরতে গেলে বেশ ভালো লাগে। অনেক মজা হয় সবাই মিলে একসাথে ঘুরতে গেলে। সবাই মিলে ফ্রেশ হয়ে একসাথে বেরিয়েছেন এবং খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন সমুদ্রের পাড়ে। সমুদ্রর পাড়ের সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করলে মনটা ফ্রেশ হয়ে যায় আর খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ঘুরতে যাওয়ার এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
জী সমুদ্র পাড়ে সময় কাটালে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
কক্সবাজার অনেক সুন্দর একটি জায়গা এবং এখানে ঘুরাঘুরি করার মধ্যে একটি আলাদা আনন্দ থাকে৷ আর আজকে আপনার কাছ থেকে এই ভ্রমণের আরো একটি পর্ব দেখে খুব ভালোই লাগছে৷ এখানে আপনি হিমছড়ি ভ্রমণ করেছেন এবং এখানে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সব কিছুই শেয়ার করেছেন৷ খুব ভালোই লাগছে৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
জী ভাই কক্সবাজার ভ্রমনের একটি অংশ হিমছড়ি। ধন্যবাদ।