ভ্রমণ: বঙ্গ এগ্রো পার্ক পর্ব-২।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটি বন্ধুরা
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজ রবিবার, ১ জুন ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বঙ্গ এগ্রো পার্ক ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব। আবু রায়হানের বয়স যখন মাত্র চার মাস তখন আমি এই ভ্রমণটা করেছিলাম আর এটা ছিল আমার কাছে আবু রায়হানকে নিয়ে সব থেকে আনন্দের ভ্রমণ। তাছাড়া পরিবারের সাথে একসাথে কোথাও ঘুরতে গেলে একটু বেশি ভালো লাগে। যদিও এর আগে আমি আপনাদের মাঝে একটি পর্বে শেয়ার করেছি তাই আমার মনের অনুভূতি অনেকটাই আপনারা বুঝে গেছেন। বঙ্গ এগুলো পার্কের ভেতরে ঢুকে আমরা বিভিন্ন ফুলের গাছ এবং বড় বড় পুকুর দেখতে পেলাম। তাছাড়া ঈদের সময় ছিল অনেক মানুষ। আমরা রোজার ঈদে গিয়েছিলাম ঈদুল ফিতরে। আবু রায়হানের প্রথম ঈদ ছিল এটা তার সাথে প্রথম ঘোরাঘুরি তাই সব মিলিয়ে খুব সুন্দর এবং আনন্দের মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। আজকে আপনাদের মাঝে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছি এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনের আনন্দ অনুভূতিটা আরো বেড়ে গেল।
সত্যি বলতে গেলে কোথাও ঘুরতে গেলে যখন পরবর্তী সময়ে ফটোগ্রাফি গুলো দেখা হয় তখন যেন আরো বেশি ভালো লাগে আর জায়গা গুলোর কথা আবারও মনে পড়ে যায় তাই একটু বেশি আনন্দ পাওয়া যায়। আমরা ভেতরে ঢুকেই কিছু ফটোগ্রাফি করিনি এরপর আমি কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করতে শুরু করি। এদিকে আমার ছোট বড় বোনরা আমার ছেলেকে নিয়ে বিভিন্ন স্টাইলের ছবি তুলতে শুরু করে দেয়। তবে সেইসব ছবি এখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করব না পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব। আজকে আমার ধারণ করা কয়েকটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। সর্বপ্রথম আমি আবু রায়হান কে ধরে রেখেছিলাম সেই ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তখন আবু রায়হান মাত্র চার মাস বয়স ঠিকভাবে দাঁড়াতে ও পারে না। আর চার মাসে তো বসাও শিখে না ভালো করে বাচ্চারা।
এরপর আমার ছোট বোনের সাথে আবু রায়হানের সুন্দর একটি ছবি। তাছাড়া আমরা সবাই মিলে অনেকগুলো ছবি তুলেছি কিন্তু সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার মতো অবস্থা নেই কেননা আমরা অনেকেই একসাথে রয়েছি আর সবাই ইচ্ছে মতো করে ছবি তুলেছি। তারপর আমার মেজর চাচার মেয়ের কয়েকটা ছবি তুলে দিলাম। এরপর আমরা সবাই মিলে অনেকগুলো গ্রুপ ছবি তুলে নিলাম। কেননা সময় তো তার ইচ্ছেমতো চলেই যাচ্ছে কখন কার কি হয়ে যায় আবার কবে আমরা এভাবে একসাথে থাকব তারও ঠিক নেই। আর সবাই মিলে যখন একসাথে ঘুরতে এসেছি সুন্দর করে তো ছবি তুলতে হবে। তবে সব থেকে আনন্দের বিষয় আমাদের সাথে দুই জন ছেলেমানুষ ছিল একটা হচ্ছে আমার বড় আপুর হাজবেন্ড এবং আমার ছেলে। ওরা একসাথে আমাদের পথ দেখাচ্ছিল কোন দিকে যাব কি করব।
এদিকে আবু রায়হান ও ছোটবেলা থেকে ছেলেমানুষ ভীষণ পছন্দ করে মানে বিশেষ করে বাইরে যেতে। আমরা মেয়েরা তো সেভাবে বাইরে যায়নি সব সময় ঘরের মধ্যেই থাকে আর ছেলেরা বাইরে ঘোরাফেরা করে তাই আবু রায়হান ছেলেদের সাথে চলাফেরা করতে বেশি পছন্দ করে। আবু রায়হান বাইরে ঘুরতেও ভীষণ পছন্দ করে। ওর সাথে আমি অনেক জায়গায় ভ্রমণ করছি তবে এটা হচ্ছে সবথেকে প্রথম ভ্রমণ। এরপর একদম শেষে আমি কয়েকটা ফুলের ফটোগ্রাফি করি আর সেখান থেকে একটু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। তবে আরো কিছু ছবি আছে আবু রায়হানের এবং আমাদের একসাথে সবগুলো আপনাদের মাঝে অন্য একটি পর্বে শেয়ার করব। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.