হঠাৎ পাওয়া আশ্চর্যজনক সংবাদ||
||আজ-৩রা চৈত্র||১৪২৯বঙ্গাব্দ,বসন্তকাল||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
সোর্স
আমার আজকের ব্লগের বিষয় টাইটেল দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন না বন্ধুরা!চলুন ক্লিয়ার করি আমার আজকের ব্লগের বিষয়টি।আজ রাত আটটার দিকে হঠাৎ আমার এক কাকু ফোন দেন।মূলত তিনিই সংবাদ টি জানান।আসলে এই ঘটনা ঘটে ২০ দিন আগে,আমার দাদু বাড়িতে।আমার দাদারা মোট পাঁচ ভাই।তো তাদের মধ্যে নোয়া দাদা অর্থাৎ চার নম্বর দাদার ছেলের সাথে ঘটনাটি ঘটে।আমার এই দাদা স্কুলের শিক্ষক ছিলেন এখন অবসরে গিয়েছেন,পাশাপাশি বাজারে ফার্মেসি আছে একটি।তার আবার একটাই ছেলে।তিনি পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার,বুটেক্স থেকে পড়াশুনা করেছেন।আমার এই কাকুর সাথেই ঘটনাটি ঘটেছে।তার স্ত্রী বেশ অনেক সম্পত্তি নিয়ে চলে গেছেন।যদিও শহরের বা গ্রামের কোনো জমি নিতে পারেন নি চেষ্টা করেছিলেন।তবে এই প্রথম আমাদের জোয়াদ্দার বাড়িতে ডিভোর্স হলো।এর আগে এধরনের ঘটনা ঘটেনি।আমাদের গ্রামের মধ্যে নামকরা এবং বড় গোষ্ঠীই আমাদের।
২০১৪ সালে,তাদের বিয়ে হয়েছিল বেশ ঘটা করেই।এখন পর্যন্ত কোনো সন্তান ছিলনা তাদের।যেহেতু ইঞ্জিনিয়ার আর এক বাবার এক ছেলে,সম্পত্তিও কম ছিলনা।আমার কাকী যাওয়ার সময় ২০ ভরি গয়না,দুইটি ফ্ল্যাট নিজের নামে করে নিয়ে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছেন আমার কাকুকে।তার দুটি ফ্ল্যাট আবার ঢাকা মোহাম্মদপুর ছিল,এই ফ্ল্যাট দুটির বাজার মূল্য নাকি দেড় কোটি টাকা।আর গয়নার দাম কতো এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।আমার কাকীর বাড়ি আবার মাগুরা সদরেই।হঠাৎ কিভাবে কি হলো জেনে তো অবাক হয়ে গেলাম।কারণ কাকী তো বেশ ভালোই ছিলেন,মনে হয়নি এই কাজ করতে পারেন তিনি।তো কাকী ডিভোর্স নিয়ে চলে যাওয়ার পর কয়েকদিন কাকু বাসায় অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন।তারপর আমার দাদা দাদী তাকে ঢাকা থেকে নিয়ে এসে আর একটা বিয়ে দিয়ে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছেন।
শুধুমাত্র এই দাদার ছেলের সাথে না আমার মেজো দাদার ছেলের ও একই অবস্থা।আমার কাকু আর্মি তে জব করতেন তার সমস্ত পেনশনের টাকা,গ্রামের সম্পত্তি নিজের নামে নিয়ে নিয়েছেন আমার কাকী।যেহেতু আমার এই দাদা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন আর দাদি প্যারালাইজড।তাদের একটা মেয়ে আছে,তাকে বিয়ে দিয়েছে কিছুদিন আগে।এখন কাকী ঝিনাইদহ শহরেই থাকেন।আর কাকু আবার জব করতে ঢাকা গিয়েছেন।এই কাকী আবার ডিভোর্স দেননি,তিনি একাই থাকেন তার মেয়েও নাতিন নিয়ে।আমার পরিবারের অন্য দাদা দাদীর ছেলে মেয়েদের মধ্যে এই দুজনেরই এই অবস্থা,বাকি সবারই কোনো সমস্যা নেই।এরা দুজন স্বভাবে খুবই নরম এবং ঘরকুনো ছিলেন।লোকজনের সাথে খুব একটা কথা বলেন না,মিশেন ও না।তারা বেশি স্ত্রীকে গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছিলেন,যেটা সবাই বলে। সবেশেষে আমার মনে হয়,নিজের কষ্টে অর্জিত অর্থ অন্যের নামে আগে থেকে লিখে দেওয়াটা হয়তো ভুল।আপনাদেরও কি তাই মনে হয় বন্ধুরা,কমেন্টে কিন্তু অবশ্যই জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।বন্ধুরা আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

আপনার কাকুর কথাটি শুনে সত্যি খুব খারাপ লাগলো আপু। এসব সমস্যা আমাদের শহরে অহরহ ঘটছে। তাও যে কেন মানুষ সাবধান হচ্ছেনা। যাইহোক দোয়া করি আপনার এই নতুন জীবন যেন সুখের হয়। ঠিক বলেছেন আপু কারো নামে কোন কিছু দেওয়ার আগে অন্তত দশবার চিন্তা করা উচিত এবং এত আগে না দেওয়াই ভালো।
ধন্যবাদ আপু।
আপনার লেখা থেকে শিক্ষনীয় অনেক কিছু রয়েছে।
এক বিশ্বাস করে সবকিছু লিখে দেয়া ঠিক না।
আর দুই মানুষ পারে না এমন কিছু নেই এটা বিশ্বাস করা।
তবে একটা কথা বলি যারা মানুষকে ধোঁকা দেয় তারা কখনো জীবনে সুখী হতে পারেনা।
আপনি কয়েক বছর পরে আপনার ওই কাকিদের খবর নিয়ে দেখবেন যে তারা ভীষণ কষ্টের ভিতর দিন যাপন করছে।
ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে লিখনীটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন,আমার পরিবারের লোকেরাও একই কথা বলেছে।ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
অনেক হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা ঘটে গেল আপু পড়ে অনেক খারাপ লেগেছে। এমন কিছু মহিলা আছেন যাদের মধ্যে নীতি নৈতিকতা বলতে কিছুই থাকেনা। সম্পর্ক টা তো একদিনের না প্রায় ১০-১২ বছরের একটি সম্পর্ক। টাকার লোভে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে আমরা জানা ছিল না। এই মহিলা কোনদিন সুখী হবে না সেটা আমি নিশ্চিত দিয়ে বলতে পারি। আসলে বাপ দাদারদের মধ্যে যদি এমন ঘটনা না ঘটে কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে যে ঘটবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। হয়তো তাদের ভাগ্যে এমনই লেখা ছিল। আপনি ঠিক বলছেন সম্পত্তি উনার নামে লিখে দেওয়া ভাল হয়নি।
ধন্যবাদ আপু।
বর্তমানে ডিভোর্স যেন মহামারি অসুখের মত ছড়িয়ে পড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকলে হরহামেশাই এই ডিভোর্স এর গল্প।আর ডিভোর্স এর কারন গুলোও এত তুচ্ছ যে বলার মত না। যাই হোক এই সংবাদ টি শুনে খুবই খারাপ লাগল।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা এখন নতুন কিছু না আপু। চারিদিকেই এইরকমটা হচ্ছে। তবে এসব ক্ষেএে আইন সবসময় মেয়েদের দিকেই যায়। তাদের দোষ থাকলেও সেটা দেখা হয় না। এটা যেমন আপনিও জানেন আমিও জানি। তবে ঘটনা টা বেশ দুঃখজনক।।
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন আপনি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার হঠাৎ পাওয়া আশ্চর্যজনক সংবাদগুলো পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। এখানে দুইটি ঘটনা জানতে পারলাম দুটি ডিভোর্সের প্রবলেম তবে দ্বিতীয় টি যদিও এখনো ডিভোর্স হয়নি তবে খুব তাড়াতাড়ি ডিভোর্স দিয়ে দিবে। কারন বর্তমানের ৯৫% মেয়েই ডেন্জারাস। ধন্যবাদ আপু।
হাহা,ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যটি ভালোই লেগেছে।