ভিক্ষুকের কারণে ব্যাগ ফেরত পাওয়ার গল্প❤️
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ভিক্ষুকের জন্য ভুলে পার্লারে রেখে আসা ব্যাগ ফেরত পাওযার গল্প। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
কথায় আছে সৃষ্টি কর্তা যা করেন ভালোর জন্যই করেন।আমি মনে।প্রাণে কথাটা বিশ্বাস করি। আমরা অনেক সময় ভিক্ষুক দেখতে বিরক্ত হয়ে যাই কখনো ব্যাস্ততার কারণে বা অন্য কোন কারণে কিন্তুু কখনো কখনো এই বিরক্তিকর ভিক্ষুক ভিক্ষা চাওয়ার কারণে অনেক উপকার হয়।যেমনটা আমার উপকার হয়েছে সেই গল্প এৎন আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
আমি গাইবান্ধা গেলে বা বাইরে কোথাও গেলে পারতো পক্ষে কখনো ভিক্ষুকদের কে না বলি না।পাঁচ,দশ টাকা দিয়ে থাকি।আসলে ভিক্ষুকরা অল্পতেই খুশি হয়। অনেক আশির্বাদ ও দোয়া দেয়।আমার মেয়েও ভিক্ষুকদের খুব সন্মান করে এবং ভিক্ষা দেওয়াটা পছন্দ করে।
সপ্তাহে দুদিন আমি শিল্পকলায় যাই মেয়েকে নিয়ে। সেরকম গতকাল গিয়েছিলাম শিল্পকলায় এবং একটু আগেই গিয়েছিলাম এবং পার্লারে গিয়েছিলাম।পার্লার যাওয়ার আগে পরিচিত এক দাদার জুয়েলার্সে গিয়েছিলাম একটু কাজে এবং এসির হাওয়া খেতে🙂।গরমে আমার কাজ এটা। জুয়েলার্স থেকে বের হতেই এক ভিক্ষুক বলতে লাগলে কিছু দাও মা খুব ক্ষুধা শুনেই মায়া লেগে গেলো এবং মেয়ে তার ব্যাগ থেকে টাকা বের করে দিলেন। অনেক বয়স্ক ভিক্ষুক দেখেই মায়া লেগে যাওয়ার মতো।অনেক দোয়া করলেন ওনি।
এবার পার্লারে গেছি এবং কিছু সময় কথা বলেছি সেখানে চুল কালার করতে কতো লাগবে সেসব বিষয়ে। সোফায় বসেছিলাম। কথা শেষ করে দোতলা থেকে সিরি দিয়ে নিচে নামতেই সিরির পাশে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা চাচ্ছে এক বয়স্ক পুরুষ ভিক্ষুক।এনাকে ভিক্ষা দিতে মনস্থির করতেই দেখি আমার ভ্যানিটি ব্যাগটি হাতে নেই।
মেয়ে বল্লাম মা ব্যাগ কই সে ভোঁদৌড় দিলো পাল্লারে। বুঝতে পেরেছে সেখানেই ছারা পড়েছে ব্যাগটি।এবার আমিও পিছনে পিছনে গেলাম এবং মেয়ে ততোক্ষণে ব্যাগটি নিয়ে এসেছে। মেয়ে বড়ো হঢে গেছে বুঝতে পারলা।
ব্যাগ নিয়ে ফিরতেই দেখলাম সিরির সেই ভিক্ষুক তাকে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে দিতে দিতে ভাবলাম ভিক্ষা না চাইলর বুঝতেই পারতাম না ব্যাগটি ছারা পড়েছে।ভিক্ষুকটির জন্যই আমি ওই মুহূর্তে বুঝতে পেরেছি যে ব্যাট ছাড়া পড়েছে। নইলে পরে মনে পড়তো এবং তখন হয়তো কনফিউজ হতাম যে কোথায় না কোথায় পড়ে কি ভাবে হারিয়েছে কে জানে।
পার্লারে যেহেতু অনেক মানুষের আনাগোনা কেউ হয়তো হাতে করে নিয়েও যেতে পারতো পরবর্তীতে পাওয়া গেলেও অনেক ভোগান্তি করতে হতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাগে থাকে এটিএম কার্ড থাকে ডিপিএস এর কাগজপত্র সবকিছুই আমার ব্যাগেই থাকে। সেজন্যই ভিক্ষুকদের কে দেখলে বিরক্ত হওয়া ঠিক না। আসলে জীবনে কখন কাকে দিয়ে উপকার হবে তা কেউ বলতে পারেনা।
এরকম আরও একটি ঘটনা আছে সেটাও শেয়ার করছি আপনাদের সঙ্গে।আমার দিদি ও দিদির বর কোথাও যাওয়ার জন্য বের হচ্ছিল। সবখানে তালা দিয়ে গেটে বের হয়ে গেটে তালা লাগিয়েছে মাত্র। ঠিক সেই সময়ে এক ভিক্ষুক মহিলা এসে দাঁড়িয়েছে গেটে।ভ্র কুচকিয়ে ভিখারি মহিলাকে বলেছিল যে বের হয়েছি মাত্র তালা দেওয়া শেষ খুচরা পয়সা তো নেই এই বলে পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে দেখে সব গুলো ৫০০,১০০০ হাজার টাকার নোট।এবার মনে পড়ে যে আলমারিতে ৫০ হাজার টাকা আছে আর সেখানে ৫০ টাকা ১০ টাকা ২০ টাকার নোট আছে ১হাজারের মতো সেখান থেকে নিয়ে ভিক্ষা ও দেয়া যাবে এবং নিজের ও কাজে লাগবে সেই ভাবনা থেকে তালা খুলে আলমারি খুলে দেখে কোন টাকা নেই।ঠিক মনে পড়ে যায় স্থানীয় এক দোকানে চা খেতে বসেছিলো বাইক নিয়ে তারাতাড়ি সেখানে যায় এবং তাকে দেখে দোকানদার বলে যে ব্যাগ রেখে গেছেন আমার মেয়ে তা পেয়েছে।
এটা শুনে সস্তি ফিরে আসে এবং টাকা গুলো পেয়ে যায়।এখন কথা হলো যদি ভিক্ষারী না আসতো তাহলে হয় তো সেই ধারণা নিয়ে থাকতো টাকা আলমারিতে রেখেছি। এখানে ভিক্ষারির জন্য। টাকার কথা মনে পড়ে গেলো এবং সৎ দোকানদার বলে টাকাগুলো দিয়ে দিলো।যদি অস্বীকার করতো বলতো আমার দোকানে রাখেননি তাহলে করার কিছু ছিলো না।
আসলে ভালো মানুষ আছে বলেই এখনো পৃথিবীটা টিকে আছে। পৃথিবীটা এখনো সুন্দর।
এই ছিলো আমার আজকের সত্যি ঘটনা নিয়ে গল্প ভিক্ষুক।আসুন আমরা সকলে যে যার মতো করে ভিক্ষুককে সাহায্য করি।কতোটা অসহায় হয়ে মানুষ ভিক্ষা পেশাকে বেছে নেয় তা শুধু সে ব্যাক্তি জানেন। দশ পাঁচ টাকা দিলেই তারা মহাখুশি হয়ে যায়।পাঁচশো হাজার টাকা তারা চায় না।তাদের নেই কোন বড়ো আশা আকাঙ্খা।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোষ্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
https://x.com/DattaShapla/status/1915783706335473669?t=CRBxItrYz4d09yuBWJapGQ&s=19
https://x.com/DattaShapla/status/1915784639026987044?t=MyjA6gGrTzRIUmBOrtWtuA&s=19
https://x.com/DattaShapla/status/1915786278093873603?t=rc9gBtwJMEJZZcNNeq1g9A&s=19
আসলে জীবনে সবকিছুই ঘটে কোনো না কোনো কারণে। কারণ ছাড়া এখনো ঘটনাই বোধহয় ঘটনা। তোমার জীবনে ভিক্ষুকরা এক প্রকার আশীর্বাদ হয়ে আসেন। সেখানে ওখানে টাকার ব্যাগ ছেড়ে এসে তুমি যে অবশেষে টাকাগুলো ফেরত পেয়েছ এ সত্যিই অভাবনীয়।
ঠিক বলেছো ভিক্ষুক আশির্বাদ হয়ে এসেছে।
@shapladatta, (https://pussteem.com/)-এ $PUSS ডিপোজিট না করলে কিন্তু এখন থেকে পোস্টে ভোট পড়বে না। না বুঝতে পারলে টিকিট কেটে মডারেটর দের কাছ থেকে হেল্প নিন।
করবো দাদা $puss ডিপোজিট। ধন্যবাদ তথ্য টি দেওয়ার জন্য।