নজরুলের জীবন কাহিনী - পঞ্চম পর্ব
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নজরুলের জীবন কাহিনী নামক গল্পের পঞ্চম পর্ব শেয়ার করতে চলেছি। এই গল্পের মূল কাহিনী লোকের মুখ থেকে শোনা। আমি আমার মতো করে একটু সুন্দর রূপ দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আশা করব, আমার এই গল্প আপনাদের পড়তে ভালো লাগবে।
বিয়ের পরে যে ভালোলাগা ভালোবাসা গড়ে উঠেছিল সেগুলো আস্তে আস্তে কমতে থাকে। রিনা একপর্যায়ে নজরুলকে তুই তুকারি করে কথা বলে। এমনকি তার আলেয়ার জীবন নিয়ে খোটা দিতে থাকে। সে বলতে থাকে তোমার মত বেকার মানুষের জীবনে আমার মত মানুষ মানায় না। আলেয়ার মত মূর্খই তোমার জীবনে ভালো ছিল। এভাবেই প্রতিনিয়ত রিনার থেকে আঘাত পেতে থাকে নজরুল। একটি পর্যায়ে পারিবারিকভাবে ঝোই ঝগড়া সৃষ্টি হয়। নজরুল তাদের গ্রামের জমিদারি বাড়িতে ফিরে আসে। ইতমধ্যে গ্রামের মানুষ জেনে গেছে সে ভাইয়ের শালিকার সাথে বিয়ে করেছে। এদিকে নজরুল জানতে পারে আলেয়া দিন দিন না খেয়ে পাগলপারা হয়ে উঠেছে। আগের মত সেই হাসিখুশি মেয়েটা আর হাসিখুশি নাই। স্বামীর তালাক পাওয়ার পর থেকে সে দিন দিন কেমন যেন হয়ে গেছে। যে মেয়েটা একদিন জীবন নিয়ে ভাবতো না। আজকে শেষ জীবন নিয়ে ভাবতে শিখেছে। যে ভালোবাসা বুঝতো না। সে আজ ভালোবাসা বুঝতে শিখেছে। কিন্তু জীবনের এমন এক্সিডেন্ট সবকিছু বুঝতে শেখার পরেও যেন তাকে থামিয়ে দিয়েছে। আলেয়ার বিভিন্ন বিষয়গুলো নজরুলের কানে আসতে থাকে। কিন্তু তার পক্ষে তো এখন সম্ভব নয় আলেয়াকে ফিরিয়ে নেওয়া।
আর যাই হোক রিনার মধ্যে যেইটা রয়েছে আলেয়ার মধ্যে সেইটা নাই। এমনটাই তার মনের মধ্যে খেলতে থাকে। আবারও তার মেজো ভাই খাইরুল দুজনার ভুল বুঝাবুঝি দূর করে রিনা আর নজরুলকে গ্রামের বাড়িতে রেখে যায়।
গ্রামের বাসায় এসে রিনা স্বামীর সাথে মোটামুটি ভালই চলছিল। কিন্তু তার চলাফেরা চাল চলন্ত পরিবর্তন হয়নি। আধুনিকতা ও শহর জীবনের চলাচল তার মধ্যে লেগে রয়েছে। তাই সে উঠতি বসতে বিভিন্ন সমস্যা বোধ করে গ্রামে। সে নজরুলকে চাপ দিতে থাকে শহরে যেকোনো চাকরির মধ্যে চলে যাও। তাকে শহরে বাসায় রেখে সংসার করো। কিন্তু নজরুল একটা বিষয় বুঝতে শেখে শহরের জীবনের চেয়ে গ্রামের জীবন অনেক শান্তির। সে বিয়ে করেছে ভালো কথা তাই বলে বউয়ের কথায় চলবে না। নজরুল রিনা কে বলে দেয় সে তাকে যেভাবে পরিচালনা করতে পারবে সেভাবেই তাকে থাকতে হবে গ্রামে। রিনার কোথায় নজরুল চলতে পারবে না। রিনা নজরুলকে বলে যদি গ্রামেই থাকো তাহলে আমার বাবার বাড়িতে চলো। আমার বাবার বাড়ির সম্পত্তি দেখবে কে, আমার বাবার তো কোন ছেলে নেই। নজরুল বেশ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে। লেখাপড়া শিখেছে চাকরি হলো না। বাবার সম্পত্তি রয়েছে অনেক। ওদিকে শ্বশুরের সম্পত্তি। নিজের গ্রামে থাকলে অনেকের অনেক কথা শুনতে হয় আলেয়াকে তালাক দেওয়ার জন্য। ওদিকে বউয়ের কথায় চললে তাকে নাকে দড়ি বেঁধে ঘোরানোর মত ঘোরানোর চেষ্টা করে। এই মুহূর্তে সে কি করবে বুঝে উঠতে পারে না।
এরই মধ্যে মেজো ভাই খায়রুল তাকে জানায় সে খুব শীঘ্রই পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিবে। দীর্ঘ অনেক বছর চাকরি করলো। এখন পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিলে অনেকটা পেনশনের টাকা পাবে। দেশে দেশে চাকরি করতে তারও আর ভালো লাগেনা। কারণ সেই সময় চাকরির বেতনটা অনেক কম ছিল। একটি পর্যায়ে খাইরুল বাড়ি চলে আসে। এদিকে নজরুল রিনা খাইরুল মিনা ও তাদের ছোট ছোট বাচ্চারা মিলে খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে জীবন যাপন শুরু করলো। একটি পর্যায়ে খায়রুল আবার বুদ্ধি খাটিয়ে নজরুলকে তার শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা করল। সে নজরুল কে বোঝালো আমি এখানে বাবার সম্পত্তিগুলো নিজেদের মতো জমি জায়গার দাগ বুঝে দলিল ঠিকঠাক করে রাখি। ওদিকে শশুরের সম্পত্তি গুলো সে দেখাশোনা করুক এবং জমিগুলো পরিচালনা করতে থাকুক। শ্বশুরবাড়িতে যা জমি জায়গা রয়েছে সেগুলো তো দুই ভাইয়েরই। সে যদি জমিগুলো দেখাশোনা করে তাহলে শ্বশুরের জমিগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হবে এবং সেই থেকে অনেক টাকা আসবে তাদের। তাছাড়া তাদের শশুর তো বৃদ্ধ হয়ে গেছে। না জানি কত সম্পত্তি গ্রামের মানুষ ভুলিয়া ভালিয়ে ফসল উৎপাদন করছে নিজেদের মতো করে। এদিকে রিনা চাই নিজের স্বাধীনতা মত চলতে। বাপের বাড়িতে থাকলে নিজের স্বাধীনভাবে চলতে পারবে আর যখন তখন শহরে আড্ডা দিতে পারবে। কারণ তাদের গ্রামটা ছিল শহর মুখে। আর নজরুলদের গ্রামটা ছিল একদম গণ্ডগ্রাম মুখে। যা শহর থেকে অনেক দূরে। তাই রিনা বারবার নজরুলকে ঘরজামাই থাকতে বলে। এদিকে গ্রামে থাকলে রিনার কানে অনেক আবোল তাবোল আসে আলেয়ার কথা নিয়ে। সে বলে যে ভুল করেছে নজরুল তাই বলে কেন আলেয়ার কথা শুনতে হবে রিনাকে। রিনার কানের প্রায় আসতে থাকে সে একজন জল্লাদ মহিলা। আলেয়ার জীবনটা নষ্ট করে,আলেয়ার জীবন থেকে নজরুলকে কেড়ে নিয়েছে সে। এমন অপবাদ রিনা সইতে পারে না। হাই নজরুল তার সাথে ঘরজামায় যাবে, না হয় রিনা তার বাবার বাড়ি চলে যাবে। এদিকে নজরুলের মনের মধ্যে ভালোলাগা আর আবেগ যেন পিড়িত করে বসল। নজরুলের মনের মধ্যে ভয়, নজরুলের অনুপস্থিতিতে রিনা না জানি তার বন্ধুদের সাথে কি করে বসে। এমনিতেই ক্লোজ ভাবে চলাচল করে সেটা সে কখনো পছন্দ করেনা।
বিষয় | গল্প পোস্ট |
---|---|
গল্পের বিষয় | নজরুল এর জীবন কাহিনী |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
ফটো এডিটিং | মোবাইল গ্যালারি সফটওয়্যার |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার ও ব্লগার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
Twitter-promotion
আমার আজকের টাস্ক
https://x.com/dream_boy56923/status/1912182125589385232?t=BhErsaC8fvemYTlUwauaxg&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1912182171735069085?t=lcOp8vUlvqqMJdnp-f4MRQ&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1912182715262316877?t=SRh_liKKUcbakFfwnbUC4Q&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1912182763547214123?t=1oOSfnXOCts682UBvUTWxA&s=19