পুরনো স্মৃতি ||কক্সবাজার ভ্রমণ।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

IMG_20210929_061533.jpg

IMG_20210929_061538.jpg

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি একটি ভ্রমন পোস্ট। যদিও এই ভ্রমণ অনেক আগের। আমি যখন কক্সবাজার গিয়েছিলাম তখনকার মুহূর্তগুলো তবে আজকে প্রথম দিনের মুহূর্তগুলো একটি পোস্ট আকারে শেয়ার করব।তবে এই ভ্রমণ কয়েকটি পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।পূর্বে এই ভ্রমনের মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করিনি তাই ভাবলাম পুরনো এই মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি। কারণ আমি গতকাল যখন ফটোগ্রাফি গুলো দেখছিলাম তখনই দেখলাম অনেকগুলো ফটোগ্রাফি রয়ে গেছে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। আর সেই পুরনো স্মৃতি মনে চলে এলো ভাবলাম এই মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে আবার পুরনো স্মৃতিকে জাগ্রত করি।

IMG_20210929_053419.jpg
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখ যখন আমরা কক্সবাজার গিয়েছিলাম। আমরা অনেকজন মিলে গিয়েছি। আমি, আমার হাজব্যান্ড, আমাদের এক ভাগ্নে। রকি ভাইয়া আর তার ওয়াইফ, ছোট ভাই এবং এক মামাও ছিল সাথে। যাই হোক আমরা ২৮ তারিখ রাত ৮ টা বাজে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম এবং ফেনী থেকে ১০ টার বাস ধরে ভোর পাঁচটার সময় পৌঁছলাম কলাতলী বাস স্টেশন। এই দীর্ঘ জার্নি আমার জীবনে প্রথমবারের মতো ছিল। আর জার্নি করতে আমার একদমই ভালো লাগে না। কিন্তু জায়গা গুলো ঘুরতে বেশি ভালো লাগে। তবে কি আর করার জার্নি করেই তো যেতে হবে। পুরো রাস্তা আমার কি অস্বস্তি হয়েছিল সেটা হয়তো বলে বোঝানোর মত না। কারণ আমি দূরের রাস্তাগুলো বাসে চড়লে বারবার বমি করি আর সেটাই ঘটেছিল।
IMG_20210929_052308.jpg

বাসের মধ্যে আমি কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই বারবার জিজ্ঞেস করি কখন পৌঁছাবো, কতক্ষন লাগবে। এভাবেই অবশেষে প্রায় সাত আট ঘণ্টা পর গন্তব্যে পৌঁছলাম। কারণ এমনিতে আমি জার্নি করলে ক্লান্ত হয়ে যাই। কলাতলী বাসস্ট্যান্ডে নামার পর আমরা কোন গাড়ি পাচ্ছিলাম না। কারণ এত ভোর বেলায় কেউ বের হয়নি। কি আর করার এই দীর্ঘ সময় জার্নি করার পরও ক্লান্ত শরীর নিয়ে হেঁটে হেঁটে যেতে হয়েছে বীচের পাড়ে।হোটেলে যাওয়ার উপায় নেই,কারণ আমরা সকাল ১০টার জন্য বুকিং করেছিলাম।

IMG_20210929_062017.jpg

Image_1635295173.jpg

যাই হোক অন্ধকার এর মধ্যে গিয়ে সমুদ্রটাকে উপভোগ করলাম। একদম কোলাহলমুক্ত সমুদ্রের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। আশেপাশে নেই কোন গাড়ি-ঘোড়ার শব্দ নেই অন্য কিছু। শুধুমাত্র সমুদ্রের ঢেউয়ের মিষ্টি আওয়াজটাই কানে ভেসে আসছে। যখন ধীরে ধীরে ভোরের আলো দেখা যাচ্ছে তখন চারপাশ খুব সুন্দর করে দেখা যাচ্ছিল। তবে আমরা যখন সাগর পাড়ে ছিলাম তখন দেখলাম যে গুটি গুটি বৃষ্টি পড়েছিলো,তখন আমরা পানির কাছে ছিলাম। সেই হিসেবে ধীরে ধীরে আমরা চলে আসতে থাকলাম। কিন্তু এক পর্যায়ে খুব জোরে বৃষ্টি চলে এসেছিল তাই আমরা দৌড় দিলাম সবাই মিলে।
Image_1635295126.jpg

BeautyPlus_20210929061702344_save.jpg
সেখানে বীচের উপরের দিকে যে দোকানগুলো ছিল সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। কিন্তু বেশ কিছুক্ষন পর যখন সকাল আটটা বাজলো তখন মানুষজন দোকান খুলতে লাগলো। তার আগ পর্যন্ত আমরা সবাই না খেয়েই ছিলাম। মোটামুটি কেক আর পানি খাওয়া হয়েছে, অন্য কোন নাস্তা খাওয়া হয়নি। যাইহোক সকাল দশটা পর্যন্ত আমরা সেখানে ছিলাম কারণ আমরা যে হোটেল বুকিং করেছিলাম সেখানে দশটা বাজলেই ফ্রি হবে কিন্তু আমরা তো ভোরেই চলে এসেছি তাই সকাল দশটা পর্যন্ত সময়টা যেন কাটছেই না। সবাই বীচের পাড়ে একটু হলেও ঘুমিয়ে ছিল, সিটগুলোতে।কিন্তু আমার মোটেও ঘুম আসেনি। কারণ চারিদিকে আওয়াজ, আলো এইসবের মধ্যে আমার ঘুম আসে না। তাই শুয়ে সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করলাম আর কিছু ছবি নিলাম।

BeautyPlus_20210929074629076_save.jpg

BeautyPlus_20210929091151297_save.jpg

এইতো আমার পাশের সিটে একজন যিনি ঘুমের ঘোরে ক্লান্ত। যাইহোক এর ফাকে আমি কিছু ছবি তুলে নিলাম। মোটামুটি নাস্তা সেরে আমরা হোটেলের দিকে রওনা দিলাম। এই ছিল আমাদের প্রথম দিনের সকাল বেলার কাহিনী।পরে বাসায় গিয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে তারপর আবার দুপুরের দিকে বীচে চলে এলাম। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করলাম,বিকেল আর রাত্রেও ঘুরাঘুরি করলাম। তবে আজকে শুধুমাত্র সকালবেলার কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আশা করি ভালো লাগবে।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণভ্রমণ
ক্যামেরা.মডেলজে৫ প্রাইম
ফটোগ্রাফার@bristy1
লোকেশনফেনী

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Sort:  
 2 years ago 

কক্সবাজার ভ্রমনের সেই পুরনো স্মৃতির মুহূর্ত গুলো জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। সত্যিই এই স্মৃতিময় দিনগুলো অসাধারণ ছিল। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলেন। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে কক্সবাজার ভ্রমণের মুহূর্তগুলো অসাধারণ।

 2 years ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 2 years ago 

আপু আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের গল্প পড়ে আমার ভ্রমণ কাহিনি মনে পড়ে গেল।আমি গিয়েছিলাম ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে। আপনার মতো আমিও জার্নি করতে পারি না তবে জায়গাগুলো ঘুরতে খুব ভালো লাগে। আমরা যখন গিয়েছি তখন আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল কিন্তু এমন আবহাওয়া জন্যই আমরা অনেক মজা পেয়েছি। ধন্যবাদ প্রথম দিনের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য। পরের পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

জার্নি করতে আমারও ভালো লাগেনা কিন্তু জায়গা গুলো ঘুরতে বেশি ভালো লাগে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।