"সিলেটের জাফলং ভ্রমণ- ৭ম পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১১ ই অক্টোবর, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা মায়াবী ঝর্ণায় কোন মতো স্নান করা শেষ করে আমাদের লকারের কাছে ফিরে আসলাম। তারপর আমাদের জিনিসপত্র লকার থেকে নিয়ে প্রচন্ড রোদের ভিতর নৌকা ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা চারজন মিলে একটি লকার নিয়েছিলাম ৫০ টাকা দিয়ে। আমরা যা জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছিলাম তা একটি লকারেই রেখেছিলাম।
আমরা যদিও মায়াবী ঝর্নাতে তেমন একটা পানি পাইনি তবে এখানকার আশেপাশের সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। খুব কাছ থেকে পাহাড়ি স্পর্শ করে দেখার অনুভূতিটা সত্যিই অসাধারণ। আমরা মায়াবী ঝর্ণা থেকেই মেঘালয় পাহাড়কে স্পর্শ করেছিলাম।
ভ্রমণে বের হয়ে যখন হৃদয় পরিপূর্ণ তৃপ্তি লাভ করে তখন মনে হয় ভ্রমণ সার্থক হয়েছে। আমরা প্রচন্ড রোদের ভিতর হাঁটতে হাঁটতে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও মায়াবী ঝর্ণা থেকে নৌকা ঘাটের দূরত্বটা বেশি না কিন্তু গরম বালির ভেতরে হাঁটা অনেক কষ্টের।
আমরা ঘাটে আসার সময় অবশ্য এক জায়গা থেকে লেবুর শরবত খেয়েছিলাম। মাত্র ১০ টাকা গ্লাসে লেবুর শরবত খাইতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। কারণটা হচ্ছে প্রচন্ড রোদের ভিতর ডিহাইড্রেশন অনেক বেশি থাকে। আমরা জাফলং ভ্রমন করতে এসে সব থেকে বেশি খেয়েছিলাম লেবুর শরবত।
আমার কাছে তো লেবুর শরবত খুব ভালো লাগে। প্রচন্ড গরমের ভিতরে ঠান্ডা লেবুর শরবত খেলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। যাই হোক আমরা নৌকা ঘাটে এসে কিছু সময় অপেক্ষা করেছিলাম। তারপর নৌকার সব যাত্রী চলে আসার পরে আমরা আবার জাফলং জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
জাফলং জিরো পয়েন্ট এবং মায়াবী ঝর্ণা খুব কাছাকাছি মোটামুটি এক কিলোমিটার মত দূর হবে। শুকনোর মৌসুমী অবশ্য জিরো পয়েন্ট থেকে মায়াবী ঝর্নায় হেঁটে যাওয়া যায়। কিন্তু বর্ষার মৌসুমে নৌকা ছাড়া যাওয়া সম্ভব কারণ জলে পরিপূর্ণ থাকে। আমরা খুব অল্প সময়ের ভেতরেই জাফলং জিরো পয়েন্টে চলে আসি।
জাফলং জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য কতটা সুন্দর এবং কতটা মনোমুগ্ধকর সেটা বিকাল বেলায় সব থেকে বেশি ভালো বোঝা যায়। আর আমরা যখন জাপলং জিরো পয়েন্টে এসেছিলাম তখন বিকাল ছিল।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে জাফলং ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


জাফলং এর সৌন্দর্য গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্যগুলো সত্যিই মনোমুগ্ধকর। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার ভ্রমণ পোস্টের মাধ্যমে সিলেটের অনেকগুলো জায়গাই দেখা হলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ভ্রমণ পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
জাফলং এর সৌন্দর্য দেখে আপনি মুগ্ধ জেনার ভালো লাগলো আপু। আগামীতে আরও সৌন্দর্য দেখতে পারবেন কয়েক দিনের ভেতরেই আবারো যাচ্ছি জাফলং। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আমার খুব ইচ্ছা আমিও যাব জাফলং। আপনার এই পুরো ভ্রমণ আমাকে আসলে অনেক অভিজ্ঞতা দিয়েছে। অবশ্যই আমি সেখানে গিয়ে লেবুর শরবত খাবো। যেভাবে আপনি বিষয়টা বলছেন যে সবচেয়ে বেশি লেবুর শরবত খেয়েছেন, আমার মনে হচ্ছে সেখানকার লেবুর শরবতটা স্পেশাল কিছু একটা হবে।
যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে সময় বের করে এই জায়গাটিতে এসে ঘুরে যাবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে ভাই। এখানকার সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে যাওয়া লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।