পরিতৃপ্ত সময়
ঠিক কতদিন পরে এভাবে বৃষ্টিতে ভেজা হলো, তা বলা মুশকিল। তবে এ যাত্রায় আর যাইহোক, বন্ধু ছিল না। একটা সময়ের পরে গিয়ে বন্ধু নামক সম্পর্ক গুলো থাকেই না, অনেকটা পানসে হয়ে যায় নতুবা হাওয়ায় মিশে যায়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে কি জানেন, আর যাইহোক কারো সঙ্গে অতি ঘনিষ্ঠপূর্ণ সম্পর্কে এখন আর জড়াই না। অনেকটা ইচ্ছে করেই কিংবা বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে।
সরল-গোছানো মানুষ হওয়া সহজ না, তবে চেষ্টা করতে অসুবিধা কোথায়! এই যে চারপাশে এতো গোছানো মানুষ দেখছেন, সবগুলো একেকটা আবরণ জড়িয়ে আছে।
তাই যত সম্ভব হয়, দূরত্ব বজায় রাখি আবরণে জড়িয়ে থাকা মানুষদের থেকে। এজন্যই হয়তো গন্তব্য আমার কখনো এক জায়গায় হয় না, অনেকটা যাযাবরের মতো ছুটে বেড়াই।
সম্পর্কহীন মানুষ আমি, আবার বলতে পারেন সবার সঙ্গেই টুকটাক ভাবের বিনিময় হয়, মানে যাদের সঙ্গে চিন্তাভাবনা মিলে আরকি। সেক্ষেত্রে অবশ্য বয়স কিংবা অন্য কিছু বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
তখনো দূর আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা, এ লক্ষণ যে খুব একটা সুবিধার নয়, তা আমার সঙ্গে যারা ছিল তারা যেমন ভালো বুঝতে পেরেছে, তেমনটা আমিও।
ফিসফিসিয়ে সহযাত্রীদের বললাম, তোমরা কি এই হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজতে রাজি আছো নাকি নীড়ে ফিরবে।
বড্ড অবাক হয়ে গেলাম শেষ বেলায় এসে , বহুদিন পরে দুটো অজানা অচেনা তরুণ প্রাণ আমার সঙ্গে ভিজতে চায়, যাদের সঙ্গে পরিচয়টাও আমার খুবই সীমিত সময়ের।
অতঃপর মোটরবাইকে চড়ে কাকভেজা হয়ে ঘুরেফিরে, গরম ধোঁয়া ওঠা রং চায়ের স্বাদ নিয়ে , পরিতৃপ্ত করলাম সময়টাকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার লেখাটা খুব ভালো লেগেছে। সম্পর্কের গ্লানি, জীবনের পরিবর্তন আর ছোট ছোট মুহূর্তের মূল্যবানতা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সত্যিই আজকের সময়ে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা কঠিন, কিন্তু ছোট ছোট সুখের মুহূর্তগুলোই আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলে। বৃষ্টিতে ভেজা, গরম চায়ের স্বাদ এসবই জীবনের মাধুর্য।এমন অনুভূতিপূর্ণ লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার লেখায় সবাই অনুপ্রাণিত হবে। আশা করি আরও সুন্দর পোস্ট পাবো আপনার কাছ থেকে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আপু, আপনার সাবলীল সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শুভেচ্ছা রইল।