ক্রিয়েটিভ রাইটিং-"দুস্টু জ্বীন ও জলপরীর গল্প"

ক্রিয়েটিভ রাইটিং-"দুস্টু জ্বীন ও জলপরীর গল্প"

সোর্স

আজ আমি এমন একটি গল্প বলবো যেটি আসলে বাস্তবে ঘটে যাওয়া।তবে এটি আমার নিজের চোখে দেখা নয় আমার মায়ের মুখ থেকে শোনা।আসলে এই ঘটনাটি ঘটেছিলো আমার বড় মাসীদের বাড়ির একটি মেয়ের সঙ্গে।

মেয়েটির নাম ছিল শিল্পা।তার বাবা হাইস্কুলের টিচার এবং মা প্রাইমারি স্কুলের টিচার।শিল্পার বড় একটি দিদিও রয়েছে, যে খুবই মেধাবী।যাইহোক শিল্পা আমার থেকে একটু বড় বয়সে।সে যখন ছোট ছিল তখন খুব একটা দুরন্ত ছিল না।তবে যখন সে হাটি হাটি পা পা করে যখন চলতে শিখেছিলো।তখন জলপরীর নজর পড়ছিলো তার দিকে।

একবার তো বাড়িশুদ্ধ লোকের হইচই পড়ে গেল।শিল্পাকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।যদিও আমার মাসীদের বড় বাড়ি ছিল, অনেক মানুষের বসবাস ছিল সেখানে।সারাবাড়ি খুঁজে দেখা হলো কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।সবার ধারণা,এত ছোট মেয়ে যাবে কোথায়!বেশি দূরে তো যাওয়া সম্ভব নয়।তারপর বাড়ির মধ্যে একজনের নজরে আসলো শিল্পা পুকুরের মধ্যে।কিন্তু প্রথমত সে বুঝে উঠতে পারিনি,কারণ পুকুরের কিনারে শিল্পা একবার ভেসে উঠছিলো আবার ডুবে যাচ্ছিলো।

বারিশুদ্ধ মানুষ ততক্ষনে পুকুর পাড়ে এসে হাজির।পুকুরে একজন পুরুষ মানুষ নেমে পড়লো।সে শিল্পাকে যতই উপরের দিকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে পুকুর থেকে ততই শিল্পাকে কে যেন বারবার পুকুরের নিচের দিকে টেনে নিয়ে চলে যাচ্ছে।শিল্পার ছোট্ট দেহ যেন ওই পুরুষ মানুষের কাছে পাথরের মতোই ভারী হয়ে উঠলো।বারবার নিচের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়াতে শিল্পা তো অচেতন অবস্থায় রয়েছে।তারপর ধরাধরি করে তাকে টেনে তোলা হলো পুকুর থেকে বাড়ির উঠানে।একজন গুনীন ব্যক্তিকে আনা হলো---সে আবিস্কার করলো ওই পুকুরে দুস্টু জ্বীন ও জলপরী রয়েছে, সেটিই ছোট বাচ্চাকে একা পেয়ে শিল্পার উপর ভর করেছে।

এরপর দীর্ঘদিন শিল্পার ঝাড়-ফুক ও ডাক্তার দেখানো সবই কমপ্লিট হলো।শিল্পার আচরণ তার পরে ছোট বেলায় মাঝে মাঝেই বদলে গেলেও সে এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে।শিল্পা খুব ভালো গান করা ,ক্লাসে ভালো রেজাল্ট করে।তার গানে মুগ্ধ এলাকাবাসী,এমনকি তার গানের এলবামও বের হয়েছে।সেই যে দুস্টু জলপরী ও জ্বীনে ভর করা মেয়েটি এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।।

পোষ্ট বিবরণ: