বান্দরবান ভ্রমণ: নাফাখুম যাওয়ার উদ্দেশ্যে নৌকাতে উঠলাম।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৬ ই এপ্রিল, বুধবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি বান্দরবান ভ্রমণ: নাফাখুম যাওয়ার উদ্দেশ্যে নৌকাতে উঠলাম" পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমরা বান্দরবানের থানচি থেকে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পুলিশ স্টেশন থেকে অনুমতি নিয়ে তারপর নৌকা ঘাটে এসেছিলাম। আমরা নৌকাঘাটে আসার পরে দুপুরে অনেকটা সময় নৌকা ঘাটে বসে ছিলাম। আমরা যেহেতু ৯ জন ছিলাম আমরা দুইটা নৌকা ভাড়া করেছিলাম।
এখানকার প্রতিটি নৌকায় পাঁচ থেকে ছয় জন করে যাওয়া যায় সর্বোচ্চ। আর প্রত্যেকটি নৌকা ভাড়া পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা করে নেয়। শুধু যে যাওয়া তা নয় যাওয়া এবং আসা দুটো মিলে। আমরা আজকে যে, নৌকাতে যাচ্ছি আবার কালকে একই নৌকাতে ফেরত আসবো।
আমরা যখন থানচি নৌকা ঘাট থেকে নাফাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দিই তখন দুপুর ঠিক ২:০০ টা বাজে। আমরা নৌকা নিয়ে যে নদী দিয়ে নাফাখুম যাব এই নদীর নাম হল সাঙ্গু নদী। আপনারা অনেকেই এই নদীর নাম শুনেছেন পাহাড়ি এই নদী অনেক স্রোতধারা রয়েছে।
আমরা পাহাড়ি সাঙ্গু নদী দিয়ে যতই সামনের দিকে যাচ্ছিলাম ততই অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মোহিত হচ্ছিলাম। সাঙ্গু নদীর উৎপত্তি হয়েছে মায়ানমারের আরাকান পাহাড়ের পাদদেশ থেকে।সাঙ্গু নদীর প্রচন্ড স্রোত আরো জীবিত করে রেখেছে।
পাহাড় আর নদীর মিতালীতে প্রকৃতি এতটা সুন্দর হয়েছে সেটা বান্দরবানের না আসলে আসলে অজানা থেকে যেত। কি অপরূপ মহিত করা সৌন্দর্য দেখলেই হৃদয় জুড়ে যায়। পাহাড়ি এই নদীর ধারের গ্রাম বাড়ি গুলো দেখতে ও ভীষণ ভালো লাগে কত প্রাকৃতিক কত সুন্দর। প্রকৃতির সাথে এখানকার বসবাসরত মানুষগুলো যেন সুন্দরভাবে মানিয়ে নিয়েছে।
আমরা যখন নৌকাতে উঠলাম তার একটু পরে আমাদের ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। এরকম একটা অনুভূতি সত্যিই চমৎকার। আমরা যাচ্ছিলাম অজানা গন্তব্যে, আমরা যাচ্ছিলাম অজানার পথ পাড়ি দিতে। যতই সামনের দিকে যাচ্ছিলাম ততই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে মুগ্ধ হচ্ছিলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


বান্দরবানের প্রত্যেকটা জায়গা খুবই সুন্দর। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ইচ্ছে করে সেখান থেকে ঘুরে আসি। আপনারা খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন বান্দরবানে গিয়ে। নৌকায় উঠে আশেপাশের সুন্দর দৃশ্যগুলো উপভোগ করেছেন। ভ্রমণের দারুন মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।