ভ্রমণ পোস্ট: জাফলং এর পথে (আঠারো তম পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার, ০৫ ই মে ২০২৫ ইং
বাংলাদেশের উত্তরের এক প্রাকৃতিক রত্ন, জাফলং। সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্থানটি যেন প্রকৃতির এক খোলা চিত্রশালা। পাহাড়, ঝরনা, নদী আর পাথরের সমারোহে জাফলং তার নিজস্ব সৌন্দর্যে ভরপুরযাত্রার শুরুতেই চোখে পড়ে পথঘাটের দু’পাশে ছড়িয়ে থাকা চা-বাগান আর পাহাড়ি দৃশ্য। বাতাসে এক ধরনের নির্মলতা থাকে, যা শহরের কোলাহল থেকে অনেকটাই আলাদা। সিলেট থেকে জাফলং যাওয়ার পথে যতই সামনে এগোয়, ততই প্রকৃতি তার রূপ উন্মোচন করতে থাকে। জাফলং এর সৌন্দর্য লিখে প্রকাশ করার মতো নয়।
জাফলংয়ে পৌঁছেই চোখে পড়ে স্বচ্ছ জলের ধারা পিয়াইন নদী। নদীর নিচে থাকা রঙ বেরঙের পাথরগুলো যেন পানির কাচের মত পরিষ্কার নীচ থেকে দেখা যায়। এখানকার মূল আকর্ষণই হলো এই পাথর ভর্তি স্বচ্ছ নদী এবং এর পাশে পাথর উত্তোলনের দৃশ্য। নৌকায় চড়ে নদীর মাঝখানে যাওয়া, পানিতে পা ভিজিয়ে বসে থাকা বা শুধু পাশে দাঁড়িয়ে সেই অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করাও অনেক শান্তি দেয়। দেশের অন্যান্য সব নদীর তুলনায় এই নদী টি একটু ভিন্ন।এই নদীর পানি গুলো খুবই পরিস্কার।যে কোন মুহুর্তে পিপাসা পেলে এই নদীর পানি গুলো খাওয়া যেতে পারে।
জাফলংয়ের পাশেই রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড়। বৃষ্টি হলে এই পাহাড় থেকে সৃষ্টি হয় একাধিক ঝরনা, যেগুলো দেখতে সত্যি অপূর্ব। পাহাড় থেকে নেমে আসা সেই ঝরনাগুলো যেন নদীতে এসে মিলিত হয়ে এক অপার শান্তির বার্তা দেয়।আরেকটি অনন্য অভিজ্ঞতা হল খাসিয়া পল্লী ভ্রমণ। স্থানীয় খাসিয়া জনগোষ্ঠীর জীবনধারা, সংস্কৃতি আর আতিথেয়তা সহজেই যে কাউকে মুগ্ধ করে। তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কাটানো মানে নিজের ভ্রমণকে আরেকটি মাত্রা দেওয়া।
সন্ধ্যা হলে পুরো জাফলং একটি ভিন্ন রূপে ধরা দেয়। পাহাড়ের পেছনে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য, নদীর পাথরে আলো-ছায়ার খেলা আর হালকা ঠান্ডা বাতাস সবকিছু মিলে যেন মন ছুঁয়ে যায়।জাফলং শুধু একটি ভ্রমণস্থান নয়, এটি একটি অভিজ্ঞতা যেখানে প্রকৃতি তার সবটুকু উদারতা দিয়ে আপনাকে গ্রহণ করে। একবার যে এখানে যায়, তার মনে থেকেই যায় সেই রঙিন স্মৃতি, সেই প্রশান্তির মুহূর্তগুলো। আসলে সিলেটের সৌন্দর্য শুধু মাত্র জাফলং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো সিলেট জুড়েই রয়েছে এক অপরূপ সৌন্দর্য। সিলেটের সৌন্দর্য দেখলে মনে হয় পুরো সিলেট জেলা কে মহান সৃষ্টিকর্তা একদম ভিন্ন আঙ্গিকে সাজিয়ে তুলেছেন।
বিকেলের দিকে সূর্য ঢলে পড়লে জাফলংয়ের পরিবেশ আরও মায়াবী হয়ে ওঠে। পাহাড়ের গায়ে পড়া রোদের আলো, নদীর জলে প্রতিফলিত হয়ে যেন স্বর্ণালী রূপ ধারণ করে। ঝরনার শব্দ, হালকা বাতাস আর নিস্তব্ধতা মিলে এক অতুলনীয় অনুভূতি তৈরি করে।জাফলং শুধু একটি পর্যটন স্থান নয়, এটি একটি অনুভব, একটি নিঃশব্দ আরাম, যা শহরের কোলাহল থেকে পালিয়ে এসে আপনাকে সত্যিকারের প্রশান্তি দেয়। ফিরে আসার সময় বারবার মনে হচ্ছিল, প্রকৃতি কীভাবে এত নিখুঁত হতে পারে। জাফলং যেন বারবার টেনে নেয়, আবারও ফিরে যেতে মন চায়।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Daily task
Link
https://x.com/Riyadx2P/status/1919327959820763302?t=9B0EeapgjEjPHdqUlkCwxw&s=19
https://x.com/Riyadx2P/status/1919710947322605819?t=Jiy4WUDwZbHoJ3qM4Gg8CA&s=19
https://x.com/Riyadx2P/status/1919711263028085269?t=Jiy4WUDwZbHoJ3qM4Gg8CA&s=19
Screenshot
আমি অনেক বছর আগে জাফলং এ ঘুরতে গেছিলাম সত্যি ওখানকার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। স্বচ্ছ পরিষ্কার জল এবং সাদা পাথর দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমার সেই পুরনো জাফলং ভ্রমণের সুন্দর মুহূর্ত মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে জাফলং ভ্রমণ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সিলেটের সৌন্দর্য আমরা সবসময় দেখে আসছি৷ এই সিলেটের সৌন্দর্য উপভোগ করার মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ কাজ করতে থাকে৷ আজকে আপনি এই জাফলং ভ্রমণের আরো একটি পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালই লাগছে৷ এখানে আপনি একেবারে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে অনেক খুশি হলাম৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷