ভ্রমন পোস্ট- মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আরও কিছু কেনাকাটা
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রতি সপ্তাহের মত আজও আমি একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার ভ্রমণ পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে।

ঢাকায় গরম পরলেই মনে হয়, জীবন থমকে গেছে। চারপাশে যেন বাতাস নেই, কেবল সূর্যের আগুন। সেই গরমেই কদিন আগে গিয়েছিলাম মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে। যা কিনা এর আগে আপনাদের মাঝে কিছুটা শেয়ার করেছিলাম। আজ আরও কিছু অংশ আপনাদের মাঝে শেয়ার না করলেই নয়। সেদিন কিন্তু প্রচন্ড গরমের মধ্যেও আরও কিছু কেনাকাটা করা হয়েছিল আমাদের। তো চলূন দেখে আসি আর কি কি কিনেছিলাম।


যে গরম। আর তখনই চোখে পড়লো সানগ্লাসের দোকান। সূর্য এতটাই তেজি ছিল যে চোখের পাতাও আর ঠিক মতো খুলে রাখা যাচ্ছিল না। দোকানের ছায়ায় ঢুকে মনে হলো, আহ্, একটু তো বাঁচা গেল! দোকানটা ছোট হলেও সাজানো-গোছানো, আর দোকানদার ভাইটি বেশ হাসিখুশি। একটা রাউন্ড কালো ফ্রেম ট্রাই করলাম, আয়নায় দেখে মনে হলো, এটা একদম আমার মুখের সঙ্গে মানিয়ে যাচ্ছে। দরাদরি করে ২৮০ টাকায় কিনে ফেললাম। গরমে দরাদরি করতেও কষ্ট, তাই খুব একটা চাপ দিইনি।


এরপর গেলাম কাপড়ের দোকানে। এত গরম যে দোকানের সামনে রাখা ফ্যানটাকেও এসির মতো মনে হচ্ছিল। একটু বসে পানি খেলাম। তারপর বেশ দেখে শুনে হালকা রঙের জর্জেট ওড়না বেছে নিলামঃ। পিচ রঙের, নরম আর আরামদায়ক। পরে চোখে পড়লো একটা কটনের হালকা নীল চাদর। যেটা গরমে ব্যবহার করতেও ভালো লাগবে। এই দুইটা জিনিসে মনটা একেবারে শান্ত হয়ে গেল। গরমে আরাম পাওয়া মানেই যেন একরকম বিজয়!


সব শেষে গেলাম সেই কাঙ্ক্ষিত তিলের খাজার জন্য। দোকান খুঁজতে খুঁজতে কপাল দিয়ে ঘাম গড়িয়ে গাল পর্যন্ত এসে পড়েছে। অবশেষে ছোট একটা দোকান পেলাম। দোকানে দাঁড়ানো এক ভদ্রলোক। দোকানদারের সাথে কথা বলে এবং দামাদামী করে নিজেদের জন্য তিন বক্স তিল, গুড় আর বাদাম দিয়ে বানানো সেই তিলের খাজা কিনে নিলাম। সত্যি বলছি, খাজার প্রথম কামড়েই মনে হলো গুড়, তিল আর পুরনো দিনের স্বাদ যেন একসঙ্গে মুখে এসে নাচছে। মুখে দিতেই বেশ দারুন স্বাদ লাগলো। আর তখনই চোখ বন্ধ করতেই মনের মধ্যে এক ধরনের শান্তি অনুভব করলাম।

সেদিন মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে গিয়ে যে জিনিসটা আলাদা করে চোখে পড়লো, সেটা হলো মানুষের ধৈর্য। রোদে দোকানদাররা ঘেমে একাকার। তারপরও হাসিমুখে ক্রেতা সামলাচ্ছেন। আমাদের শহরের প্রাণটা এই মানুষগুলোর ভেতরেই লুকিয়ে আছে। আমরা হয়তো বাজারে যাই শুধু জিনিস কিনতে, কিন্তু সেখানে গিয়ে ফিরে আসি একরাশ বাস্তবতা আর মানুষের গল্প নিয়ে। আর তাই তো বাসায় ফিরার সময় রিক্সায় বসে ভাবছিরাম গরমে পুড়ে গেছি ঠিকই। কিন্তু মনটা একেবারে ভরে গেছে। কোনো শপিং মল বা অনলাইন অর্ডার এই অভিজ্ঞতা দিতে পারে না। দরদাম, দোকানদারের হাসি, রোদের তাপ, খাজার মিষ্টি স্বাদ সবকিছু মিলিয়ে একটা সুন্দর দিন ছিল সেদিন।
আপনাদের ভাল লাগলেই আমার মনের উৎসাহ আরো বৃদ্ধি পাবে। আজ আপনাদের সবার সুস্থতা কামনা করে এখানে বিদায় নিচ্ছি। আবারও যে কোন সময় নতুন কোন জায়গার ভ্রমণ পোস্টের ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসব। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অরেনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।



https://x.com/mahfuzanila95/status/1922291149278007623
https://x.com/mahfuzanila95/status/1922291026762305748
মোহাম্মদ পুরের কৃষি মার্কেট এর কাছাকাছি গিয়েছি কিন্তু ভেতরে ঢোকা হয় নাই কখনোই। আপনার ছবি গুলোর দেখে মার্কেটের ভিতরের কিছুটা আইডিয়া পাওয়া গেল।
গরমের ভেতরেও কৃষি মার্কেট এ গিয়ে আপনি তৃপ্ত হয়েছেন আকং্খিত জিনিসগুলো কেনার মাধ্যমে তা যেনে ভাল লাগলো।
ভাল থাকুন "