"সিলেটের জাফলং ভ্রমণ- ৪ র্থ পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৪ ঠা অক্টোবর, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা প্রচন্ড রোদ্রের ভেতরেও কিছু সময় জাফলং জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। এখানে প্রচন্ড রোদ থাকলেও এখানকার জল অনেক ঠান্ডা ছিল ইচ্ছা করছিল এই জলে স্নান করতে। কিন্তু আমরা প্রথমে মায়াবী ঝর্ণা দেখতে যার জন্য প্ল্যান করেছিলাম এজন্য এখানে স্নান করেছিলাম না।
তবে এমন সুন্দর জায়গাতে এসে কয়েকটি সেলফি তুলে ছিলাম এবং ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আমাদের হাতে যেহেতু সময় অনেক কম ছিল তাই আমরা দেরি না করে নৌকা ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছিলাম মায়াবী ঝর্না দেখতে যাওয়ার জন্য। এখান থেকে মায়াবী ঝর্না মাত্র এক কিলোমিটার মতো দূরে হবে।
আমাদের হেঁটে যাওয়ার কোন উপায় ছিল না তাই এখান থেকে নৌকাতে করে যেতে হবে। আমরা কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে একটি নৌকা আসল তারপর সবাই মিলে উঠলাম। এই নৌকাটির ভেতরে যেহেতু ভ্রমণ দর্শনার্থীরা পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল তাই আমরা কয়েকজন নৌকার ছাদে উঠেছিলাম।
এর আগে কখনো নৌকা ছাদে ওঠা হয়নি এবারওই প্রথম ছিল। আবে নৌকার ছাদে ওঠার যে, এত মজা সেটা এবারে না উঠলে জানতাম না। প্রচন্ড রোদের ভেতরে প্রচন্ড বাতাস আহ্ মজা। এমন সুন্দর অনুভূতি জীবনে মুহূর্তেই সুখ নিয়ে আসে।
আমাদের নৌকা বেশ ভালই বড় ছিল তাই তেমন একটা টেনশন হচ্ছিল না। আমরা সবাই মিলে নৌকার ছাদে উঠে বেশ উপভোগ করছিলাম। যার যার মত মোবাইল ফোনের ক্যামেরা বের করে ফটোগ্রাফি করছিলাম। যদি আমরা নৌকার ভিতর বসতাম তাহলে এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারতাম না।
আমরা খুব কাছে থেকেই মেঘালয় পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম। আপনারাই ফটোগ্রাফিতে যে, পাহাড়টি দেখতে পাচ্ছেন এটা মেঘালয় পাহাড়। পাহাটি সম্পূর্ণভাবেই ভারতের ভেতরে অবস্থিত। এবার আমাদের দেশের সীমানার ভিতরে থাকতো তাহলে দারুন হতো।
মেঘালয় পাহাড় নিয়ে আমাদের বাংলাদেশের ভাগ্যটা সত্যি অনেক খারাপ। এমন সুন্দর অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা মেঘালয় শুধু দূর থেকেই দেখতে হয়। যদি এই পাহাড়ে আরোহন করতে পারতাম তাহলে মনের শান্তি মিটতো। যাইহোক আমরা নৌকাতে করে মায়াবী ঝর্নার উদ্দেশ্যে যেতে থাকলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে জাফলং ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


আমি তো আপনার পোস্ট করছিলাম আর ভাবছিলাম কখন মায়াবী পাহাড় দেখব। কিন্তু আপনি তো সেই আবারো অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে দিলেন। সিলেটের জাফলং ভ্রমন করতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। আপনার পরবর্তী পর্বে মায়াবী পাহাড় দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
জাফলং এর মায়াবী সৌন্দর্য সত্যি ই মুগ্ধ করে।অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সিলেট ভ্রমণের সুন্দর একটি পর্ব আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার চমৎকার এই পর্ব দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। যেখানে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন সিলেট জাফলং এ ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি আর সেখান করুন বর্ণনা।
সিলেটে জাফলং এমন একটি জায়গা যেখানে গেলে মুহূর্তে এই হৃদয় ভরে যায়। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই চমৎকারভাবে সিলেটের জাফলং ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা পোস্ট দেখে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এই জায়গাগুলো আমি নিজে চোখে দেখেছি সত্যি আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখে আবারও সেই পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আসলে এখানে আমরা সকলে মিলে গোসল করেছিলাম এবং দারুন মজা করেছিলাম। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনিও সিলেট ভ্রমণ করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। এটা সত্যি বলেছেন এই জায়গা গুলো নিজ চোখে দেখার ভেতর আলাদা একটি প্রশান্তি রয়েছে। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আজকে আপনার এই ভ্রমণের আরো একটি পর্ব দেখতে পেলাম৷ একের পর এক পর্বগুলো যখন দেখছিলাম তখন অনেক ভালোই লাগছিল৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি সবসময় আমাদের মাঝে এই ভ্রমণের পর্বগুলো শেয়ার করে আসছেন।আজকের এই সুন্দর পর্বের মধ্যেও আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ একই সাথে খুব সুন্দর বর্ণনাও দিয়েছেন৷ ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
আমি চেষ্টা করেছি সিলেটের জাফলং ভ্রমণের পর্ব আপনাদের সাথে সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।