গল্প :- কিছু কিছু জায়গা রাত্রেবেলা ভয়ংকর থাকে।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিছু কিছু জায়গার অনেক ভয়ঙ্কর থাকে। আর এইসব জায়গাগুলোতে রাত্রেবেলা হাঁটতে কিন্তু অনেক ভয় লাগে। এবং সেরকম একটি জায়গা আমাদের বাড়ির পাশে আছে। আমাদের বাড়ির সামনে একটি পুরনো স্কুল আছে এবং বড় একটি পুকুর আছে। এবং পুকুরের চারপাশে গাছ এবং বন জঙ্গল আছে। আর রাত্রেবেলা ওই জায়গা দিয়ে হাঁটতে কিন্তু অনেক ভয় লাগে অনেকের। তবে এসব জায়গাতে রাত্রেবেলা হাঁটতে হলে বুকে সাহস নিয়ে হাঁটতে হয়। আমাদের বাড়ির সামনে যে পুরনো স্কুল আছে ওই স্কুলে নাকি অনেক কিছু দেখা যায় রাত্রে বেলা। আর এই কারণে রাত্রেবেলা ওই জায়গাতে কেউ তেমন বসে না।

তবে দিনের বেলা ওই জায়গা হাঁটতে কিন্তু ভয় লাগে। তবে আমরা ছোট থাকতে স্কুলের মধ্যে খেলাধুলা করতাম। আর ওই সময় তেমন ভয় লাগত না। কারণ এসব জায়গাতে কয়েকজন ছেলে একসাথে খেলাধুলা করলে ওই সময় কম লাগে ভয়। কিছুদিন আগে গরমের কারণে আমি রাত্রেবেলা বাইর হয়ে স্কুলের সামনে বসে রইলাম। আর রাত্রে আমি একাই ছিলাম। হঠাৎ করে দেখি স্কুল থেকে শব্দ আসতে লাগলো। মনে হয় পিছন থেকে কে যেন হেঁটে আসতেছে। এবং মস মস করে শব্দ করতে লাগলো। আর এরকম ঘটনা অনেকজনে আগে বলেছিল। কখনো এরকম পরিস্থিতি আমি দেখি নাই। আর বাড়ির সামনে স্কুল বিদায় সবসময় আমরা ওইখানে যাই এবং চলাফেরা করি।

ঐদিন রাত্রে বেলা যখন আমি বসে রইলাম এবং মোবাইল দেখতে লাগলাম। তখন আমার কাছে হঠাৎ করে ভয় লাগলো। মনে হয় পিছনে কে হাঁটতে লাগলো। এমন অবস্থা দেখে আমার কাছে অনেক ভয় লেগে গেল। আর ওই সময় রাস্তা এবং পুকুরের পাড়ে কোন লোক নেই। আর বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কথা বলে ওই কথাগুলো আমার মনে পড়ে গেল। এরপর আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। তখন আমি হঠাৎ করে ঘরে আমার ওয়াইফের মোবাইলে কল দিলাম। তখন তার সাথে কথা বলতে বলতে সামনের দিকে হেঁটে আসতে লাগলাম। কারন আমার কাছে মনে হচ্ছে মোবাইলে কল করলে হয়তোবা একটু সাহস আসবে মনে। এরপর আমার ওয়াইফের সাথে কথা বলতে বলতে সামনের দিকে চলে আসলাম।

তবে আমি পিছনের দিকে একবারও তাকাই নাই। অনেকে বলে ভয় ফেলে পিছনের দিকে তাকালে ক্ষতি করা সম্ভব না থাকে। আর ওই সময় এই কারণে আমি পিছনের দিকে একবারও তাকায় নাই। তবে আমি যখন হেঁটে আসতে লাগলাম তখন আমার পুরো শরীর বারি হয়ে গেল। মনে হচ্ছে আমার হাত পা সামনের দিকে আসতেছে না। আমি যখন ঘরের পাশে আসলাম তখন আমার বাবা কথা বলতে লাগলো বিধায় আমার কাছে একটু ভালো লাগলো। সত্যি বলতে বাড়ির সামনে রাত্রে বেলা বসে আমি যেরকম ভয় পেয়েছি সত্যি ভোলার মতো নয়। তারপর আমি ঘরের মধ্যে চলে আসলাম। এসে কিছুক্ষণ সময় বসে রইলাম।

আর ঐদিন রাত্রে বেলা ঘুমাতে গিয়ে আমার কাছে অনেক ভয় লাগলো। এবং সকালবেলা এই ঘটনা আমি আমার ওয়াইফ এবং আমার মাকে বললাম। তারা শুনে আমাকে বকাঝকা করতে লাগলো। তখন আমার মা বলতে লাগলো এই জায়গাটি খারাপ কেন তুমি রাতের বেলা গেলে। আর আমার ওয়াইফ বলতে লাগলো এই জায়গা আমি শুনেছি খারাপ কেন ওইখানে গেলাম। সত্যি ওই দিন থেকে আমার কাছে ওই জায়গাতে দিনের বেলা বসতে ভয় লাগে। আবার অনেকে বলে পুরনো স্কুল থাকলে ওই স্কুলে নাকি খারাপ কিছু বসবাস করে। আর আমাদের এই পুরনো স্কুলে এখন পড়ালেখা হয় না। এই কারণে জায়গাটিও খুব অন্ধকার। আর এমন কিছু জায়গা আছে গ্রাম অঞ্চলে রাতের বেলা হাটতেও ভয় লাগে। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।