ধোঁয়াশা!!

in আমার বাংলা ব্লগlast month


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ ই এপ্রিল ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000578047.jpg

Source


গতকাল সকালের কথা। তখন আমি প্লান্টে ছিলাম। একটু সময় পাওয়াতে ফেসবুকে একটু উঁকি দিতে গেলাম। মানে যদি ঐ কোন আপডেট নিউজ অথবা খবর থাকে। কয়েক মিনিট ক্রল করার পর আমার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একটা ফেসবুক গ্রুপের পোস্ট আমার সামনে আসলো। তবে যা দেখলাম সেটা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। কেউ একজন একজনের ছবি দিয়ে লিখেছে "আমাদের বন্ধু শামিম কুষ্টিয়া পলিটেকনিকের সাবেক মেধাবী ছাএ, আত্মহত্যা করেছে"। কিছুক্ষণের জন্য আমি বিষয়টি ধরতে পারছিলাম না। পরবর্তীতে খেয়াল আসে শামিম ভাইয়ের কথা। আমরা যখন প্রথম সেমিষ্টারে শামিম ভাই তখন ছিল ফাইনাল ইয়ারের ছাএ। প্রথম দিকে একটু দ্বিধাগ্রস্ত থাকতাম কী হবে না হবে।

ঐসময় শামিম ভাই আমাদের ক্লাসে এসে বিষয় গুলো আমাদের বোঝাত। এমন অনেকেই আছে যারা প্রথমে বাড়ির বাইরে থেকে লেখাপড়া করতে এসেছে মানিয়ে নিতে পারছে না। শামিম ভাই ব‍্যক্তিগতভাবে তাদের সাহস দিত। আমাদের সিনিয়র হিসেবে বেশ অনেকবার উনার শরণাপন্ন হতে হয়েছে। বেশ হাস‍্যজ্জল এবং মেধাবী একজন ছেলে ছিল। কলেজ শেষ করার পর ভাইয়ের সাথে আর সেরকম দেখা হয়নি। তবে ডিসেম্বর মাসে দেখেছিলাম ভাই বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি( পিজিসিবি) তে উপ সহকারি প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে। আমাদের ইলেকট্রিক‍্যাল ডিপার্টমেন্টের জন্য পিজিসিবি হলো স্বপ্নের জায়গা। আর সেই স্বপ্নের জায়গাই চাকরি। সবকিছু ঠিকই যাচ্ছিল।



উনার নিকট কিছু বন্ধুদের থেকে জানতে পারি ইদানিং উনার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। কোন একটা বিষয় নিয়ে নাকী খুবই বিরক্ত ছিলেন। পিজিসিবিতে ট্রেনিং শেষ করে জয়েন করেন ঢাকাতে। কিন্তু ঢাকার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেননি। ফলে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঈশ্বরদী ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্রে। কিন্তু এতে করে সমস্যা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। কিছুতেই নাকি নিজের অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পারছিলেন না। আর হয়তো এসব হতাশা থেকেই এমন একটা কিছু করে ফেলেছেন। তবে আরও ঘটনা থাকতে পারে যেটা হয়তো আমাদের অজানা। উনার আত্মহত্যা করার ছবিটা আমি দেখেছি। ঐটা মোটেই স্বাভাবিক না। দেখে আমার মনে হয়েছে ব‍্যাপারটা পুরোপুরি সাজানো।

আত্মহত্যা করার পরেও উনার পা মাটিতে রয়েছে। পাশেই টেবিল অথচ সবকিছু রয়েছে ঠিকঠাক যেখানে উচিত ছিল পায়ের ছোড়াছুড়িতে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাওয়া। অনেকেই বলছে উনি কখনোই আত্মহত্যা করতে পারেন না। ঘটনা টা পুরোপুরি অন্য কিছু। পুলিশ তদন্তের কথাও অনেকেই বলছে। সত্যি বলতে উনি যেভাবে আত্মহত্যা করেছে ঐটা মোটেই স্বাভাবিক না। ঘটনা যেকোন কিছু হতে পারে। কিন্তু একটা প্রাণ ঝরে গেল। গতকালকে এটা দেখার পর আমার মনটা খুব একটা ভালো নেই। মানুষের জীবন পুরোটাই রহস্যে ঘেরা। মানুষ নিজে কী চাই সে নিজেই হয়তো জানে না। পৃথিবীতে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ নিজেকে খুশি রাখা। অথচ আমরা সবকিছু নিয়ে এতো ব‍্যস্ত যে নিজেকে খুশি রাখতেই ভুলে যায়।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png