কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। আসলে ভ্রমণ গুলোকে আমি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে ভ্রমণের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।‍

হুদাই ঘুরে এলাম নিউ মার্কেট

মাঝে মাঝে মনে না চাইলেও কিছু কাছের মানুষের সুখের জন্য করতে হয় অনক কিছু। আর ব্যস্ত জীবনে তো সময় খুজেঁ বের করাটাই এক অন্য রকমের বিড়ম্বনা। তবুও সকল ব্যস্ততাকে ভুলে গিয়ে সেদিন আমার এক বান্ধবীর সাথে গিয়েছিলাম ঢাকার নিউ মার্কেটে। অবশ্য আমার সে বন্ধুও চাকুরী করেন। তো তার কিছু কেনাকাটা করা প্রয়োজন সে কারনেই আমাকে সেদিন যেতে হয়েছিল তার সাথে। আমরা সকাল সকাল একটি রিক্সা নিয়ে চলে গিয়েছিলাম নিউ মার্কেটে। রিক্সা করে বন্ধুর সাথে ঘুরে বেড়াতে কিন্তু খারাপ লাগে না।

আমরা দুজন যেয়ে নামলাম নূরম্যানশনের সামনে। এই জায়গাটি আমার বেশ ভালো লাগে। নূর ম্যানশন হতে চাঁদনী চক যাওয়ার সময় হাজারও দোকানপাট রাস্তার দুপাশে গড়ে উঠেছে। তো আমরা একটু ভিতরের দিকে চলে গিয়েছিলাম। কারন বন্ধু আমার ব্যাগ আর কানের দুল কিনবে। হায়রে আল্লাহ কি যে অবস্থা। এ গলি হতে সে গলি কোন গলিতেই তার ব্যাগ আর কানের দুল পছন্দ হলো না। প্রায় ঘন্টা খানের ঘুরার পরও যখন কিছুই পছন্দ হচ্ছিলো না, তখন চোখে পড়ে ফুচকার দোকান।

আমরা ফুচকার দোকানে যেয়ে বসে পড়লাম ফুচকা খাবো বলে। কিন্তু মেজাজটাই আমার গরম হয়ে গেল। আর হবে না কেন। আমার এই বন্ধু আবার একটু সূচীবাই। দোকানে ঢুকেই শুরু করে দিলো এগুলো হাত ধুয়ে বানায় কিনা, যে বানায় সে পরিস্কার কিনা, আরও যে কত কথা। আমি ধমক দিয়ে বললাম একদম চুপ করে খেয়ে উঠ। কিন্তু বেচারী কিন্তু চালাকী করে কোন রকমের মাত্র দু একপিস খেয়েছে। তাও মনে হয় বেশ কুতকুত করে। তারপর আবার সেই ব্যাগ খোঁজা। তবে ব্যাগ খুঁজতে গিয়ে কিন্তু এক জোড়া সেন্ডেল কিনা হয়েছে। পরে শুনেছি নাকি সেই সেন্ডেল ছোট হয়েছে। যাই হোক সেদিন আমাদের পরবর্তী গন্তব্য হলো ইষ্টার্ণ মল্লিকা। ভাবলাম যে সেখানে গিয়ে যদি কপালে পছন্দের কিছু জোটে।

এখানে এসে তো দেখি আর এক লঙ্কা কান্ড। শপিং মলে ঢুকতে সিঁড়িতে অনেক পুরুষ মানুষ বসে আছে ব্যাগ আর মালামাল নিয়ে। মানে তাদের পরিবার শপিং করে এনে এনে তাদের কাছে জমা রাখছে। সে যাই হোক এখানেও আমরা শুধু ঘুরেই বেড়ালাম এ গলি তো ঐ গলি। একতলা তো দোতালা। কিন্তু কেন জানি আমার সেই বান্ধবীর কিছুই পছন্দ হচেছ না। আমার তো মেজাজ সাড়ে বারো হয়ে গেল। ‍হুদাই দিন মাটি। একদিকে নামায কাজা আর একদিকে পেটে ক্ষুধা। যদিও আমাদের বাহিরে খাওয়ার কথা ছিল। এবং বেশ জোড়াজুড়ি করেছিল আমাকে খাওয়ানোর জন্য। কিন্তু যেহেতু মেজাজ গরম তাই আর খাওয়া হয়নি। যাই হোক যেহেতু উনার কোন কিছুই পছন্দ হয়নি তাই বাসার দিকে রওনা দিয়ে দিলাম।

আমার তো মেজাজ গরম। যখন আমাদের রিক্সা ঢাকা ইউনিভার্সিটির সামনে দিয়ে আসছিল তখন হঠাৎ রিক্সা থামিয়ে আমার জন্য চকবার কেনা হলো যাতে করে আমার রাগটা কমে যায়। কি আর করার চকবার তো আমার বেশ প্রিয় তাই আমি রাগ আর অভিমান সব ভুলে গেলাম নিমিষে। আর মনে চেপে রাখা কষ্টটুকু্ ভুলেও গেলাম। তবে সেদিন কিন্তু হুদাই আমরা নিউ মার্কেটে ঘুরাঘুরি করেছিলাম। এমনিতেই তো আমার কাছে সময় বড়ই মূল্যবান।

কেমন লাগলো আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে। এই ভুবন পোষ্টের আরো কিছু পর্ব আগামীতে আপনাদের মাঝে ধীরে ধীরে শেয়ার করব। ‍আশা করি আপনাদের মন্তব্য দিয়ে ধন্য করবেন।

লোকেশন