গল্প :- কিছু ভালোবাসা আছে নীরবে কাঁদায়।

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি জীবনের গল্প শেয়ার করব। কিছু কিছু ভালোবাসা আছে পূর্ণতা পায়। আবার কিছু ভালোবাসা আছে মানুষকে কাঁদায়। আর এই কান্না নিরবে বসে বসে কাঁদতে হয়। কারণ এই কান্না কেউ দেখে না। হয়তোবা কারো কাছে প্রকাশ করতে পারে না। আর যদি কারো কাছে প্রকাশ করা হয় তাহলে নিজেরা বদনাম হয়। তবে আমি মনে করি ভালোবাসা ভালো অতিরিক্ত ভালোবাসা কখনো ভালো না। আমার এক ক্লাসমেট বান্ধবীর প্রেমের কাহিনী আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করব। আমার ক্লাসমেট এর নাম হচ্ছে রুপা। রুপা আর আমি ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত একসাথে লেখাপড়া করেছিলাম। রুপা খুব ভদ্র এবং ভালো একটি মেয়ে।

রুপা যখন নবম শ্রেণীতে পড়ালেখা করে তখন সে তার ফুফাতো ভাইয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। যদিও ফুফাতো ভাই তাকে ভালোবাসার কথা বলে নাই। রুপা নিজ থেকে ফুফাতো ভাইকে ভালোবাসার কথা বলেছেন। আর ফুফাতো ভাই তার ভালোবাসার কথা শুনে একসেপ্ট করলো রুপার ভালোবাসা। যদিও প্রথম অবস্থায় কেউ বুঝে নাই তাদের ভালোবাসা কথা। রুপার ফুফাতো ভাইয়ের নাম হচ্ছে নিরব। নিরব মাঝেমধ্যে মামাদের বাড়িতে আসে। হয়তোবা মামাদের বাড়িতে এসে সবাইকে দেখে যাই। ওই সময় রুপার ফুফাতো ভাই কলেজে লেখাপড়া করে। আর ফুফাতো ভাই আসলে রুপা আন্তরিকতা বেশি দেখায়। তবে এটি রুপার মায়ের চোখে পড়লো।

এরপর রুপার মা সব সময় রুপাকে খেয়াল রাখতেন। যদি কখনো রুপা ফুফুদের বাড়িতে যেতে চাইতে রুপার মা যেতে দিতেন না। এবং ফুফাতো ভাই নীরব মাঝেমধ্যে স্কুলে এসে মামাতো বোনের সাথে দেখা করতেন। তবে স্কুলে তাদের বাড়িতে আরো ছেলেমেয়ে লেখা পড়া করতেন। তারা বাড়িতে গিয়ে রুপার মাকে বলে দিতেন। যদিও এই ব্যাপারটি ওই সময়ে রুপার বাবা জানতেন না। রুপার মা সব সময় তাকে বকাঝকা করতেন। আর রুপার মা নিরব এবং নিরবের মাকে পছন্দ করতেন না। এই কারণে রুপা ফুফাতো ভাইয়ের সাথে কথা বলুক এটি তার মা পছন্দ করতেন না। এদিকে নিরব এর মাও রুপাকে পছন্দ করেন না।

তারা বলে আত্মীয়র মধ্যে কোন ভালোবাসা নেই এবং বিয়ে নেই। কারণ আত্মীয়র মধ্যে বিয়ে হলে ঝগড়া হয়। তবে এদিকে রুপাকে তাদের বাড়ির একজন লোক পছন্দ করতেন। ছেলেটি পড়ালেখা করতেন না। আর ও ছেলেটি সব সময় রুপাকে খেয়াল রাখতেন কোথায় যায় কি করে। একদিন রুপার ফুফাতো ভাই যখন স্কুলের সামনে আসলো তখন তাদের বাড়ির ছেলেটি লোক নিয়ে রুপার ফুফাতো ভাইকে মারধর করলো। এ কারণে রূপার ভালোবাসার কথা সবাই জেনে গেল। এদিকে রুপার মা যে কথা বলে রুপার বাবা ওই কথা বলে। আর মাঝখান দিয়ে রুপা দুই পরিবারের বাজে কথা শুনতে হয়। বিশেষ করে তার মা এবং তার ফুফি তাকে আজেবাজে কথা বলে।

তবে আমাদের বিয়ের পরপরই রুপাকে অন্য জায়গা বিয়ে দিয়ে দিলেন। আর রুপা শত চেষ্টা করেও তার ভালোবাসার মানুষকে পেলেন না। এবং রুপার হাজবেন্ড তার পছন্দ না। এই কারণে রুপা সব সময় নীরবে ভালোবাসার জন্য কাঁদে।
আর এই ভালোবাসার কথা কাউকে বলতেও পারে না এখনো। তবে রুপার বুক ভরা কষ্ট মাঝেমধ্যে বান্ধবীর সাথে শেয়ার করে। এদিকে রুপার ফুফাতো ভাই এখনো পড়ালেখা করে। তবে মামাতো বোনের জন্য ভালোবাসার বদলে ঘৃণা জন্ম নিল। এখন রুপার ফুফাতো ভাই রুপাকে অনেক ঘৃণা করে। তার নাম শুনলে সে আজেবাজে কথা বলে এবং ঝগড়া করার জন্য চেষ্টা করে। আর রুপার ভালোবাসা এখনো তার ফুফাতো ভাই জন্য রয়ে গেল। এ হচ্ছে বাস্তব একটি প্রেমের কাহিনী।

ধন্যবাদ সবাইকে

_{Posted using SteemX}