ক্রিয়েটিভ রাইটিং: "নির্দোষীরা সহজেই হয় দোষী"
নমস্কার
ক্রিয়েটিভ রাইটিং: "নির্দোষীরা সহজেই হয় দোষী"
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে।যেটি এক নতুন অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে শেয়ার করবো।আর সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই একটি ছোট গল্পের রূপ দেওয়া।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের লেখা গল্পটি।তবে এ ক্ষেত্রে কারো কারো মত ভিন্ন হতেও পারে তবে আমি শুধুমাত্র আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করছি।যাইহোক তো চলুন শুরু করা যাক----
মিষ্টি ও তনু দুই বান্ধবী।কলেজে পড়াকালীন সময়েই তাদের পরিচয় হয়েছে।তনু মিষ্টিকে ভালো বান্ধবী ভাবলেও মিষ্টির মন প্রথম থেকেই ফাঁকা।তবে ক্লাসে 4 জনের নিয়ে তাদের একটি গ্রুপ রয়েছে, মিষ্টি তাদের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে মিশলেও তনু যেটুকু দরকার সেটুকুই মেশে।আবার মিষ্টি রোজ কলেজ যায় কিন্তু তনু সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন যায়।
কিছুদিনের মধ্যেই প্রথম সেমিস্টারের এক্সামের পর ছুটি শেষ হয়ে আবার ক্লাস শুরু হয়েছে।মিষ্টি একটা আতঙ্কে রয়েছে।তনুর মন সরল ও শান্ত।তাই সে মিষ্টিকে জিজ্ঞাসা করতেই মিষ্টি একটু ধমকের স্বরে উত্তর দিলো।অথচ মিষ্টির গ্রুপের সবাই এটা নিয়ে বেশ চর্চা করছে।ওই গ্রুপের একজনের মাধ্যমে তনু জানতে পারলো যে,তাদেরই ক্লাসের একটি ছেলে মিষ্টিকে হোয়াটস্যাপে মেসেজ করে বিরক্ত করছে।
প্রথম সেমিস্টারের ক্লাসের নোট চেয়ে নাকি প্রথম মিষ্টিকে মেসেজ করে ওই ছেলেটা।মিষ্টি কিছু নোট দেয় আর বাকিটা দেয় না।কিন্তু ওই ছেলেটা কথা বলার বাহানায় বারেবারে মেসেজ করে, এ নিয়ে কথা বলতে বলতে নাকি বিয়ে সংসার অব্দি কথা গড়িয়েছে।এক পর্যায়ে মিষ্টি তার মেসেজ কিছুটা ডিলিট করে আর ও কিছু মেসেজ যে গ্রুপে মেশে সেই গ্রূপে দুটি মেয়ে ও দুটি ছেলে রয়েছে।তো দুটিকে মেয়েকে মেসেজগুলি পড়তে দেয়,আর যেদিন তনু যায় না সেদিন মিষ্টি ট্রেন স্টেশন অব্দি ওদের সঙ্গে যায়।ওরা ওকে ভীষণ প্রটেক্ট করছে।যেহেতু ওরা অন্য ট্রেন ধরে তাই স্টেশন অব্দিই ওদের গন্তব্য।যাইহোক মিষ্টি ভয় পাচ্ছে,ওই ছেলেটা আবার ওর পিছু করে স্টেশন অব্দি চলে না যায়!তো এটা নিয়েই মিষ্টির আতঙ্ক।
তনু এতক্ষনে বিষয়টি বুঝতে পেরেছে কারন সে আগে থেকে কিছুই জানতো না এসবের।অন্যদিকে মিষ্টিদের গ্রুপের সঙ্গে 4 সেমিস্টারের এক দিদির বেজায় ভাব জমেছে।তাই ওই ঘটনাটি আবার মিষ্টি ওই দিদিকে জানিয়ে রেখেছে।ওই দিদি আবার তার পুরো ক্লাসে জানিয়েছে,এইভাবে মিষ্টিকে অনেকেই ম্যামদের সঙ্গে বিষয়টি জানাতে বলে আবার সংসদের দায়িত্বে যে দাদারা থাকে তাদেরকে জানাতে বলে।তখন 4 সেমিস্টারের ওই দিদিটা মিষ্টির আরো কয়েকজন বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে চলে যায় সংসদের এক দাদার কাছে।তারপর সবকিছু খুলে বলে, সংসদের দাদা তখন পরামর্শ দেয় যে 4 সেমিস্টারের ওই দিদিটাকে!যে ঐ ছেলেকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে,তারপর যদি কথা না শুনে তবেই সংসদ থেকে উদ্যোগ নেবে।
মিষ্টির এইসব ভাবনায় জ্বর চলে আসে।পরদিন মিষ্টির গ্রুপের একটি ছেলে মিষ্টিকে জ্বরের ঔষুধ দেয়।তারপর একদিন একটি রুমে ওই ছেলে আর মিষ্টিকে ডাকে 4 সেমিস্টারের দিদিটা।মিষ্টির সামনে ছেলেটাকে বোঝালে,ছেলেটি বলে আমি তো মজা করেছিলাম ও ভয় পেয়ে যাবে সেটা বুঝতে পারিনি।যাইহোক এই ঘটনা এখানেই সমাপ্ত ঘটলো।তনু শুধুই মিষ্টির যাওয়ার আসার বান্ধবী আর মিষ্টির মুখে ওই 4 জনের গ্রুপে থাকা একটি ছেলের নানান প্রশংসা শোনা তার কাজ।মিষ্টি এখন ভয় মুক্ত আর যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সেই ছেলেটির নাম নবীন।নবীন অন্য ট্রেন ধরলেও মিষ্টির ট্রেনের পাশেই তার ট্রেন একটি নির্দিষ্ট টাইমে দ্বার করানো থাকে।তাই তারা দুজন এ ট্রেনের কামরা ও অপর ট্রেনের কামরা থেকে দেখা করে আবার ট্রেনে দুজন মেসেজে,ভয়েস চ্যাটে কথা বলতে বলতে যায় সারাপথ।কিন্তু কিছুদিন পর মিষ্টিই একটি নোংরা মানসিকতার পরিচয় দেয়---(চলবে)
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
টুইটার লিংক
টাস্ক প্রুফ:
কমেন্টস লিংক--
https://x.com/green0156/status/1952900720417743003
https://x.com/green0156/status/1952901839449420195