সামশুন্নাহার আপুর সাথে কাটানো মূহুর্তের শেষ পর্ব।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
গত সপ্তাহেই আপনাদের মাঝে শেয়ার করছিলাম আমরা যখন কক্সবাজার গিয়েছি তখন @samhunnahar আপুর সাথে দেখা করার মুহূর্ত।আজকে বাকি অংশটা শেয়ার করব। সেদিনকার মুহূর্তগুলো আসলে অনেক বেশি আনন্দময় ছিল। কারণ আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে যাদের সাথে পরিচয় তাদের সাথে যদি দেখা করা যায় তাহলে মনে আনন্দের সীমা থাকে না।
যাইহোক যদিও আপু শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল তবুও আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিল, এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আমরা যেহেতু প্রথমেই চলে গিয়েছিলাম বীচের পাড়ে ফুচকা খেতে। সেখানে ফুচকা গুলো খেতে তেমন ভালো লাগেনি। তাই ভাবলাম অন্য কোথাও বসা যাক এবং একটু সময় কাটানো যাক। যেই ভাবনা সেই কাজ সুগন্ধা পয়েন্টে একটা রেস্টুরেন্ট আছে, সেটা হলো কড়াই রেস্টুরেন্ট। সেখানে চলে গেলাম সবাই কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার জন্য। সবাই মিলে সেখানে গিয়ে বেশ ভালো সময় আড্ডা দিয়েছিলাম। আর সেই মুহূর্তগুলো মনে পড়লে এখনো খুব ভালো লাগে।
আমরা বড় একটা টেবিলে বসে গেলাম। যেহেতু আমরা প্রায় সাত আট জন মানুষ ছিলাম তাই আমাদের বড় একটা টেবিল লেগেছে। আর এদিকে ফুচকা খেয়ে সবার ভারী কিছু খেতে ইচ্ছে করছিল না। তাই আমরা আমাদের সবার জন্যই কফি নিয়েছিলাম এবং আদিলা রাঈদার জন্য মিল্ক শেক আর স্ট্রবেরি শেক নিয়েছিল। আর নিভৃতের জন্য কিছুই নেয়া হয়নি। কারণ নিভৃতকে আমরা বাইরের কোন কিছুই খাওয়াই না। যাইহোক, এদিকে সবাই মিলে বেশ ভালো সময় অতিক্রম করছিলাম।
বুঝতেই তো পারছেন ব্লগারদের দেখা হলে পার্সোনাল কথা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ব্লগিং নিয়ে কথাবার্তা হয়, হাহাহা। আর বিভিন্ন টপিক নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল তখন। আসলে আপু বেশ ভালো সময় ধরে এখানে কাজ করছে আর আমাদের সাথে পরিচিত হয়েছে। আপুর সাথে যদি শুরু থেকে পরিচিত থাকতাম তাহলে হয়তোবা তিনবার কক্সবাজারে যাওয়ার সময় তিনবারই দেখা হত। কিন্তু যেহেতু গত বছর দুবার গিয়েছি তাই আপুর সাথে গত দুইবারই দেখা হয়েছে।
যাই হোক আমরা বেশ ভালো সময় সেখানে কাটিয়েছিলাম। কথা বললাম বিভিন্ন টপিক নিয়ে। তারপর অনেকগুলো ছবি তুলে নিলাম। আদিলা আর নিভৃত বেশ ভালো মুহূর্ত এনজয় করেছিল। কারণ দুজনে একজন আরেকজনের হাত ধরে বেশ আনন্দের সাথে গল্প করছিল। যদিও নিভৃতের কথা সবাই খুব ভালো বুঝতে পারে না। তবুও সে নিজে নিজে বকবক করেই যাচ্ছে সবাই হাসছে ওর কথা দেখে।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করেই আমরা সবাই বের হয়ে গেলাম। মুহূর্তগুলো যে আনন্দের কেটেছিল সেটা আপনারা ছবিতে দেখলেই বুঝতে পারবেন। সবাই যেহেতু অনেকটা টায়ার্ড হয়ে গিয়েছিল আর এদিকে আমরা কিছু কেনাকাটা করতে হবে তাই আপু আমাদের থেকে বিদায় নিল। আমরাও আবার হেঁটে হেঁটে সুগন্ধা পয়েন্টের দিকে চলে গেলাম। এরপর চলে গেলাম বাসায়। তবে এরপর আমার হাজব্যান্ড আবার আপুর হাজবেন্ডের সাথে দেখা করেছিল। যদিও আমাদের যাওয়া হয়নি কারণ আমরা নিভৃতকে নিয়ে বাসায় ছিলাম। এই ছিল সেদিনকার আনন্দঘন মুহূর্ত। যেটা আসলে সুখের স্মৃতি তৈরি করে রেখেছে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যদের একসাথে দেখলে কি যে ভালো লাগা কাজ করে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না! সেলিনাসাথী আপুর সাথে যখন আমার দেখা হয়েছিলো, সেই মুহূর্তের কথা মনে পড়ে গেলো আপনাদের সামশুন্নাহার আপুর সাথে দেখা করার মুহুর্ত গুলো পড়ে। ওদিকে ভাইয়ারা ভাইয়ারাও দেখা করেছেন! এমন পোস্ট গুল পড়লে আমাদের একটি বৃহৎ গেট টুগেদার করার ভাবনা মনে চলে আসে।
ভাইয়ার সাথে প্রথমবার দেখা হয়েছিল। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। কিন্তু ভাইয়ের কাজের কারণে এবার আর দেখা হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো লাগলো মন্তব্য দেখে।
সামশুন্নাহার আপুর সাথে আপনার দেখা সাক্ষাতের শেষ পর্বটি পরিবেশ ভালো লেগেছে আমার। আসলে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করার জন্য আমরা সকলেই অনেক বেশি আগ্রহী থাকি। যার কারণে সামশুন্নাহার আপু অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও আপনার সাথে দেখা করেছে এবং সময় কাটিয়েছে। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া আপু অসুস্থ ছিল। তবুও আমাদের সাথে দেখা করার জন্য এসেছিল। খুব বেশি সময় থাকতে পারেনি তবুও বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম আমরা।
সত্যি আপু ব্লগারদের সাথে দেখা হলে অনেক ভালো লাগে। যদিও এখন পর্যন্ত কারো সাথে দপখা হয়নি।হয়নি বললে ভুল হবে নিজের কিছু ব্লগার বাদে।যাইহোক আপনারা নিশ্চয় অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমরা অন্যদের সাথে দেখা করতে পারিনি শুধু সামশুন্নাহার আপুর সাথে দেখা করেছিলাম। আর সেই সময় গুলো খুব ভালো লেগেছিল।
দুই বোনকে একসাথে দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। বাচ্চাদের সাথে নিয়ে আপনারা অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আমার বাংলা ব্লগ আমাদের মাঝে অন্যরকম ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছে। যেখানে ফেনী থেকে কক্সবাজার মায়ার বন্ধন একত্রিত করে দিয়েছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনাদের দুজনার জন্য। আবারো যেন একত্রিত হতে পারেন দেখা করতে পারেন একসাথে চলতে পারেন সেই কামনা রইল।
অনেক দূর থেকে গেলেও আসলে সেখানে যে একজন মানুষ আছে তার সাথে দেখা করতে পারব এটাই ভালো লাগে।
এবার কক্সবাজার গিয়ে আমি দেখা করেছিলাম সামসুন্নাহার আপুর সাথে। আপু খুবই ভালো মনের একজন মানুষ। উনার মেয়ে দু'টো খুবই ভালো। ঠিক বলেছেন আপু ব্লগাররা একসাথে মিলিত হলে পার্সোনাল কথা বাদ দিয়ে ব্লগিং নিয়েই কথাবার্তা চলে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনারা সবাই খুব আনন্দ করেছেন। আমরা একটা পরিবারের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছি। তাইতো কোথাও গিয়ে এই প্লাটফর্মের ইউজারদের সাথে দেখা করতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলছেন আপু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের সবার মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করেছে। এজন্যই কারো সাথে দেখা করতেই ভালো লাগে।
দিনগুলো এখনো স্মৃতি হয়ে আছে। আপুর সাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক পুরনো স্মৃতি আবারও পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
এবার থেকে কক্সবাজার যেতে আরো বেশি ভালো লাগবে। কারণ সেখানে আপু সব সময় থাকবে আর আমাদের সাথে দেখা করতে পারবে, সময় কাটাতে পারবে।