জেনারেল রাইটিংঃইভটিজিং ।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
বন্ধুরা কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন সবাই। আমিও ভালো আছি। আজ ৷১৭ই জ্যৈষ্ঠ,গ্রীষ্মকাল, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। ৩১শে মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। আমার বাংলা ব্লগে প্রতি সপ্তাহে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করার চেষ্টা করি। তারেই ধারাবাহিকতায় আজকেও একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশাকরি বরাবরের মত সাথেই থাকবেন।
নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাব এখনো কাটেনি। এর রেশ আরো দুই-তিন দিন থাকতে পারে। আজ সকালে ঢাকার আবহাওয়া ছিল, ঝলমলে রোদে ভরা। তবে তার ব্যাপ্তি ছিল দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। ১২ টার পরেই হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং বৃষ্টি। তারপর থেমে থেমে বৃষ্টি। সন্ধ্যার পর থেকে অবশ্য বৃষ্টি হয়নি। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। গত দশদিন ধরে দিনের কোন না কোন সময় বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকায়। সামনেই ঈদ। পবিত্র ঈদুল আযহা। বৃষ্টি ঈদের প্রস্তুতি গ্রহণে কিছুটা হলেও বাঁধা সৃষ্টি করছে। মানুষ অবশ্য বৃষ্টিকে উপক্ষা করেই ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো ইভটিজিং এর উপর।
ইভটিজিং সম্পর্কে সবাই আমরা কম বেশি জানি। ইভ এবং টিজিং দুটি আলাদা শব্দ। একত্রে ইভটিজিং হয়েছে। ইভ শব্দটি নারী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। আর টিজিং অর্থ সম্পর্কে আমরা অবগত। ইভটিজিংকে আমরা কথা,কাজ ও আচরণ দ্বারা নারীকে উত্ত্যক্ত বা জ্বালাতন করাকে বুঝতে পারি। আমাদের সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। অনেক ক্ষেত্রে নারীদের অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হয়। নারীদের অসহায়, দূর্বল ভাবা হয়। সেটা ঘরে এবং বাইরে। বর্তমান যুগে নারীরা শিক্ষা,কর্মসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও কিছু মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এখনো সেকেলে। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার এখনো নারী বান্ধব হিসেবে তৈরি হয়নি। তাইতো এখনো নারীদের তাদের অধিকারের জন্য বিশ্বব্যাপী লড়াই করতে হয়। নারী অধিকারের বিষয় গুলো নিয়ে আমরা আর একদিন আলোচনা করবো। আজ ইভটিজিং নিয়ে আলাপ করি।
কারা ইভটিজিং করে? আমরা সবাই জানি। আমাদের পরিচিত। আমাদের আপনজন। আমাদের কারো সন্তান-ভাই। ইভটিজিং থেকে নারীদের রক্ষা করতে গেলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব সমান। পরিবারের শিক্ষা যেমন জরুরি, সমাজের শাসনও জরুরি এবং রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগ আরও জরুরি। পরিবার যদি সন্তানদের নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান শেখায় তাহলে কেউ ইভটিজিং করবে না। এই শিক্ষাটা কিন্তু জরুরি। এক্ষেত্রে নারীদেরও ভূমিকা আছে। মুখ বুঝে ইভটিজিং সহ্য না করে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করা। আইনের আশ্রয় নেয়া। মুখ বুঝে সহ্য করা মানে ইভটিজারদের উৎসাহিত করা। ধর্মীয় কুপমুন্ডুকতা,অশিক্ষা-কুশিক্ষা ও সামাজিক প্রতিরোধের অভাব ও আইনের দূর্বল প্রয়োগ ইভটিজিং এর জন্য দায়ী। আমরা যদি পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রিয় ভাবে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি তাহলে ইভটিজিং মুক্ত সমাজ ও দেশ আমরা পাবো। নারীর মর্যাদা রক্ষায় যা খুব জরুরি। আসুন ঘরে, বাইরে, কর্মক্ষেত্রে নারীর মর্যাদা রক্ষা করি। সুখি পরিবার ও দেশ গড়ে তুলি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ৩১শে মে, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/selina_akh/status/1928860795993018832
Link
https://x.com/selina_akh/status/1928741195825512744
https://x.com/selina_akh/status/1928740605452292179
https://x.com/selina_akh/status/1928740179822653714
ইভটিজিং রোধে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুকাল থেকেই ছেলেমেয়েদের নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। স্কুল-কলেজে জেন্ডার সেন্সিটিভিটি কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে।ইভটিজিং বন্ধে শুধু আইন থাকলেই চলবে না, এর প্রয়োগও নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ ও প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে ভুক্তভোগীরা নিঃশঙ্কায় অভিযোগ করতে পারে এবং অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়।
গত কয়েকদিন তো এটা একেবারে রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন বৃষ্টি এর আগে দেখিনি। ইভটিজিং কখনোই কোন ভালো পরিবারের ছেলে করতে পারে না। যাদের পারিবারিক নৈতিকতার শিক্ষার অভাব থাকে তারাই রাস্তায় মেয়েদের টিজ করে।