ছেলের হাতে নির্যাতন বাবার আত্মহত্যা শেষ পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা'
আজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ছেলের হাতে নির্যাতন বাবার আত্মহত্যার শেষ পর্ব।
গোপালের এমন শাস্তির পর আর মায়ের শরীরে হাত তুলতো না কিন্তুু খুব গালিগালাজ করতো ও ছোট ভাই বোনদের প্রতি অমানুষিক নির্যাতন করতো।
কিছু দিন পর গোপালের বোনের বিয়ে হয়ে যায় আর গোলাপকে রান্না করে খাওয়াতো গোপালের বোন।রান্না একটু খারাপ হলেই মার খেতে হতো। গোপালের বোনের বিয়ের পর গোপালের খাওয়ার কষ্ট হয়ে যায় কারন গোপালের মা বয়স্ক সে রান্না করতে পারে না। কোনমতে রান্না করলেও গোপালের মন মতো হয় না। এদিকে গোপাল পাশের বাড়ির বৌদির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।
একদম স্বামী,স্ত্রীর মতো সময় কাটায় ও গোপালকে রান্না করে দেয়।পাড়াপ্রতিবেশি কেউ কিছু বলার সাহস পায় না কারণ গোপালের বাজে ব্যাবহার ও ভাষা খারাপকে সবাই ভয় পায়।ঐ মহিলা ও ভীষণ ভয়ংকর বর কিছু বলার সাহস পায় না তবে বর আর্টের শিক্ষক এক বেসরকারি স্কুলের তাই তিনি বাড়িতে থাকেন না।
আস্তে আস্তে গ্রামের মানুষের কানাকানি ও ঐ মহিলার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে তাদের পরকীয় সম্পর্কের বিষয়ে। প্রথম প্রথম কিছু না বল্লেও পরে সবাই নানা ভাবে মহিলাকে হেয় করতে থাকে।এক পর্যায়ে ঐ মহিলার বর বাসায় নিয়ে যায় মহিলাকে।আবারও গোপাল একা হয়ে যায় এবং রান্না খাওয়ার সমস্যা হয়।
এখন গোলাপের জন্য গোপালের আত্নীয় স্বজন মেয়ে দেখতে থাকে বিয়ের জন্য। অনেক মেয়ে দেখে গোপালের পছন্দ হয় না আর যে মেয়েকে পছন্দ হয় সে মেয়ের বাড়ি থেকে গোপাল কে পছন্দ করে না।
এভাবে চলতে চলতে একটি মেয়ের সাথে গোপালের বিয়ে ঠিক হয় অনেক সুন্দর মেয়েটি দেখতে।মেয়েরা দুবোন। মেয়ে বড়ো।ছোট বোন দেখতে সুন্দর নয় কালে লিকলিকে চেহারা।শুভ দিনক্ষণ দেখে বিয়ের পিড়িতে বসে গোপাল।বেশ ভালোই চলছিলো গোপালের সংসার।এক বছরের মাথায় গোপালের বউ প্রেগন্যান্ট হয়।
গোপালের বউ মাঝে মাঝেই অসুস্থ থাকতো যেমনটা মা হওয়ার সময় সব মেয়েরাই হয়ে থাকে।গোপালের সালি গোপালের বাড়িতে এসে থাকতো এবং রান্নাবান্না করতো।দশমাস দশদিন পর গোপালের বউয়ের কোল জুড়ে একটি ছেলে সন্তান আসে।তখনো গোপালের সালি গোপালের সংসারের সব দায়িত্ব পালন করে।এভাবে গোপালের বাচ্চার বয়স যখন তিনমাস হয় তখন গোপাল একদিন সালিকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলে।গোপালের বউ বাপের বাড়িতে ছিলো এবং গোপালও শ্বশুড় বাড়িতে গিয়েছিল।
গোপাল না কি সালিকে ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছে কোথাও এটা বলে দুজন বের হয়েছিলো বাড়ি থেকে আর সোজা কোন মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে এবং সালিকে নিয়ে নিজ বাড়িতে উঠেছে।এদিকে সন্ধ্যা গড়িরে রাত হয়ে গেছে রাত গাড়িয়ে সকাল গোপালের বউ পরদিন সকালে জানতে পারেন আসল ঘটনা।
গোপালের বউ ছুটে আসে শ্বশুর বাড়িতে আর এসে দেখে তারই ছোট বোন তার বরকে বিয়ে করে তারই বেডরুমে ঢুকেছে। কিছুতেই মেনে নিতে পারে না বেশ ঝামেলা হয় কয়েক দিন। আত্নহত্যারও চেষ্টা করে কয়েক দিন ও ব্যার্থ হয় দেওর ও শ্বশুড়ির সতর্কতার জন্য । অবশেষে গোপালের বউ হেরে গিয়ে ছোটবোনকে তার সংসার ছেরে দিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায় ছেলেকে নিয়ে।
গোপালের বউয়ের নিজের মায়ের পেটের বোন তার সাথে বেইমানি করে কতো সহজেই। আসলে গ্রামের মানুষ পড়ে বুঝতে পারে আসল কাহিনি। গোপাল ওর শালির সাথে খুব দুষ্টমী করতেন সবার সামনে সালির কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকতেন।আর গোপাল সব সময় উচ্চ শব্দ দিয়ে বাক্সে একটি গান শুনতেন গানটির কথা ছিলো"মেলাত নিয়া যাও ও দুলাভাই মেলায় নিয়ে যাও"হাহাহা।আসলে সবাই কিছু মনে করতো না কারণ সালি ও জামাইবাবু সম্পর্ক একটু দুষ্ট মিষ্টি হয় এটাই স্বাভাবিক। তারা যে তলে তলে এতো বড়ো কাহিনি সাজিয়ে রেখেছে কে জানে।
গোপালের বড়ো বউ মানঅভিমান নিয়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে ঢাকায় চলে যায়।আর কখনো কোনদিন ফিরে আসার চেষ্টা করেনি বরের কাছে।বরও তাকে ফেরানোর কোন চেষ্টা করে নি।গোপালের বউ ঢাকায় চলে যায় তার বাবা মাকে নিয়ে।তিনি একটি কোম্পানিতে চাকুরী করে এবং বাবা মা গোপালের সন্তান দেখাশোনা করে।গোপালের বউয়ের মা,বাবা ওনার পক্ষে ছিলো ছোট মেয়ের সাথে সব রকমের সম্পর্ক তুলে দিয়েছেন।
গোপালের বউয়ের কিছু দিন আগে বিয়ে হয়েছে এক বউ মারা গেছে লোকের সাথে তবে লোকটি টিচার। এদিকে গোপালের সালি ছোট বউয়ের ঘরে মেয়ে জন্ম নিয়েছে। ওনারা বিয়ের পরে পরেই ঢাকায় গিয়েছিল এবং গোপাল ও ছোট বউ দু'জনে ই জব করেন।এখন কি অবস্থা ওনাদের তা জানি না কারণ গোপাল বিয়ে করে ঢাকায় গেছে আজ অবদি আর গ্রামে আসেন নি।
গোপাল লোকটি শুরু থেকে শেষ অবদি না না রকমের অপ্রকাশিত কাজের সাথেই জড়িতো ছিলেন। প্রথমে তার খারাও আচরণের কারণে বাবা মারা গেলেন আত্নহত্যা করে। প্রথম বউও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো বোন কে বিয়ে করেছে জন্য।
একজন খারাপ মানুষের জন্য আত্মহত্যা না করে গোপালের বউ ঘুরে দাড়িয়েছেন জন্য ধন্যবাদ।
আজকের মতে এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
মানুষ কতটা নিচে নামলে তার নিজের আপন মানুষগুলোর উপর অত্যাচার করে এটা বোঝাই যাচ্ছে আপু। আসলে এটা খুবই ঘৃণ্য কাজ। মাঝে মাঝে মনে হয় এগুলোকে গুলি করে মেরে ফেলা উচিত। গোপালের মতো এরকম অনেক মানুষ আমাদের সমাজে দেখা যায় আপু।
ধন্যবাদ আপু।
কতটা নিচু মানুষ হলে বাবা মা আত্মহত্যা করতে পারে।সন্তানের জন্য তারা এতই কষ্ট পেয়েছিল সহ্য না করতে পেরে নিজেদের জীবন ত্যাগ করেছিল।বউয়ের ছোট বোনকে বিয়ে করায় সেও আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল।কিন্তু পরবর্তীতে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজের জীবন সুন্দর ভাবে শুরু করেছিল জেনে খুবই ভালো লাগলো।এমন মানুষ সমাজের আবর্জনা।
ঠিক বলেছেন আপু এই ধরনের মানুষ সত্যি সমাজের আবর্জনা।