হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আবারো গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি ।গল্প লিখতে এবং পড়তে দুটোই আমার অনেক ভালো লাগে। যখন বিভিন্ন ধরনের মানুষের জীবনের গল্প গুলো মনে পড়ে যায় তখনই ভাবি আপনাদের সাথে গল্পটি শেয়ার করব। আমাদের নানুদের বাড়ির পাশে একটি মেয়ে ছিল মেয়েটির নাম সাথী। দেখতে শুনতে মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর ছিল। সেজন্য বিভিন্ন ছেলেরা তাকে অনেক বিরক্ত করতো। তার বাবা-মার পরিবার তেমন একটা ভালো ছিল না। তার বাবা ঢাকায় রিক্সা চালাত এবং দিনশেষে যেই টাকাগুলো পাঠাতো সেই টাকা দিয়েই তাদের সংসার চলতো। সাথীর মা একটু পাগলা টাইপের ছিল। টাকা পয়সার হিসাব তেমন একটা করতে পারত না। তাই যতো টাকা পয়সা সাথীর কাছেই পাঠাতো তার বাবা । সেই সব টাকা বুঝে শুনে সংসারে খরচ করত সাথী ।

Source
একদিন সাথীর একটা ছেলেকে দেখে অনেক পছন্দ হয়ে যায় ।ছেলেটি অনেক ধনী পরিবারের ছিল ।ধনী পরিবারের সন্তান বলে সাথী ভালো লাগার পরও সে ছেলেটাকে কিছু বলে না। কিন্তু ছেলেটা সাথীর মায়াবী মুখ দেখে তার প্রেমে পড়ে যায় ।এবং তাকে বলে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তখন সাথী বলল তোমাকে ভালোবাসা আমার পক্ষে অসম্ভব। কেননা তোমার বাবা মারা অনেক ধনী আর আমার বাবা মায়ের অবস্থা তেমন একটা ভালো না। আমাদের সম্পর্ক হয়তো তোমার বাবা-মা কোনদিনই মেনে নেবে না ।তাই মিথ্যা ভালোবাসায় আমি জড়াতে চাই না ।আমি যদি তোমাকে ভালোবাসি তাহলে আমি তোমাকে কোনদিনই পাবো না সেটা আমি জানি। তখন ছেলেটা বলল তুমি আমাদের সম্পর্কে ভুল জানো আমার বাবা-মা এরকম না। আমার বাবা-মা যদি তোমার কথা শুনে আমার মুখ থেকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ভালোবাসা মেনে নিবে।

Source
তখন ছেলেটা তার পরিবারকে সাথীর কথা জানায়। ছেলেটার বাবা প্রথমে একটু রাগারাগি করছিল। পরে তার মা বোঝানোর পর ছেলেটার বাবা তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক মেনে নেয় ।এদিকে যখন সাথী তার পরিবারকে জানাই ছেলেটার কথা তখন সাথীর বাবা মেনে নিতে চায় না। আমার মেয়েকে আজকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে। বিয়ে করার কিছুদিন পর তাদের দাবি আমি যদি পূরণ করতে না পারি ,তাহলে আমার মেয়েকে কষ্ট দিবে বা বাড়ি থেকে বের করে দিবে। এরকম ভেবে সে সাথির কথায় তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে চাচ্ছিল না ।তাই সাথীর বাবা সাথী কে বলে ছেলেটা সাথে জেন কোন যোগাযোগ না রাখে ।কিন্তু সাথী ছেলেটার সাথে যখন কথা বলছিল তখন তার বাবা দেখে ফেলে এবং সাথীকে অনেক মারধর করে। এবং তার কাছ থেকে ফোনটা কেড়ে নেয় ।তখন এসব মেনে নিতে না পেরে সাথী সিদ্ধান্ত নেয় সে এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবে ।সেজন্য সে তাদের রুমে ফ্যানের সাথে রশি বেঁধে গলায় দড়ি দেয়। রশি দেওয়ার পর তার বড় বোন দেখে ফেলে তখন চিৎকার করে সাথীর কাছে যে জড়িয়ে ধরে। তার চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ চলে আসে এবং সাথীকে বাঁচিয়ে নেয়। সাথীকে বাঁচালেও সাথীর অবস্থা অনেক খারাপ ছিল ।তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হয়তো তার বড় বোন না দেখলে কিছুক্ষণের মধ্যে সাথী মারা যেতো। এরকম অবস্থা দেখে সাথীর বাবা তাদের সম্পর্ক মেনে নেয় এবং সাথী সুস্থ হওয়ার পর সেই ছেলের সাথে সাথীকে বিয়ে দেয়। এই পৃথিবীতে এখনো এমন মানুষ আছে যে ভালোবাসার জন্য হাসিমুখে জীবন দিতে পারে ।আবার এমন মানুষও আছে যারা মানুষকে শুধু ঠকাতে জানে। আশা করি আমার গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে? কতটা ভালো লেগেছে কমেন্টে জানাতে পারেন?
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।

