ক্যাম্পাস
গত কয়েকদিন আগে বিআরটিএ অফিস থেকে বার্তা এসেছে, মূলত আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে বিধায় তারা আমাকে সশরীরে উপস্থিত হতে বলেছে তাদের অফিসে। এজন্যই গতকাল গিয়েছিলাম চিরচেনা বগুড়া শহরে।
বগুড়া শহরের প্রতি আলাদা দুর্বলতা বহু আগে থেকেই আছে। কেননা দীর্ঘ অনেকটা বছর পড়াশোনার জন্য বগুড়া শহরে ছিলাম । এজন্যই দুর্বলতা, তার বাইরে আর কিছু না।
তবে সময়ের বিবর্তনে , সবকিছুর পরিবর্তন হয়েছে। হোক সেটা নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস কিংবা শহরের চেনা রূপ।
গতকাল যখন বিআরটিএ অফিসে যাচ্ছিলাম, তখন যাত্রাপথেই ক্যাম্পাসের সামনে খানিকটা সময়ের জন্য ইচ্ছে করেই বিরতি দিয়েছিলাম। কেন এই বিরতি, তা নিয়ে যদি বলতে চাই, তাহলে হয়তো বেশ আবেগতাড়িত হতে হবে।
আসলে সবার ক্ষেত্রেই নিজের ক্যাম্পাস নিয়ে বলতে গেলে, আবেগতাড়িত হওয়া নিতান্তই অস্বাভাবিক কিছু না। কলেজ জীবনের বন্ধুদেরকে খুব মিস করছিলাম, আজ তারা কে কোথায় আছে কিছুই জানিনা, অনেকের সঙ্গে টুকটাক কথা হয় তাও সেটা সোশ্যাল মিডিয়াতে, আবার কলেজ জীবনের পর থেকে অনেকের সঙ্গে আর দেখাই হয়নি।
যাত্রাপথের এই বিরতিতে খানিকটা সময়ের জন্য হলেও যেন, বারবার ফেলে আসা জীবনের কথা মনে পড়ছিল, অতীত বড়ই আবেগপ্রবণ। খানিকটা সময়ের জন্য বারবার পায়চারি করছিলাম ক্যাম্পাসের সামনে আর পুরনো দিনগুলোর কথা ভাবছিলাম।
জীবন থেকে যে অনেক কিছু হারিয়ে গিয়েছে, তা যেন আজ বেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারছি। এটাই আমার প্রিয় ক্যাম্পাস, এখানেই কেটেছিল আমার রঙিন সময়, যা আজ শুধুই অতীত।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
