শুক্রবারের বিকেল বেলায় কাটানো মুহূর্ত
দিন যত যাচ্ছে বাস্তব জগৎটা খুব ছোট হয়ে আসছে আমার জন্য আর ভার্চুয়াল জগৎটা অনেকটাই যেন প্রসারিত হচ্ছে। কর্মই যেহেতু ভার্চুয়াল জগৎ কে কেন্দ্র করে, তাই বাস্তবের সঙ্গে এই দূরত্ব তৈরি হওয়া নিতান্তই অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তবে আমি ভীষণ ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পছন্দ করি। বাস্তবের ঊর্ধ্বে কোন কিছু না, হোক সেটা বিনোদন নতুবা অন্য কিছু। তাই সময় সুযোগ পেলেই, বাস্তবের আমি সত্তা কে নিয়ে ঘুরিফিরি। যেহেতু গতকাল সপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল, তাই পড়ন্ত বেলায় ছুটে গিয়েছিলাম একদম লোকালয় বিহীন নির্জন এলাকায়।
মূলত গিয়েছিলাম বাগদা ফার্ম এলাকায়। আগে যখন স্থানীয় চিনিকল চালু ছিল, তখন এই পরিত্যাক্ত এলাকায় বসবাস করত চিনিকলের লোকজন। তবে কালের বিবর্তনে চিনিকল যেমনটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তেমনটা আবার আখ চাষের ফার্ম এলাকা হয়েছে জনগণ শূন্য।
তাই বলতে গেলে এখন এলাকাটা দর্শনার্থীদের দখলে চলে গিয়েছে। শহর থেকে প্রায়ই লোকজন আসে এখানটাতে পরিবার নিয়ে ঘুরতে। যেহেতু খেলার মাঠ আছে, তাছাড়া চতুর্দিকে প্রচুর গাছপালা এবং সবুজে ঘেরা জায়গা, তাই অনায়াসেই সবাই যেন আকৃষ্ট হয়ে যায় এই পুরনো ফার্ম এলাকার প্রতি।
প্রায় দু'ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলাম ফার্ম এলাকায়, পরিত্যাক্ত বাড়িঘর গুলো দেখছিলাম, দেখছিলাম সেখানে ফার্মের লোকজনের বসবাসের জন্য সবকিছুর ব্যবস্থা ছিল, আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে ছোট হাসপাতাল , দোকানপাট, পুকুর, ফলজ বাগান, এমনকি ফার্মের বাচ্চাদের লেখাপড়ার জন্য ছিল স্কুল। যখন চিনিকল বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তারপর থেকেই ফার্মের এই বেহাল দশা।
আজ সবকিছুর শুধু অবকাঠামো আছে, তবে কোন কিছুই আর আগের মতো নেই। থাক সেসব পুরনো কথা, যেহেতু পড়ন্ত বেলায় গিযেছিলাম, তাই অনেকটা সময় নিরিবিলি পরিবেশে নিজের মতো করে সময় কাটিয়েছিলাম, যা আমার মানসিক প্রশান্তির জন্য ভীষণ দরকার ছিল।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আমি যখন আপনার ব্লগ পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল একজন মানুষের জীবন কেন্দ্র। একটা সময় কত আশা পরিকল্পনা নিয়ে এই বাগদা চিনির কলের ফার্ম হাউস তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় যাবতীয় সবকিছু এখানে রয়েছে। কিন্তু আজ সে প্রয়োজনীয় সুন্দর ভাবে গড়া লোকেশন টা পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। মানুষের জীবনটা ঠিক এমনই। একজন মানুষ আশা ভরসা পরিকল্পনা নিয়ে অনেক কিছু তৈরি করে। যখন সে মানুষটা দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়,তখন তার সবকিছু পড়ে থাকে, শুধু সে থাকে না। আমার কাছে অনুভূতিটা এভাবেই ধরা পরল। একটা সময়ের কত রকমের চিন্তা চেতনা আজকে পরিত্যক্ত রূপ নিয়েছে। তবে নিরিবিরি এমন পরিবেশগুলোতে ঘুরতে আমিও পছন্দ করি। এতে মনের প্রশান্তি মেলে।
এটাই তো বাস্তব, কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়।
দিনশেষে কর্মই জীবন। আর সে জীবনটা ক্রমেই আপনার প্রসারিত হচ্ছে ভার্চুয়াল জগৎটাকে কেন্দ্র করে। পড়ন্ত বেলায় বাগদা ফার্মে ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। সময়ের পরিবর্তনে কতকিছুই পরিবর্তন হয়ে যায়। চিনিকলটা এখন নেই। জায়গাটা একদম নিরিবিলি দেখা যাচ্ছে।।
যত দিন যাচ্ছে ততোই তো কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে ভাই , ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
এমন নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে আমারও খুব ভালো লাগে ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো আমারও ইচ্ছে করছে সেখানে গিয়ে ঘুরাঘুরি করতে। আসলে এই ধরনের জায়গায় সময় কাটাতে পারলে,মনটা সত্যিই ফ্রেশ হয়ে যায়। বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। সবমিলিয়ে সেখানে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য জায়গাটা আসলেই বেশ নিরিবিলি এবং সময়টাও দারুণ কেটেছিল ।
আসলেই দিনদিন কেমন জানি সবাই চার দেয়ালের মাঝে মুঠোফোন ইন্টারনেট এর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে সবার জীবন..!বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে করে মানুষের সাথে মেশার চেয়ে নিজেকে একটা গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ রাখাটাই ভালো সেটা আপনাকে দেখে বুঝেছি।আগে ভাবতাম মানুষের সাথে মিশলে হয়তো বা ভালো থাকা যায়! কিন্তু ইদানীং মনে হয় মানুষের সাথে বেশি ঘনিষ্ঠ হওয়া মানেই খারাপ থাকাকে আমন্ত্রণ জানানো।সারা সপ্তাহের একটিমাত্র ছুটির দিনে প্রকৃতির সাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন যা আপনাকে আবারও নতুন উদ্যমে কাজের শক্তি যোগাবে।অসাধারণ ফটোগ্রাফি এবং সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।