২য় পর্ব || CGHS এক্স স্টুডেন্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট -২০২৫
15-04-2025
২রা বৈশাখ , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। নতুন বছরের সময়টা ভালোভাবেই অতিবাহিত করছেন আশা করছি। তো আপনাদের সাথে ইতোপূর্বে আমাদের চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যলয়ের এক্স স্টুডেন্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবো।
১ম পর্বের পর
শর্ট পিচের মতো ম্যাচে দশ ওভারে ৫৭ রানের টার্গেট দেয়া এটা আমার কাছে কমই মনে হয়েছিল। তবে দেখার বিষয় ছিল আমাদের ব্যাচের এরা কেমন বোলিং ও ফিল্ডিং করে। শর্ট পিচে বোলিং এর কিন্তু বেশ কিছু রোলস থাকে। জোরে বল করা যাবে না, হাত ঘুরিয়ে বল করা যাবে না, ফুলটস হলে নো বল! তাছাড়া বায়ে রান ছিল। তো সবমিলিয়ে বেশ কিছু বিষয় মাথায় নিয়ে খেলতে হয়। তো ব্যাটিং করতে নামে ১৫ ব্যাচের বড় ভাইয়েরা! মাঠে নামার পর তো দেখি একের পর এক চার মেরে আমাদের ব্যচের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ফেলে। দশ ওভারের খেলা ১৫ ব্যচের বড় ভাইয়েরা ৬ ওভারেই জিতে যায়! তারপর তো আমরা পুরাই হতাশ! আগের বারও দুইটা হেটে বাদ পরতে হয়েছিল। এবারও বাদ পরতে হবে যে অবস্থা মনে হয়েছিল। তো হারা পরে সবাই সিদ্ধান্ত নেয় কিছু প্লেয়ার পরিবর্তন করা দরকার! ফিল্ডিং অনেক মিস হয়েছিল।
তাছাড়া ব্যাটিংও বাজে হয়েছিল। লিয়ন ছাড়া কেউ ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। তো পরের ম্যচ হবে ২৪ ব্যাচের ছোট ভাইদের সাথে। তো ২৪ ব্যাচের সাথে হারলে আমরা টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ হয়ে যাবো। ২৪ ব্যাচের এরা ভালোই খেলে। ওরা আগের ম্যাচে ১৯ ব্যাচের ওদেরকে হারিয়েছিল। তো ওদের কনফিডেন্স আগে থেকেই অনেক বেশি ছিল। ২৪ ব্যাচের সাথে আমাদের খেলা হবে রাত আটটায়! দুপুর দুইটার দিকে আমাদের একটা ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। তো রাত ৮টায় খেলা তাহলে অনেক দেরি। তাই ভাবলাম বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া করে আবার এসে পরে যাবে! সে ভাবনা থেকে বাড়িতে চলে গেলাম। তারপর খেলা শুরু আগেই চলে এলাম চন্ডীপাশা স্কুল মাঠে। তো এসে দেখি আমাদের ব্যাচের সবাই উপস্থিত! টস দেয়া হয়। টসে হেরে আমাদের ১৮ ব্যাচ বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়!
তো এবারের ম্যাচটা যেহেতু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাই আমাদেরকে ম্যাচটা জিততেই হবে। আমরা মাঠের বাহিরে থেকে স্লেজিং করতে থাকলাম! ১৮ ব্যাচের সবাই অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করতে লাগলো। তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে সুমন ও মাহমুদ! ২৪ ব্যাচের সুমন নাকি আগের ম্যাচে দূর্দান্ত পারফরর্মেন্স করেছে! তো সেই সুমনই আবার আমাদের জন্য গলার কাটাঁ হয়ে দাড়ায়ঁ! একের পর এক চার মেরে আমাদের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ফেলে! আমাদের চিল্লাচিল্লি ও কমে যায় তখন, হাহা! সুমন একাই ৬৫ রান করে ফেলে। ২৪ ব্যাচ দশ ওভারে ৮৭ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। যা আমাদের ব্যাচের জন্য চেইস করা কঠিন!
তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে লিয়ন ও ফাহিম! লিয়নের প্রতি বরাবরই আমাদের এক্সপেকটেশন থাকে বেশি। তো প্রথম ওভরেই আমাদের হতাশ করে ফাহিম। ডাউন দা ট্র্যকে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে নামে রিয়ন! রিয়ন আগের ম্যচে ভালোই পারফরর্মেন্স করেছিল। কিন্তু রিয়নও আমাদের হতাশ করে শূন্য রান করেই তাকে মাঠ ছাড়তে হয়! তারপর রোহি আসে মাঠে। রোহিকে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে লিয়ন। তো তাদের দুজনের ব্যাটিং কিছুটা আশা জুগিয়েছিল আমাদের মনে! কিন্তু সে আশা নিভে যায় দলীয় সংগ্রহ যখন ৫০ রান! লিয়ন আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। শেষ অবধি এক ওভারে দরকার ছিল ২১ রান। যা নেয়াটা কঠিন। জনি শেষ ওভারে তিনটা চার মারতে সক্ষম হয়। এরই মাধ্যমে আমরা দুটি ম্যচই হেরে যায়।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | W3w |
চলবে,,,,,
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet
খেলাধুলার আসল সৌন্দর্যটা এখানেই—জয়-পরাজয়ের মাঝে লুকিয়ে থাকে অভিজ্ঞতা আর একতাবদ্ধতার গল্প। আমরা হেরেছি ঠিকই, কিন্তু এই ম্যাচ আমাদের শেখালো কিভাবে হারতে হয়, আর কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। হয়তো এবার পারিনি, কিন্তু দল হিসেবে আমাদের যে লড়াইটা ছিল, সেটা গর্ব করার মতো। সুমনের মতো খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে প্রশংসা জানাতেই হয়, কিন্তু লিয়ন-রোহিদের লড়াইটাও কম কিছু না। আমরা শিখবো, আরও ভালো করবো, আর আগামী দিনগুলোতে ফিরে আসবো নতুন উদ্যমে!"
হুমম বাই! বেশ উপভোগ করেছিলাম আসলে।