||গল্প:-ভাঙা ঘড়ির শব্দ||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
![]() |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে গল্প:-ভাঙ্গা ঘড়ির শব্দ আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু পোস্ট শেয়ার করার। আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে।তো আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি করে গল্প পোস্ট শেয়ার করার।আসলে এমন অনেক গল্প রয়েছে যে গল্প গুলো পড়তে এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে।বিশেষ করে রোমান্টিক এবং ভৌতিক গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।তো ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে একটি ভৌতিক গল্প শেয়ার করি।কারণ ছোট বেলায় থাকতে এই ধরনের গল্প গুলো আমি অনেক শুনতাম।তো হুট করেই গল্পটি আমার মনে পড়লো।আর গল্পটি তেমন খারাপ না,আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
রাত তখন ২টা ৪৫ মিনিট। চারপাশে নিস্তব্ধতা। শহরের এই অংশটা দিনের বেলা যতটা ব্যস্ত, রাতের বেলা ততটাই নির্জন। সাকিল তার নতুন বাসায় উঠেছে মাত্র দুইদিন হলো। পুরনো একটি ফ্ল্যাট, তবে ভাড়া কম ছিল বলে না করতে পারেনি। কিন্তু প্রথম রাতেই কিছু অদ্ভুত শব্দ শুনেছিল,একটা ভাঙা ঘড়ির টিকটিক শব্দ, যেটা একটানা বাজে, মাঝে মাঝে থেমে যায়,আবার শুরু হয়।প্রথমে ভেবেছিল পাশের বাসার শব্দ। কিন্তু আশেপাশে কোনো ফ্ল্যাটে মানুষ নেই, সব খালি। ফ্ল্যাটটির আগের ভাড়াটে নাকি মাঝরাতে আত্মহত্যা করেছিল। সেই থেকে ঘরটা খালি ছিল দুই বছর।
তবে সাকিল খুব বাস্তববাদী ছেলে। ওসব গুজব বিশ্বাস করে না। কিন্তু দ্বিতীয় রাতেই গল্পটা মোড় নেয়।সে ঘুমানোর ঠিক আগে হঠাৎ করেই ঘরের বাতিটা বারবার জ্বলে উঠতে লাগল,জ্বলে, নিভে… জ্বলে, নিভে। সাকিল ভেবেছিল হয়তো কারেন্টের সমস্যা। কিন্তু তার ফোনের টর্চ চালাতেই সে বুঝতে পারল বাতি জ্বলে উঠছে নিজের ইচ্ছেমতো, অথচ সুইচ বন্ধ।এরপর শুরু হয় শব্দ। সেই একই ঘড়ির শব্দ,টিক টিক টিক,কিন্তু এবার সেটা শুধু শোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি।সে খেয়াল করলো শব্দটা ধীরে ধীরে ঘরের এক কোণ থেকে আরেক কোণে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেন কেউ একটা পুরনো ঘড়ি হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটছে। সাকিল থমকে যায়। শরীরটা অবশ হয়ে আসে। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকে অন্ধকারে। কিন্তু কিছু দেখা যায় না।
হঠাৎ বাথরুমের দরজা আলতো করে নিজে থেকেই খুলে যায়।বাতাসে ঘরের জানালা দুলছে, না সেটা বুঝতে পারছিল না।দরজার ফাঁক দিয়ে একটা ছায়া দেখা যায়। ছোট, কুঁজো হয়ে হাঁটা কেউ একজন।সাকিল চিৎকার করতে চেয়েও পারে না। গলা শুকিয়ে গেছে। শ্বাস আটকে আসে। তখনই ছায়াটা বলে ওঠে,তুমি ঘড়ির শব্দ শুনতে পাও? আমি এখানেই থাকি।শব্দটা যেন ধাতব, ভাঙা গলায় বলা,একটা পুরনো রেকর্ড প্লেয়ারের মতো। সাকিল চোখ বন্ধ করে ফেললো। ঠান্ডা ঘামে সারা শরীর ভিজে উঠেছে।কিছুক্ষণ পর সব শান্ত। কোনো শব্দ নেই। বাতি ঠিকঠাক কাজ করছে। সাকিল ভাবলো এটা নিশ্চয়ই দুঃস্বপ্ন।কিন্তু সকালবেলা সে উঠে দেখে তার বিছানার পাশে একটা ভাঙা দেয়াল ঘড়ি যেটা সে কখনও আনেনি।ঘড়ির কাঁটা থেমে আছে ২:৪৫ মিনিট এ।সাকিল এখনো ওই ঘরেই থাকে, কিন্তু প্রতিদিন রাতে ঠিক ২:৪৫ মিনিটে ঘড়ির শব্দ শোনা যায়।শুধু সে না, এখন যারা বাসায় আসে, তারাও সেটা শুনতে পায়।ভাঙা ঘড়ির শব্দ" কখনো বন্ধ হয় না। কারণ যার হাতে ঘড়িটা ছিল সে এখন এই ঘরেরই বাসিন্দা।আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম।আর গল্পটি কেমন হয়েছে আপনারা কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
![]() |
---|
আজকের ডেইলি টেস্ক প্রুফ।।
https://x.com/Polashislam681/status/1949812317585301941?t=_QAojQKNLz12HRDFHYbytA&s=19
https://x.com/Polashislam681/status/1949827290214408685?t=FluXtujU7FsVouksoosKcQ&s=19