ক্রিয়েটিভ রাইটিং-"পিংকির জীবনের কিছু গল্প"
নমস্কার
ক্রিয়েটিভ রাইটিং-"পিংকির জীবনের কিছু গল্প"
কিছু গল্প নিজের কল্পনা দিয়ে তৈরি তো কিছু গল্প বাস্তবিক দৃশ্য দিয়ে তৈরি আবার কিছু গল্প থাকে ধোঁয়াশার মতো।অর্থাৎ বাস্তব এবং কল্পনার সমন্বয়ে বা মিশেলে লেখা, কিছু গল্প আবার শৈশবের ঝাপসা অনুভূতি নিয়ে নিজের চিন্তাভাবনা দ্বারা সমাপ্তির বহিঃপ্রকাশ।তেমনি একটি গল্প আজ লিখবো,,,, যেখানে শৈশবের দেখা কিছু আবছা বাস্তব দৃশ্য থাকবে আর থাকবে আমার কল্পনার মিশেল।তো চলুন শুরু করা যাক---
গ্রামের একটি মেয়ে পিংকি।স্বভাবে সে খুবই দুরন্ত ও হিংসুটে।পিংকির একটি ভাই রয়েছে আর তার বাবা-মা।বাড়িতে ফলমূলের গাছ রয়েছে, পুকুর রয়েছে তবুও পিংকির মন অন্যের বাড়ির ফলের দিকে পড়ে থাকে।এভাবে পিংকি ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে।
পিংকি ছোটবেলা থেকেই দেখতো একজন ছেলে তার বাড়িতে যাতায়াত করে।অর্থাৎ তার মায়ের সঙ্গে সেই ছেলেটির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।তবে সেই ছেলেটি বয়সে তার মায়ের থেকে অনেকটাই ছোট।পিংকির বাবা তো কাজের জন্য দিনের বেলা বাইরে থাকতো।পিংকি দেখতে সুন্দর, ঘনকালো লম্বা চুল তার কোমরের নিচ অব্দি ছাপিয়ে যায়।যাইহোক পিংকি বড় হয়েছে তার বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে,তাই পাত্র দেখা শুরু হয়েছে।
একবার এক ছেলে তার বাড়ির কিছু লোকজন নিয়ে পিংকিদের বাড়িতে আসে তাঁকে দেখতে।পিংকিকে প্রথম দেখাতেই ছেলের বাড়ির লোক পছন্দ করে ফেলে।যেই না ছেলের বাড়ির লোক পিংকিকে দেখার পর পাকা কথা দেবে ওমনি বাড়িতে হইচই পড়ে গেল।হইচই এর কারণ হচ্ছে---পিংকি বিষ খেয়ে নিয়েছে।এই ঘটনা ছেলের বাড়ির লোকজন জেনে বিন্দুমাত্র বুঝতে তাদের অসুবিধা হলো না যে-- পিংকির এই বিয়েতে মত নেই।অর্থাৎ তার অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
বাড়ির লোকজন তো কান্নাকাটি শুরু করেছে।ছেলের বাড়ির লোকজন সেখান থেকে চলে গিয়েছে।পরে জানা যায় পিংকি কোনো বিষ খায়নি,তবে সে ওই ছেলেকে বিয়ে করবে না বলে গায়ে-মুখে বিষ মেখেছে।সেই গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে অন্যদের নাকে।এখন দেখা গেল পিংকি সেই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক করেছে যার সঙ্গে তার মায়ের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে।সে তাকে ছাড়া বিয়ে করবেই না,,এমতাবস্থায় পিংকির সঙ্গে ওই ছেলের বিয়ে দেওয়া হলো।
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে ছেলেটি হয়ে গেল পিংকির মায়ের জামাই।এটা তার মা মেনে নিতে পারেনি সহজে।এরপর দীর্ঘদিন রাগ করে পিংকির মা তার জামাইয়ের বাড়ি যায়নি,তবে তার মেয়ের যখন একটি পুত্র সন্তান জন্ম নিলো।তখন থেকেই পিংকির মা তার মেয়ে-জামাইয়ের বাড়ি বেড়াতে যায় আবার জামাইও তাদের বাড়ি আসে।যেহেতু পিংকিদের বাড়ি একই গ্রামের মধ্যে।তাই তার ছেলে প্রায়ই তার দাদু ও দিদিমার কাছেই থাকে।পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সবকিছুই ঠিক হয়ে যায় এবং তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করে।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং-গল্প |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই গল্পটি একটি জটিল বাস্তবতা ও আবছা শৈশবস্মৃতির মিশ্রণে গঠিত — যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক অনুশাসন এবং মানবিক আবেগ এক সূক্ষ্ম রেখায় মিলিত হয়েছে। গল্পের পিংকি চরিত্রটি সমাজের প্রচলিত ধ্যানধারণাকে ভেঙে নিজের ভালোবাসাকে বেছে নেয় — যেটা অনেকেই সাহস করে করতে পারে না।
দারুণ মন্তব্য করেছেন ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।