ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার প্রথম পর্ব।। (প্রাথমিক প্রর্যায়ের পরিদর্শন)
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পোষ্টটি হবে বনভোজন সম্পর্কে। চলুন মূল আলোচনা শুরু করি।
আপনারা হয়তো সবাই জানেন আমাদের অফিস থেকে প্রতি বছর বন ভোজনের আয়োজন করা হয়। আমরা গত বছর ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর গিয়েছিলাম। সেই ছবি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। এই বছরও আমাদের অফিস থেকে বনভোজনে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিকে এই বছর দুরে কোথাও যাওয়ার প্রোগ্রাম করা হয়েছিলো। আমি প্রস্তাব দিয়েছেলাম এই বছর বাংলাদেশের সূর্য কন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার জন্য। তবে একদিনে গিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসতে কষ্ট হয়ে যাবে তাই সেটা ক্যানসেল করা হয়েছে।
আমি আবার দ্বিতীয় প্রস্তাব দিয়েছিলাম চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডে যাওয়ার জন্য। সেখানেও অনেকের বাধা আসলো। কেউ কেউ বলতে লাগলো অনেকই বউ বাচ্ছা নিয়ে যাবে। তারা সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে উঠতে পারবেনা। তাই সেটাও বাতিল করা হলো। সবাই ঢাকা শহেরর আশে পাশে কোথাও যাওয়ার প্রস্তাব দিলো। কেউ কেউ আবার কুমিল্লা কুটবাড়ির ঐতিহাসিক শালবন বিহার যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলো। তবে সেটাতে আমি দ্বিমত পোষন করলাম। কারণ আমি এর আগে একবার কুটবাড়িতে গিয়েছেলাম তেমন কোন মজা পায় নি। অবশেষে সর্বসম্মতিক্রমে ঢাকার পাশে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো।
যদিও আমি সোনারগাঁয়ে একবার গিয়েছিলাম। তারপরও বাচ্ছাদের কথা চিন্তা করে সেখানে যাওয়ার জন্য রাজি হলাম। সবাই মিলে আমাকে আর আমার এক কলিগকে দায়িত্ব দিলো কিভাবে যাওয়া যায়,কোথায় খাওয়া যাবে ইত্যাদির আয়োজন করতে। প্রথম দিকে সবাই যদিও বলেছিলো ঐখানে গিয়ে রান্না বান্না করে খাবে। তবে আমি মনে মনে চিন্তা করে দেখলাম সেখানে গিয়ে রান্না করে খেলে আমার উপর চাপটা বেশি হয়ে যাবে। এক সাপ্তাহে আমার বারোটা বেজে যাবে। তাই আমি বললাম আগে আমাদের ঐখানে যেতে হবে। তারপর কিভাবে কি করা যায় সেটা পরে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সবাই আমাদেরকে প্রতিনিধি হিসাবে পাঠালো। আমরা গত বৃহস্পতিবারে প্রাথমিক প্রর্যায়ে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।
Device-Redmi Not-7
Date-19.01-2023 Time-5.00pm
আমি আর আমার কলিগ পরিদর্শনে যাওয়ার সময় বাসে বসে একটি পিক নিলাম। আমাদের অফিস থেকে সোনারগাঁও যাদুঘরে যেতে ৫৫ টাকা ভাড়া লাগে। যদি কোন জ্যাম না লাগে তাহলে সময় লাগে ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট।
Device-Redmi Not-7
Date-19.01-2023 Time-5.00pm
সোনারগাঁয়ের পাশে রয়েছে ঐতিহাসিক পানাম নগর। আমরা পানাম নগর যাওয়ার প্লানও আছে। সময় পেলে পানাম নগর ঘুরতেও যাবো। যাদুঘরে গিয়ে পানাম নগর না গেলে আফসোস থেকে যাবে।
Device-Redmi Not-7
Date-19.01-2023 Time-5.00pm
আমরা কয়েকটি পিকনিক স্পট ঘুরে যাচায় বাছায় করে রুপসী বাংলা পিকনিক স্পটটি ভাড়া করলাম। আমরা খাওয়া দাওয়া সহ সব কিছু এক সাথে রুপসী বাংলা পিকনিক স্পটের সাথে কন্টাক্ট করে নিলাম। আমারা যাদুঘরে ঘুরাঘারি করে এখানে এসে খাওয়া দাওয়া করবো, অনুষ্ঠান করবো।
Device-Redmi Not-7
Date-19.01-2023 Time-5.00pm
জায়গাটি অনেক বড় গ্রামীন পরিবেশ। পাশেই পঞ্চাশ বিঘা জমি নিয়ে একটি বড় দিঘী রয়েছে। আজকে সব কিছু সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করলাম। পরে কয়েকটা পর্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা আগামী ২৭.০১.২০২৩ ইং রোজ শুক্রবারে বনভোজন করতে সোনারগাঁও যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইল।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এসব বিষয়ে ডিশিসন নিতে গেলে অনেকজনের অনেক রকম মত আসেই।কারণ,সবাই চায় তাদের কথাটা রাখা হোক।তবে সবশেষে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা অবশ্যই ভালো হয়।
আগামী ২৭ তারিখ ভালো কাটুক আপনাদের।শুভ কামনা রইলো।
জী ভাইয়া বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মতামত পেশ করে। এগুলো আয়োজন করা অনেক জামেলা। তারপরও করতে হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কতদিন যে পিকনিকে যাওয়া হয়নি বিষয়টা আমার মাথায় নাই। কুয়াকাটাই যাওয়া হয়নি তাতে কি হয়েছে যে জায়গাটিতে গিয়েছে সেটাও দারুন সুন্দর একটা জায়গা। আপনার পিকনিকে যাবার পোস্ট দেখে আমার নিজেরও যেতে ইচ্ছে করছে।
ভাইয়া আমরা প্রতি বছরই যায়। আপনি তো আপনার স্কুল থেকে ইচ্ছা করলে যেতে পারবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া এখানে পিকনিক করলে কিন্তু আমাকে নিতে হবে। তা না হলে পিকনিক বন্ধ। যতই জায়গা ঠিক করে আসেন। আমার শ্বশুর বাড়িতে পিকনিক করবেন আর আমাকে নিবেন না তাই কি হয়, বলেন তো। অনেক সুন্দর পিকপিনক স্পট চয়েজ করেছেন। আসলে সোনার গায়েঁর প্রতিটি জায়গাই বেশ সুন্দর। আমার তো মনে হয় প্রতিদিন ঘুরতে যাই। দোয়া রইল আপনাদের পিকনিক যেন আনন্দ ময় হয়।
আপু আপনার শশুর বাড়িতো সেখানে আমার মনেই ছিল না। যায়হোক আপনার দাওয়াত রইল। শুক্রবারে চলে আসবেন। ধন্যবাদ আপু।
বাহ,ভারী সুন্দর নাম তো।সেখানে কি শুধু ইলিশ মাছ পাওয়া যায় ভাইয়া?বাপরে, সবার প্রস্তাব বাতিল করে শেষমেশ সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।গাছগুলো সুন্দরভাবে লাগানো।দীঘি দেখার অপেক্ষায় রইলাম, ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে অনেক ইলিশ পাওয়া যায়। আর বনভোজনের পর্বটার আপডেট পাবেন। ধন্যবাদ আপু।