শিক্ষাসফরের শিক্ষা পার্ট-২
গতপর্বে আপনারা দেখেছেন যে, অনেক ঝামেলার পর জায়গা নির্বাচন হয়েছে। এরপর আবার ঝামেলা উপস্থিত হল তারিখ ঠিক করা নিয়ে। গত পর্বেই বলেছি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একের পর এক পরীক্ষা দিয়ে রাখছে।পরীক্ষা শেষ হতে হতে আবার রোজা এবং গরম পড়ে যাবে। তখন যাওয়া সম্ভব না।
তাই সিদ্ধান্ত হল লাস্ট পরীক্ষার দিন সবাই একদম রেডি হয়ে আসবে,সেখান থেকেই রওনা দেওয়া হবে।আমি স্যার কে বললাম স্যার দুপুরের লাঞ্চ আর রাতের ডিনার টার ব্যবস্থা যদি ভার্সিটি থেকে করা হয় তাহলে আমার আপত্তি নেই।সবাই একমত হল।
পরে সিদ্ধান্ত হল,পরীক্ষা শেষ বৃহস্পতিবার।শুক্রবার রাতে রওনা দেওয়া হবে। শনিবার সারাদিন ঘুরে আবার রাতে রওনা দেওয়া হবে।রবিবার ছুটি। সবাই খুশি হয়ে গেলাম আমরা। যদিও আমি মনে মনে ভাবছিলাম, আমি তো যাবই না আমার আবার এই দিন ই কি,ঐদিন ই কি। শেষে স্যারেরা মনে করিয়ে দিল, যে শিক্ষাসফরে যাবে না তার প্র্যাকটিক্যাল মার্ক কাটা।
মনে মনে ভাবতেছিলাম,মার্ক তো এমনিতেও দেন না।কাটবেন আর কি? আমি যাচ্ছি না।এর থেকে বাড়িতে ঘুম দিব আরামে। আমি এদিকে হাসছিলাম,ওদিকে আমার বিধাতা পুরুষ হাসছিল আর বলছিল তুই যাবি না? তোর চৌদ্দ গুষ্টি যাবে। প্রথমত আমি যেহেতু যাব না,তাই আমি চাদা দেই নি। এখানে আমার বন্ধু নুর আমার হয়ে চাদা দিয়ে দিয়েছে। যদিও পরে আমি আবার দিয়েছি।
এরপর আসল পিকনিক এর কাঙ্ক্ষিত দিন। আমি সকাল থেকেই নুর কে বুঝিয়ে আসছি আমি অসুস্থ।কিন্তু তার কথা দরকার পড়লে তোকে অ্যাম্বুলেন্স এ নিয়ে যাব।তাও তোকে নিয়ে যাবই।আমাদের কলেজে রিপোর্টিং ছিল ১০.৩০। নুর আটটায় আমার বাড়ি এসে হাজির। আমি শুয়ে শুয়ে বই পড়ছিলাম।ও আমাকে নিয়ে যাবে আমি যাব না, এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ যুক্তি তর্ক চলল।
তারপর শুরু হল ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেইল। শেষ পর্যন্ত বলল তুই না গেলে আমিও যাব না। এখন আমার জন্য ওর টাকা লস যাবে,সেই সাথে প্র্যাকটিক্যাল মার্ক আর অনন্দ মাটি হবে এটা মানা যায় না।তাই একদম শেষ মুহুর্তে রাজি হলাম।এরপর কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিছুক্ষণ বন্ধুদের সাথে গল্প করতেই বাস চলে আসল। তারপর সবাই মিলে বাসে উঠে বসলাম।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হা হা হা 😄
পিকনিকে শেষ পর্যন্ত আপনি গেলেন কিন্তু চৌদ্দ গুষ্টি আর গেলো না 😄
আসলে ভালো বন্ধু তাকেই বোঝায় যার জন্য নিজে সেক্রিফাইস করা যায়। আপনার বন্ধুটা আপনার কতটা কাছের সেটা কিন্তু স্পষ্ট বোঝা গেলো। যাইহোক পরের পর্বে শিক্ষা সফরের পরের কাহিনীগুলো পাবো আশাকরি।
ডিপার্টমেন্ট এর চৌদ্দগুষ্টি গেছে ভাই। পিয়ন দারোয়ান সবাই। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কিছু কিছু বন্ধু আছে যারা এরকম মোটেই পিছু ছাড়তে চায় না যেমন আপনার বন্ধু নূর আপনাকে যেতে বাধ্য করেছে সে কোন অজুহাত শুনতে চাইনি। আমার মনে হয় এরকম বন্ধুদের জন্য মন থেকে অনেক ভালোবাসা প্রকাশ করা উচিত।
অবশ্যই ভাইয়া। এই বন্ধুগুলোর জন্য সবসময় ভালবাসা থেকেই যায়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করি ভাইয়া আপনি একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি যে এরকম একজন বন্ধু পেয়েছেন নূর এর মত। আপনি যদিও বা শুরুর দিক থেকে পিকনিকে যেতে চাইছিলেন না কিন্তু আপনার বন্ধু আপনার টাকা আগে দিয়েছিল শুনে বেশ অবাক হয়ে গেলাম। আসলে বন্ধু হলে এরকম বন্ধু হওয়ায় উত্তম। যাই হোক তারপরে আপনারা দুই বন্ধু মিলে ক্যাম্পাসে গেলেন এবং পিকনিকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। সেটা শুনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।
নুরের মর বন্ধু পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হাহাহাহাহ তাহলে চৌদ্দ গুষ্টি গেলো ৷ আসলে এটা সঠিক জানি না ৷ আমার কলেজ থেকেও আমি সফরে যাই নি বলে এমন কথা বলেছে যে শিক্ষাসফরে যাবে না তার প্র্যাকটিক্যাল মার্ক কাটা। তবে আমি ভয় পাই না এসবে ৷ হিহিহি
ভালো লাগলো যে বন্ধু আপনার জন্য চাদাঁ দিয়েছে ৷ জীবনে এমন বন্ধু প্রয়োজন ৷
তবে যাওয়া দরকার দাদা। এই সফর গুলোর আলাদা মজা আছে। জীবনে সব অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন।আমার বন্ধুরা এমনই। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বন্ধুরা তো এরকমই যখন না পারে তখন ইমোশনালি ব্ল্যাক মিল শুরু করে।আর স্যাররা তো আছেই প্রাকটিকাল মার্ক দিবেন না।অবশ্য আপনার মত আমিও এবার তাই করেছিলাম এমনিও মার্ক দেন না আবার পিকনিক যাওয়া কি আর না যাওয়া কি।আপনার অবস্থা দেখে বেশ হাসি পেল ভাইয়া সেই আপনিও গেলেন মাঝখান থেকে চৌদ্দ গুষ্টি বাদ পড়লো 😁😁।দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষার সমাপ্তি হলো এবার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।পরের পর্ব শীঘ্রই আসবে।
আমি মনে করি, বন্ধুবান্ধব আসলে এরকমই হওয়া উচিত যেখানে এই কথা বলার অধিকার থাকে যে, "তুই না গেলে আমরা যাব না"। এরকম কথা বলা বন্ধু-বান্ধব এখন তো খুঁজেই পাওয়া যায় না।
যাইহোক, আমরাও যখন কলেজ লাইফে এরকম শিক্ষা সফরে যাওয়ার জন্য বাধা দিতাম, তখন এই সেম কথা বলতো যে, প্রাকটিক্যাল মার্কস কেটে নেবে। তবে সেজন্য কোনদিন কাটেনি। আর এমনিতেও মার্কস বেশি দিত না, ওখান থেকে আর কাটবেই বা কি করে।
হ্যা দাদা এখন এমন বন্ধু বিরল। আমারো যদিও মার্ক কাটত না। কারন ডিপার্টমেন্ট এর সব স্যার ম্যাডাম দের সাথে আমার ভাল সম্পর্ক। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নিজের ডিপার্টমেন্টের স্যার ম্যাডামদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা বুদ্ধিমানের কাজ ভাই। স্যার ম্যাডামদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে মার্ক তো এক্সট্রা কাটবেই না, তার পরিবর্তে আরো বেশি মার্ক দিয়ে দেয়।