ট্রাভেল পোস্ট- "মাওয়াঘাট ও পদ্মার পাড় ভ্রমনের প্রথম পর্ব" II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। আসলে ভ্রমণ গুলোকে আমি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে ভ্রমণের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।
.png)


আজকাল জীবনের ব্যস্ততা এতটাই বেশী যে মানসিকতা একদম ভালো রাখতে পারি না। অফিসের অযথা কাজের চাপ, সাংসারিক, পারিবারিক সব কিছু মিলিয়েই যেন জীবনটা হয়েগেছে দূর্বিসহ। এমন দূর্বিসহ জীবন কে যদি কিছুটা স্বস্থি দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু জীবন ফিরে পায় কিছুটা শান্তি আর নতুন ঠিকানা। আর তেমন একটু স্বস্থি আর শান্তির জন্যই কিছুদিন আগে পরিবারের সকল কে নিয়ে বেড়িয়ে ছিলাম একটি ডে ট্যুরে। মানে ঢাকার কাছেই মাওয়া ঘাট আর পদ্মার পাড়ে সারাটা দিন সবাই মিলে ঘুরে বেডিয়ে ছিলাম কিছুটা আনন্দ নিয়ে। আজ সেই ঘুরে আশার গল্পই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। হয়তো পুরো গল্প শেষ করতে করতে ১০০ পর্ব ও লেগে যেতে পারে। তাতে কিন্তু আমার কোন দোষ নেই। তাহলে চলূন আজ আমরা মাওয়া ঘাট আর পদ্মা নদীর পাড়ে ঘুরে আসার প্রথম পর্ব দেখে আসি।


সেদিন আমরা ঠিক করেছিলাম আমরা সবাই বাসে করে যাবো আর আনন্দ করে ভ্রমনের সময় কিছুটা পার করবো। তাতে করে জার্নি করতে কষ্টও হবে না আর আনন্দও হবে সবাই মিলে। তাই ০৫ (পাঁচ) জন মিলে বাসার সামনে থেকেই সার্বিক পরিবহনে উঠে গেলাম। আমাদের থেকে বেটা টাকা রাখলো ১৪০০/- টাকা। যা আমরা পরে বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাদের থেকে বেশী নেওয়া হয়েছিল সেদিন। যাই হোক বাসে বসে আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে বাস ছেড়ে দিলো। আমরাও একটু আনন্দ পেলাম।


বাস যখন যাত্রাবাড়ী গেল তখন আমরা ভেবেছিলাম যে এখানে মনে হয় ৫-১০মিনিট বাসটি অপেক্ষা করবে। কিন্তু আমাদের ধারনাটাই ছিল ভুল। বাস তো আমাদের কে বাসে রেখেই প্রায় আধাঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিল। মানে ওরা বাস পুরো না ভরলে যাত্রা শুরু করবে না। মেজাজ গেল গরম হয়ে। একদিকে গরম তার উপর আবার রোদ্রের মধ্যে বাস দাঁড়িয়ে থাকা। মেজাজটাই গরম হয়ে গেল। কিন্তু কি আর করার। যেহেতু টাকা দিয়ে দিয়েছি তাই আমাদের কে তো অপেক্ষা করতেই হবে। তাই আল্লাহর দিকে ভরসা করে বসে রইলাম বাসের ভিতরে। আর কিছুক্ষন পর পর এটা সেটা খাওয়া শুরু করে দিলাম।

এক সময় বাসও ছেড়ে দিলো্ বাস চলছে। কেরানীগঞ্ঝ হয়ে বাস চলছে মাওয়ার দিকে। আমরাও বেশ আনন্দিত ছিলাম চারদিকের প্রকৃতি দেখে। সুন্দর প্রকৃতি দেখতে দেখতে আমরা ধীরে ধীরে মাওয়ার দিকে এগোতে লাগলাম। যতই যাচ্ছি ততই যেন প্রকৃতি আরও বেশী সুন্দর হয়ে উঠতে লাগলো। আরও বেশী মনের মাঝে আনন্দ দিতে লাগলো। কেরানীগঞ্জ পার হয়ে শ্রীনগর সহ আরও অজানা এলাকা পার করে এক সময়ে বাস চলে আসলো তার নির্ধারিত জায়গায়। মানে পদ্মা সেতুতে উঠার আগেই বাসটি আমাদের কে নামিয়ে দিয়ে গেল। কারন এখানে নেমেই আবার নতুন করে অটো ভাড়া করে যেতে হবে স্বপ্নের মাওয়া ঘাট দেখতে। তাই আমরাও নেমে সন্ধ্যান করা শুরু করে দিলাম অটো রিক্সার।

আশা করি আগামী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারবো যে আমরা কত টাকা ভাড়া দিয়ে কেমন করে সেই স্বপ্নের মাওয়া ঘাটে পৌঁছেছিলাম। আর মাওয়া ঘাটে পৌঁছে সেদিন কি কি করেছিলাম। সে পর্যন্ত আমার সাথেই থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | Vivo y18 |
পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

মাওয়াঘাট ও পদ্মার পাড় ভ্রমনের আজকের প্রথম পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। স্বপ্নের মাওয়া ঘাটে অনুভূতি পড়ার জন্য আগ্রহে আছি আপু। আগামী পর্ব তাড়াতাড়ি উপস্থাপন করবেন নিশ্চয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
৫ জন মিলে মাওয়াঘাট ও পদ্মার পাড় ভ্রমন করেছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলে ভ্রমণ করতে ভালোই লাগে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি নতুন পর্ব উপস্থাপন করবেন।