স্বলিখিত গল্প ০১ - ব্যাটা মাইনষ্যের নাম পরী

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

আসসালামুয়ালাইকুম। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি যখন কলেজে পড়তাম, তখন গল্প লেখার একটা চিন্তা মাথায় আসে। তখন ভাবতাম, যেকোন বিষয় নিয়েই গল্প লেখাই সম্ভব। কথাটা আমি বিশ্বাস করতাম। এবার ভাবলাম, তাহলে চেষ্টা করে দেখি হয় কিনা? তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে প্রথম গল্প - ব্যাটা মাইনষ্যের নাম পরী


ai-generated-8949519_1280.png

Photo Source

লোকটির নাম তাজল ইসলাম। আমাদের ঠিক পাশের বাড়িই। আরও খোলাখুলি বললে, সম্পর্কে উনি আমার আপন ফুফা লাগে। ঠিক কিভাবে উনার নাম পরী হলো এ বিষয়ে এযাবৎ কালে কেউই কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। একেক জন একেক গল্প বলে। কিন্তু, ঘটনা যা-ই হোক, উনাকে মানুষ পরী বলেই ডাকত। কিন্তু আমার আপন ফুফা হওয়ায় আমি এই নামে কখনই উনাকে ডাকিনি।

সাধারণত, পরী বলতে যা বুঝি, ন্যুনতম কোন যোগ্যতাই উনার নাই। ব্যকরণে লিঙ্গ অনুযায়ী পরী শব্দটা স্ত্রীবাচক। কিন্তু উনি হচ্ছেন পুরুষ। আমরা যেমন ধারণা করি, পরীরা দেখতে খুবই সুন্দর, ধবধবে ফর্সা; উনি তেমনও নয়। বরং একদম বিপরীত। উনি একদম কুচকুচে কালো। শ্যাম বর্ণেরও না। একদমই কুচকুচে গায়ের রঙ। সন্ধ্যার পর উনার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

তবুও কোন এক অজানা কারনে উনি স্বনামের চেয়ে পরী নামে বেশি পরিচিতি লাভ করেছেন। অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে, উনার প্রকৃত নামটা যে কি, সেটিই বেশির ভাগ জানেনা। কিন্তু মানুষ হিসাবে খুবই কর্মতৎপর। উনি পেশায় কৃষিজীবী। এর পাশাপাশি তিনি শীতকালে খেজুর গাছ কাটতেন রসের জন্য। নিজের বাড়ির পাশে ছোট একটি চা-সিগারেট-কেক-কলার দোকান দিয়েছেন। পুকুরে মাছ চাষ করেন। হাঁটের দিন নিজের চাষ করা সবজি, পুকুরের মাছ হাঁটে নিয়ে যান বিক্রির জন্য। একটা সময় নিজের ভ্যান ছিল। অবশ্য ভ্যানটি নিতান্তই নিজের কাজে ব্যবহার করতেন। কাজও কম ছিলো না তার।

আমার ফুফুও যথেষ্ট কাজ করেন। প্রচুর হাঁস, মুরগি রয়েছে তাদের। একটা সময় গরু আর ছাগলও পালতেন। দুই জনই বয়স্ক হয়ে গিয়েছেন। তাই এখন তুলনামূলক সহজ কাজগুলো করে থাকেন। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও উনার পরী নাম হওয়ার কারন বা উদ্দেশ্য কেউই বলতে পারেনা। যদিও সবাই এই নামেই ডাকে। রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি কেউই।


আমার এই গল্পগুলো বাস্তব কোন বিষয় বা বস্তুকে ঘিরেই লেখার চেষ্টা করছি। তাই গল্পের স্বাদ হয়ত সেভাবে পাওয়া যাবেনা। তবে যখন নিজের কাছে মনেহবে সম্ভব না আর, তখনই লেখা বন্ধ করে দিবো।


PUSS_gif.gif