বাঁশ
৩৪-৩৫ বছরের জীবনে চলার পথে যে বাঁশ গুলো খেয়েছি, তা নিতান্তই বাহিরের মানুষের কাছ থেকে না, বলতে গেলে নিজের লোকজনের কাছ থেকেই। আরো সহজ করে বলতে গেলে, যাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মিশেছি, ঠিক তাদের পক্ষ থেকেই যত্ন সহকারে বাঁশগুলো খেয়েছি।
এমনও অবস্থার ভিতর দিয়ে যেতে হয়েছে যে, আমি স্বচক্ষে দেখছি আমার কাছের মানুষ আমাকে বাঁশ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত, তারপরেও হাসিমুখে তা গ্রহণ করেছি। বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ ছাড়াই। পৃথিবী আসলে সহজ মানুষের জায়গা না। তারপরেও দেখুন না, সহজ মানুষগুলো ক্রমাগত বাঁশ খেয়ে খেয়ে কতো সচল হয়ে আছে ।
পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নতুবা কর্মক্ষেত্রের অতি সুপরিচিত সহকর্মী, সবাই এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে আপনাকে বাঁশ দেওয়ার জন্য। আপনার অবস্থা, ব্যথিত মন, সমস্যা, মানসিক চাপ, দুঃখ-কষ্ট কেউ বুঝতে চাবে না। সবাই শুধু বাঁশ দিতে পারলেই বেঁচে যাবে কিংবা শান্তি পাবে।
আজকাল আর তেমনটা কষ্ট পাই না বরং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মানুষের কার্যক্রম দেখে কিছুটা হলে শুরুতেই আন্দাজ করতে পারি, যে কোন সময় বাঁশ আসতে বাধ্য আমার গন্তব্যে।
অভিশাপ-অভিমান রাখি না বা দেই না। তবে কর্মফল বলে একটা বিষয় থাকে, যা অনেকটা নিয়তির মতো, শুনেছি এটা নাকি অধিক কার্যকরী হয় সকলের ক্ষেত্রেই।
তাই যারা বাঁশ দিচ্ছেন কিংবা বাঁশ খাচ্ছেন, চিন্তা করে লাভ নেই, নিয়তি কোন না কোন সময় বরাবর যোগফল মিলিয়ে দেবে ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাইরের মানুষ চাইলেও আমাদের খুব বেশি ক্ষতি করতে পারে না। বড় ক্ষতিগুলো খুব কাছের মানুষই করে। বড় আঘাত আমরা তাদের থেকেই পেয়ে থাকি। একেবারে স্পষ্ট সত্য কথা বলেছেন।
আমার কাছেও তেমনটাই মনে হয় ভাই।