উত্তেজিত জনতা
যেহেতু একদম হাইওয়ে সংলগ্ন আমার বাসা, তাই মোটামুটি সারা দিন-রাত সর্বত্র এখানে লোকজনের সমাগম লেগেই থাকে। সকাল বেলার দিকে, কেবল ঘুম থেকে উঠেছি তাতেই শুনতে পাচ্ছিলাম রাস্তায় লোকজন প্রচুর চিৎকার চেঁচামেচি করছে।
ব্যাপারটা কোনভাবেই স্বাভাবিক ঠেকছিল না, অতঃপর একটু বাহিরে গিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম ঘটনাটা। যা দেখলাম, তা দেখে বেশ ব্যথিত হয়ে গিয়েছি। চৌরাস্তার মোড়ে যে জায়গাটাতে আমি প্রতিদিন চা খেতে যাই, সেখানে যে রিক্সার স্ট্যান্ড আছে, ওখানেই মূলত দুর্ঘটনাটা ঘটেছে।
জেলা পুলিশের যে, রেকার গাড়ি আছে সেটা উপজেলায় আসছিল আর চৌরাস্তার মোড়ে যেহেতু প্রতিনিয়ত কিছুটা ভীড় লেগেই থাকে, তাই সেখানে পুলিশের রেকার গাড়িটা কোনভাবেই তেমনটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। যার কারণে মুহূর্তেই ঘটে যায় বিপত্তি।
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রিক্সার উপর চাপিয়ে দেয় রেকার গাড়িটি, তারপর যেটা ঘটে সেটাই হয়েছে। নিমিষেই দুটো প্রাণ ঝরে গেল। রিক্সা চালক ও রিক্সার উপর যে যাত্রী বসেছিল, তাদের ঘটনাস্থলেই প্রাণ চলে যায়। ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে তাদের দেহ । পুরো পিচ ঢালা রাস্তা রক্তে একদম লাল হয়ে গিয়েছে।
এমন দৃশ্য উপস্থিত জনতা দেখে, তারা নিজেদেরকে কোনভাবেই স্থির করতে পারেনি বরং উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিল। সাধারণ জনগণ যখন উত্তেজিত হয়ে যায়, তখন হয়তো বুঝতেই পারছেন বিষয়টা কোন দিকে গড়িয়ে যায়।
এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে, মুহূর্তেই পুলিশের রেকার গাড়ি এবং হাইওয়ে ট্রাফিক বক্স ভেঙে ফেলেছে, রাস্তায় আগুন দিয়েছে এবং উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের, উত্তেজিত জনতা একটু উত্তম-মধ্যম দিয়েছে। হাজারো জনগণের সামনে কয়েকজন পুলিশ অনেকটাই নিরীহ অবস্থার ভিতরে পড়ে গিয়েছিল। পরে অবশ্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার মাধ্যমে , তারপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।
এই যে সকাল সকাল দুটো প্রাণ ঝরে গেল, সত্যি কথা বলতে গেলে কি, এসবের কোন বিচারই হবে না । হয়তো তদন্ত কমিটি গঠন হবে, ব্যাপারটা ঠিক এতোটুকুই।
তবে যার যায়, সেই বোঝে নিজের মানুষ হারানোর ব্যাথা কতটুকু।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবকিছুর দাম দিনদিন বাড়ছে, একমাত্র আমাদের দেশের সাধারণ মানুষদের দাম কমছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাসা থেকে বের হয়ে, আবার বাসায় ফিরে আসতে পারবো কিনা, সেটার কোনো গ্যারান্টি নেই। আসলেই ভাই আপন মানুষ যে হারায়, সে ই বুঝে কতোটা কষ্ট হয়। জনতার উচিত ছিলো উপস্থিত পুলিশদেরকে বেদম পিটানো। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আসলেই মর্মাহত হলাম ভাই।
রাস্তাঘাটে বের হলে মনে হয় জীবন আসলেই হাতে নিয়ে ঘুরছি, এটা একদম সত্যি কথা । ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি।
আজকাল এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা গুলো যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে। আর এসব দুর্ঘটনার দায়ভার সকলেই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সকাল সকাল চোখের নিমিষেই দুটো প্রাণ ঝরে গেল অথচ কারোর কিছু যায় আসে না। শুধুমাত্র সেই দুজন ব্যক্তির পরিবারই জানে তাদের কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা তাদের আপন জনকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখে উত্তেজিত জনতা স্থির থাকতে পারিনি বলেই পুলিশ সদস্যদের বেধড়ক মারপিট করেছে। এমন মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা কাররই কাম্য নয়। ভীষণ খারাপ লাগলো ভাইয়া, দুটি তরতাজা প্রাণ ঝরে গেল জেনে।
যার যায় সেই বোঝে, ব্যাপারটা সত্যিই হৃদয়বিদারক।
ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এই যে আপনি শেয়ার করলেন, এই ঘটনা মনে হয় না কোনো মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশিত হবে। দুটো প্রাণ ঝরে যাওয়ার বিচারও কোনোদিন হবে না। খারাপ লাগলো অবশ্য এভাবে মারা গেল দুজন।
আমারও তাই মনে হয় ভাই, এগুলোর আসলে সত্যিই কোন বিচার হয় না।
এই ঘটনাটি গুলি খুবই মর্মান্তিক।খুবই খারাপ লাগলো দুটি নিরীহ প্রাণ চলে গেল জেনে।এমন পরিস্থিতিতে জনগন উত্তেজিত হওয়াটা স্বাভাবিক।আসলে পুলিশদের এখন কেউ মানতেই চায় না।যাইহোক ভালো বিচারকের বড্ড অভাব এখনকার সমাজে দাদা।