১১ তম পর্ব || জীবনের ব্যর্থতার গল্প
03-06-2024
২০ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼 আসসালামুআলাইকুম সবাইকে 🌼
১০ ম পর্বের পর
আশুগঞ্জ এ যখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং করছিলাম তখন জানতে পেরেছিলাম যে বিমান বাহিনীতে আবেদনের সার্কুলার দিয়েছে। এবার আর কাউকে বলেনি। ২২০ টাকা দিয়ে আবারোও অর্থাৎ তৃতীয় বারের মতো বিমান বাহিনীতে আবেদন করে ফেললাম। এবার কোনো প্রস্তুতি নেই। হলে হবে না হলে নাই! ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং শেষ করে চলে আসলাম জয়দেবপুর ডুয়েট এডমিশনের জন্য। আবেদন যেহেতু করে রেখেছিলাম পরীক্ষার সময়টাও পরে জানিয়ে দেয়া হয়। কোচিং এর পড়ায় মনোযোগ দিলাম। বেশ কয়েকমাড পরে পরীক্ষার তারিখ দেয়া হলো। সম্ভবত রোজা ঈদের পরে। সেই আগের জায়গায়! বিমান বাহিনী তথ্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমার কাছে থাকেই একসেট। তবে সমস্যা হলো কিছু কাগজপত্র সত্যায়িত করা বাকি ছিল। সত্যায়িত বলতে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সিগনেচারকৃত থাকতে হবে।
আমার কাগজপত্র এর আগেও সত্যয়িত করিয়েছিলাম আমাদের উপজেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জনাব আকাইদ ডাক্তারের কাছে। দুইবারই উনার কাছ থেকে কাগজপত্র সত্যয়িত করিয়েছিলাম। বলতে গেলে আমার সব কাগজপত্র উনার কাছ থেকেই সত্যয়িত করানো হয়। তবে এবার কিছু মিথ্যা বলেছিলাম। কারণ এবার যে বিমান বাহিনীতে এপ্লাই করেছি আর তারজন্য কাগজপত্র সত্যয়িত করতে বাড়িতে এসেছি সেটা কাউকে জানায়নি। বলেছিলাম ডিপ্লোমা পাসকৃত সার্টিফিকেট দিয়ে একটা সরকারি জবে এপ্লাই করেছি। সেখানে পরীক্ষার সময় কাগজপত্র দেখাতে হবে। তো বাড়িতে এসে কাগজপত্র সত্যয়িত করে নিয়ে যায়।
কিছুদিন পরেই পরীক্ষা! কবে পরীক্ষা সেটাও কাউকে জানায়নি। একা একাই চলে গেলাম ঢাকার তেজগাঁও পরীক্ষা দিতে। পরীক্ষার সময় ছিল সকাল আটটা থেকে। ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে অনেকেই আবেদন করেছিল। তো যথারীতি পৌছেঁ গেলাম সেখানে। যেহেতু এর আগেও দুইবার পরীক্ষা দেয়ার সৌভাগ্য হয়েছে তাই বলতে গেলে নিয়মকানুনগুলো মোটামোটি জানা। প্রথমেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখা শুরু করলো। অনেকেই দেখলাম কিছু কাগজপত্রের জন্য বাদ পরে গেল। আবার দেখলাম বয়স সীমার জন্যও অনেকে বাদ পরে গিয়েছিল। আমার ছিল শেষ পরীক্ষা এটা বিমান বাহিনীতে। তারপরে আর পরীক্ষা দেয়া যাবে না। বয়সের লিমিটেশনও শেষ হয়ে যাবে। তো প্রাথমিকভাবে আগের মতোই সিলেক্ট হলাম।
যথারীতি প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত প্রার্থীদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হলো। তার পূর্বে ব্যক্তিগত ফোন একটি লকআপে সংরক্ষণ রাখতে বললো। ফোনটি লকআপে রেখে চাবিটা সঙ্গে করে নিয়ে নিলাম। তারপর যথারীতি আইকিউ পরীক্ষা দিলাম। ঠিক আগের মতোই পরীক্ষা দেয়ার পর নিচে সবাইকে ওয়েট করতে বলেছিল। আইকিউ পরীক্ষায় আমি সিলেক্ট হলাম। তারপর দ্বিতীয় ধাপে ফিজিক্স ও গণিত পরীক্ষা হবে। যারা সিলেক্ট হয়েছিল তাদেরকে নেয়া হলো অন্য আরেকটা রুমে। ফিজিক্স ও গণিত পরীক্ষায়ও আমি সিলেক্ট হয়েছিলাম। প্রতি ধাপে ক্যান্ডিডেট সংখ্যা কমতেছিল। তারপরের ধাপে ইংরেজী পরীক্ষা। ইংরেজী পরীক্ষায় আগের বার ব্যর্থ হয়েছিলাম। তো প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে আইডিয়া ছিল। এইবার আর আগের ভুল হয়নি। ইংরেজী পরীক্ষায়ও সিলেক্ট হলাম। এবার শুধু মেডিকেল আর ভাইবা! সেখানে সিলেক্ট হলেই চাকরি কনফার্ম!
চলবে,,,,,,
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share)
ইংরেজি পরীক্ষায় আগের বার ব্যর্থ হয়েছিলেন এই কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আর আপনার এই গল্পর কয়েকটি পার্ট আমার পড়ার সুযোগ হয়েছে আজকে মনে হচ্ছে এই গল্পটি নতুন একটা মন মোর নিলো। পরবর্তী পার্টের জন্য অপেক্ষার রইলাম ভাই আশা করি খুব শীঘ্রই পাবলিশ করবেন।