অতিরিক্ত চিন্তা পরিত্রাণ জরুরি||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি,এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা পোস্টের টাইটেল দেখে।আমরা যতোই ভাবি যে চিন্তামুক্ত থাকবো।কিন্তু আমরা কখনোই আমাদের মনের চিন্তাভাবনা থামিয়ে রাখতে পারিনা।আমাদের বয়স ক্রমান্বয়ে যত বাড়ছে চিন্তাও তেমনি যেন বেড়েই চলেছে।আগামীতে কি হবে এই নিয়ে ভবিষ্যতের যত চিন্তাভাবনা।আর এই চিন্তার পাল্লায় পড়ে আমরা বর্তমান কে নষ্ট করে ফেলেছি।আমরা যদি একটু পিছনের দিকে তাকাই সেখানে আমাদের শৈশব কিন্তু মোটেও এতো চিন্তার ছিলনা।এখন আমরা যারা ছাত্রছাত্রী রয়েছি,তাদের যেন আর চিন্তার শেষ নেই।এক পরীক্ষা যেতে আর একটা পরীক্ষা এসে হাজির।আমাদের লাইফে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন চিন্তা তবে কর্মে বেশিরভাগই শূন্য ।আমরা যে পরিমাণ চিন্তায় সময় নষ্ট করছি দিনদিন,সেই সময় টা কিন্তু কাজে দিচ্ছিনা ।যার দরুন আমাদের জীবনও সমৃদ্ধ হচ্ছেনা।
এই আমার কথায় যদি বলি,রাত দিন ২৪ ঘণ্টা নিয়ে কতটুকুই বা পড়াশুনা করছি।তার চেয়ে বেশি চিন্তায় ব্যয় করে ফেলেছি।দিনের সময়টুকু সদ ব্যবহার যদিও কিছুটা হয় কিন্তু রাতের সময়টুকু একদমই বিফলে যায়।আর এভাবেই আরো একটি দিন বিফলে যায়।সপ্তাহ বা বছর শেষে ফলাফল শূন্য চলে আসে।যার ফলে আবারও চিন্তায় পড়তে হয়।আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা যেকোনো কিছুতেই অতিরিক্ত চাপ নিয়ে ফেলি। আমাদের জীবন যে অতোটা চাপের নয়,সেটা আমরা বুঝতে অনেক দেরি করে ফেলি।বিশেষ করে পরীক্ষা দেওয়ার সময় আমাদের মনে চিন্তা ভাবনা গুলো বেশি পীড়ার কারণ হয়।যে পরীক্ষায় ভালো না করলে কি হবে ইত্যাদি অযৌক্তিক চিন্তাভাবনা সব।
ছোট বেলায় যখন স্কুলে পড়তাম,তখন পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে সাজুগুজু করতে বসতাম।এই চুড়ি,লিপস্টিক আরো নতুন জামা পড়তে হবে তারপর পরীক্ষা দিতে যাওয়া।তখনকার দিনগুলোতে এতো চিন্তা ছিলনা । এমনও হতো পরীক্ষার সময় সাজুগুজু করার জন্য আম্মু উত্তম মাধ্যম দিত ।পরীক্ষার যে স্বাভাবিক চিন্তা সেটা না থাকার জন্য,হাহা।আর এখন পরীক্ষার সময় এতোটাই বেশি চিন্তায় থাকতে হয় ।আগের দিন থেকে ঘুম বন্ধ হয়ে যায় আর পরীক্ষার দিন তো খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ।একদম পরীক্ষা দিয়ে এসে শান্তি।আমরা অতিরিক্ত চিন্তা করার জন্যই নিজেদের জীবনে হাজার সমস্যায় পড়ি।সর্বোপরি আমাদের সবাইকে অতিরিক্ত চিন্তা বর্জন করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

আমরা সবাই এই বিষয়টি জানি কিন্তু মানি না। আমাদের সবার চিন্তা মুক্ত থাকা দরকার। চিন্তা মুক্ত থাকতে পারলে অনেক অসুখ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। আর আমরা বেশি চিন্তা না করে যদি কাজ বেশি করি তাহলে চিন্তা কমে যায়। তাই আমাদের বেশি বেশি কাজ করা দরকার।
জি আপু ঠিক বলেছেন আপনি একদম,ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু আমাদের চিন্তা করে সময় নষ্ট করা যদি ও উচিত নয়। তবে চিন্তা করতে হয় না এমনিতে চলে আসে চিন্তা। আর ছোট বেলায় আমাদের চিন্তা ছিল না আমাদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা ছিল বাবা মার হা হা হা।যাইহোক আপু সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ।
একদম আপু,চিন্তা নিয়ে আসার জন্য কতো চেষ্টা ছিল তাদের।এখন তাদের নেই আমাদের 🤣।
অতিরিক্ত চিন্তার ফল কি হয় তা আমি জানি। কিছুদিন আগে তো আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। ঠিক বলেছেন আপু আমরা কাজের থেকে চিন্তায় সময় বেশি অপচয় করি। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু খুব ভালো লাগলো পড়ে।
জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
চিন্তামুক্ত থাকা আমাদের সকলের উচিত। চিন্তামুক্ত থাকলে অনেক অসুখ থেকে ভালো থাকা যায়। তাই চিন্তা না করে যদি কাজ করে যাই তবে চিন্তা অনেক কমে যায়। তাই আমাদের চিন্তা না করে কাজে মন দেয়া উচিত।সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই আমাদের সবার উচিত অতিরিক্ত চিন্তা পরিত্রাণ করা। অতিরিক্ত চিন্তা যদি আমাদের মনের ভেতর বাসা বাঁধে তাহলে আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়ে দাঁড়াবে এটি। তাই এটি যত তাড়াতাড়ি পরিত্রাণ করা সম্ভব তত তাড়াতাড়ি পরিত্রাণ করা উচিত। আপনি আজকে এই বিষয়টা তুলে ধরে পোস্টটা লিখেছেন দেখে অনেক দারুন লাগলো। সম্পূর্ণটা পড়ে ভালো লাগলো আপু।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা ভালো তবে আমার মনে হয় সেই চিন্তায় বিভোর হয়ে সব সময় মানসিক প্রেসারে থাকা মোটেই ভালো নয়। গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে লিখেছেন পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
জি ঠিক বলেছেন একদম,ধন্যবাদ ভাইয়া।