বন্দী শিকল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে [10% beneficiary for@shy-fox]
বন্দী শিকল হলো সেটিই যেখানে থাকবে না কোন স্বাধীনতা, থাকবেনা স্বাধীনভাবে কোন কিছু করার অধিকার। বদ্ধভাবে থাকার বাধ্যবাধকতা থাকবে। আমাদের সমাজের সিস্টেম এর কিছু রুলস এবং রেগুলেশন এর জন্য বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাকে বন্দি শিকল কিংবা আবদ্ধ স্থানের মতই মনে করি। অনেক আগে থেকেই এই নিয়ম কানুনগুলো চালু রয়েছে। যার ফলে আমাদের এখানকার ছেলে মেয়েগুলো ভবিষ্যতে খুব একটা বেশি উন্নয়ন করতে পারছে না।
আমাদের সমাজে একজন ছেলে কিংবা মেয়ে জন্ম গ্রহণ করার পর থেকেই আমরা তাদেরকে এই বন্দি শিকলের মধ্যে ফেলে দিচ্ছি।অর্থাৎ বাঁধাধরা নিয়ে কিছু নিয়মের মধ্যে তাদেরকে বড় করে তুলছি।ছোট বাচ্চাদের ভয় দেখিয়ে জোর করে খাওয়ানো,শাসন করে পড়াশোনা করানোসহ ইত্যাদি আরও অনেক কিছু। অথচ এসব না করে আমরা ভিন্নভাবে এবং সঠিক উপায় তাদের কাছ থেকে এই একই বিষয় গুলো পেতে পারি। এতে করে তাদের সঠিকভাবে মানসিক বিকাশও ঘটবে। কারণ ছোট বাচ্চারা সাধারণত অনুকরণপ্রিয় হয়। তাদের সামনে আমরা যে কাজ করব তারা সেই কাজগুলো করার চেষ্টা করবে। আমাদের প্রত্যেক অভিভাবকদের উচিত তাদেরকে পড়াশোনার জন্য শাসন না করে নিজেরা তাদের সামনে এই কাজগুলো করলে তারা ওই কাজগুলো করতে উৎসাহিত হবে। কিন্তু আমরা তা না করে তাদেরকে পড়াশোনার জন্য চাপ দিয়ে আমরা সব সময় টিভি দেখছি বা বিভিন্ন বিনোদন মূলক কাজ করছি। আর তাদেরকে জোর করে ধরে পড়াচ্ছি।আর যখন তারা এই বাঁধাধরা নিয়মগুলো মানতে চায় না তাদেরকে আমরা জোর করে সেগুলো মানতে বাধ্য করছি।এতে করে হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য তাদেরকে ওই কাজগুলো করানো যায়। কিন্তু পরবর্তীতে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। যার ফলে তারা যখন বড় হচ্ছে তখন সমাজের বেঁধে দেয়া ওই বন্দি শিকলকেই তারা তাদের স্বপ্নের চূড়া মনে করছে।এর অহরহ কিছু উদাহরণ আমি দাঁড় করাতে পারি। একজন সন্তান যখন বড় হতে থাকে তখন বাবা-মা তাদের উপর জোর করে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন চাপিয়ে দেয়। এরফলে ছেলে মেয়েদের মনে কখনও ভিন্ন কিছু করার তাড়না জাগে না। এই বিষয়গুলো বাদ দিয়েও যে আরো অনেক ভাবে উন্নতি করা যায় তা তাদের কল্পনাতেও নিয়ে আসতে পারে না। যার ফলে দেশে কম বয়সী উদ্যোক্তা, ভালো প্রোগ্রামার কিংবা বিলিয়নিয়ার তৈরি হয় না।

এখন টেকনোলজির যুগ। এই যুগে এসে যদি আমরা শুধু বিসিএস ক্যাডার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কিংবা অন্যান্য সরকারি চাকরি সহ সামান্য কিছু গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি তাহলে আমরা ধীরে ধীরে আরো পিছিয়ে পড়ে যাব। এখন সময় এসেছে এই বন্দি শিকল থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করার।সকল অভিভাবকের উচিত নিজের সন্তানদের এই গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের উচিত ভিন্নভাবে নিজেদেরকে বিকশিত করার। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিজের আপনজনদের খেয়াল রাখবেন। আবারো পরবর্তীতে হাজির হব নতুন কোনো কনটেন্ট নিয়ে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@mahamuddipu
Photography | @mahamuddipu |
---|---|
Device | Vivo Y19 |
Location | Link |
Join the Discord Server for more Details
আপনার পোস্টটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। কেন যে এ সমস্ত পোস্ট কেউ পড়তে চায় না আমি বুঝতে পারি না। আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের এই সিস্টেম থেকে বেরোনো উচিত না হলে আমাদের দেশের সত্যিকার অর্থে উন্নতি কখনই হবে না। আমি মনে করি জোর করে চাপিয়ে দেয়ার নাম শিক্ষা নয়। মানুষকে তার ভেতরে সুপ্ত গুণাবলীর বিকাশ ঘটানোর নামই শিক্ষা। প্রত্যেক শিশুকে তার নিজ নিজ আগ্রহ এবং সুপ্ত গুণাবলী বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একই বিষয়ে পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক হই বলেছেন ভাই। এই ধরনের পোস্ট কেউ পড়তে চায় না। যার ফলে কমেন্টের সংখ্যা কম হয়ে যায়। এজন্য ইউজাররা এই ধরনের পোস্ট করতে তেমন একটা আগ্রহ প্রকাশ করে না।আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি একটি যুক্তিসম্মত পোস্ট করেছেন। খাঁচায় বন্দি পাখির যেমন হাজার খাবার দেওয়া সত্ত্বেও বাইরে থাকা এক টুকরা খাবারের আশায় সারাক্ষণ খুঁজে কিভাবে বাইরে বের হয়ে যায়। তেমনি হাজারো কড়া শাসনের মাঝে একজন মানুষের জীবন ঠিক এমনই হয়ে ওঠে। তখন নিজের জীবনটাকে খাঁচায় বন্দি পাখির মতো মনে হয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা যুক্তিসম্মত ও মনকে ছুঁয়ে যাওয়ার মত পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।