"বিছনাকান্দি থেকে জাফলং যাত্রার- ২য় পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৫ ই সেপ্টেম্বর, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
এবার সিলেট ভ্রমণ করে আমরা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে অনুভব করতে পেরেছিলাম। আমাদের জীবনকে চার দেওয়ালের মাঝে বন্দী না রেখে জীবনকে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিয়ে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে অনুভব করাতে হবে। আর এমনটা করাতে পারলে আমাদের জীবনটা সুন্দর হয়ে উঠবে। ভ্রমণ প্রিয় মানুষ শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের ভ্রমণ করার সময় বের করে নেয়।
আমরা নৌকা ঘাটে পৌঁছানোর পর সেখানে কিছু সময় অপেক্ষা করি নৌকার জন্য। সকালে যেহেতু বাসা থেকে খেয়ে বের হয়ে ছিলাম না তাই বেশ ভালোই ক্ষুধা লেগে গিয়েছিলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় আশেপাশে কোন ভালো হোটেল বা রেস্টুরেন্ট না থাকার কারণে আমরা ভারী কোন খাবার খেতে পেরেছিলাম না।
নৌকা ঘাটের সাথেই থাকা একটা ছোট্ট দোকান থেকে আমরা কলার পাউরুটি দিয়ে সকালের হালকা নাস্তা সেরে নিলাম। যদিও এমন খাবারে আমার পেট ভরল না। কারণ আমি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গরম গরম ভাত খেতে খুব পছন্দ করি। এক কথায় ভাব বাদে যেটাই খায় না কেন আমার মনের মত হয় না।
কিন্তু পরিস্থিতি আমাদেরকে মানিয়ে নিতে শেখায়। এমন একটা জায়গা দিয়ে জাফলং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সেখানে সকাল সকাল গরম ভাত খাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। কারণ আমরা যাচ্ছিলাম সিলেটের প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চল দিয়ে। গ্রামের ভেতরের এসব রাস্তাগুলো তে বাইক ড্রাইভ করা ভীষণ কষ্টের।
যদিও এসবে আমাদের বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে কারণ আমরা গ্রাম থেকেই বড় হয়েছি। আর আমারা গ্রামের খারাপ রাস্তায় বাইক চালিয়ে অভ্যস্ত এই কারণে আমাদের তেমন একটা কষ্ট হয়নি বললে এই চলে বরং আমরা অনেক মজা করেছি। আমরা চলার পথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছি।
আমরা যে শুধুই খারাপ রাস্তা দিয়ে চলেছিলাম তা নয়, মাঝেমধ্যে ভালো রাস্তা দিয়েও চলেছিলাম। যদিও ভালো রাস্তার দৈর্ঘ্য খুবই কম ছিলো। যতই জাফলং এর উদ্দেশ্যে সামনের দিকে যাচ্ছিলাম ততই ভালো রাস্তার দেখা পাচ্ছিলাম। ভালো রাস্তাতে বাইক ট্রাই করা অনেক সহজ হয়।
আমরা জাফলং এ যাওয়ার পথে বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম যেগুলো এর আগে কখনোই দেখেছিলাম না। আমার এই পোষ্টের বেশিরভাগ ফটোগ্রাফি গুলোই আমি রানিং বাইকের উপর থেকে করেছিলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে জাফলং ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


জাফলং ভ্রমণের সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। জায়গাটি সত্যি অনেক সুন্দর। আমার তো বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া। এরকম সুন্দর কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে।
হ্যাঁ আপু এই জায়গাটি অনেক সুন্দর আমরা বেশ মজা করেছিলাম। সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
জাফলং ভ্রমণের মূহুর্ত এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি বলেছেন ভাইয়া ভ্রমণ করলে অনেক জ্ঞান লাভ হয়। ভ্রমণ করতে আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগে। আপনি নিশ্চয় ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের সবার উচিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করা আর জ্ঞান লাভ করা। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বিছানাকান্দি থেকে জাফলং যাওয়ার প্রথম পর্ব টা দেখেছিলাম। দ্বিতীয় পর্ব টা দেখেও বেশ ভালো লাগলো। আপনারা খুব সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলোতে ভ্রমণ করেছেন। সব গুলো জায়গার সৌন্দর্য সত্যিই মনমুগ্ধকর। খারাপ রাস্তার মাঝে মাঝে ভালো রাস্তা ও পেয়েছেন। রাস্তার সৌন্দর্য এবং আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই খুব সুন্দর। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু আমরা যেখানে ভ্রমণ করেছিলাম সেখানকার সৌন্দর্য সত্যিই মনমুগ্ধকর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
জাফলং এর সুন্দর এরিয়া আপনি আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখিয়েছেন। আপনার এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক সুন্দর একটি জায়গা দেখার সুযোগ হলো আমার। আমি খুবই পছন্দ করে এমন সুন্দর জায়গা গুলো দেখতে।
বাহ্ আমার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর একটি জায়গা দেখার সুযোগ পেয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। যদি কখনো সময় পান তাহলে অবশ্যই এইসব জায়গাতে গিয়ে ঘুরে আসবেন অনেক ভালো লাগবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।