গল্প :- অতি অহংকার ভালো না। (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ18 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


gay-7276180_1280.jpg

এর আগে আপনাদের মাঝে প্রথম পর্বে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবারো দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। এরপর নাজুর হাজব্যান্ড সিদ্ধান্ত নিলেন তাকে তার জীবন সঙ্গী হিসেবে রাখবে না। এবং তার মা-বাবাকে বলেছেন। এদিকে নাজু ও তার হাজবেন্ডের সাথে সংসার করবে না। এবং কিছুদিনের মধ্যে তাদের দ্বন্দ্ব আরো বেশি বেড়ে গেল। তারপর পরিবারের মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেল। এদিকে নাজু বাবার বাড়িতে এসেও ভাইদের ওয়াইফদের সাথে ঝগড়া করে। এর কিছু মাস পরে নাজুর বাবা এবং বড় ভাই মিলে তাকে অন্য জায়গা দেখে বিয়ে দিলেন । যদিও ওইখানে হাজবেন্ড এর পরিবার একটু দুর্বল। এই কারণে নাজু ওই সংসারে যেতে চাইতেন না। আর কখনো তার দ্বিতীয় হাজবেন্ড তাদের বাড়িতে আসলে তার সাথে কথা বলতেন না।

ব্যাপারটি তার দ্বিতীয় হাজবেন্ড এর মাইন্ডে লাগলো। এরপর নাজুর দ্বিতীয় হাজবেন্ড তার সাথে মাঝে মধ্যে ঝগড়া করতেন। প্রথম সংসার নাজু নিজে নষ্ট করেছে। এবং দ্বিতীয় সংসারে এসেও নাজু নিজে ঝগড়া করেন নষ্ট করার চেষ্টা করতে লাগলো। এরপর নাজু তার স্বামীর বাড়িতে যেতেন না। তারপরও নাজুর শরীরে অহংকার রয়ে গেল। কারণ বাড়ির মানুষদের সাথে সেই ঠিকমত ব্যবহার করতেন না। তার কিছু মাস পরে নাজুর দ্বিতীয় হাজবেন্ড বিদেশ চলে গেল। বিদেশ যাওয়ার পর নাজুর হাজব্যান্ড তার সাথে যোগাযোগ করতেন না। যদিও নাজু ও নিজেও তার হাজবেন্ডের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতেন না। তবে নাজুকে নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলতেন।

অনেকে বলতে নাজুর অন্য জায়গা সম্পর্ক আছে। নাজুর হাসবেন্ড বিদেশ যাওয়ার পর প্রায় দুই বছর তার সাথে যোগাযোগ করে নাই। তারপর হঠাৎ করে সেই মোবাইলে নাজুকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন। এদিকে নাজু দুই সংসার নষ্ট করে বাবার বাড়িতে থাকেন। তবে নাজুর বাবা মেয়ের টেনশানে মারা গেলেন। তারপরও নাজুর অহংকার কমে নাই। এভাবে ভাইদের সংসারে অনেক দিন ছিলেন নাজু। তারপর তার ভাই গুলো দেখে বাড়ির পাশে একটি ছেলের কাছে বিয়ে দিলেন। আর ছেলের পরিবার একদম দুর্বল । নাজুর তৃতীয় নম্বর হাজবেন্ড এলাকার মানুষের কাজ করেন। যদি ও নাজুর হাজবেন্ড টি মানুষ ভালো। আর নাজুর হাজবেন্ডের শুধু মা আছে বাড়িতে। তবে এখন নাজু জীবনে বুঝতে পারল তার অহংকারের কারণে আগের সংসার গুলো নষ্ট হয়ে গেল।

যদিও নাজুর আগের সংসার গুলোর মধ্যে ছেলেমেয়ে নেই। আর এখন তৃতীয় সংসারে এসে নাজু দিন রাত পরিশ্রম করে সুখে থাকার জন্য। তবে প্রথম দুই হাজব্যান্ড নাজুকে যেভাবে ভালবাসতেন। এখন তৃতীয় নাম্বার হাজবেন্ড নাজুকে সেরকম ভালবাসে না। এখন নাজু শত কষ্টের মধ্যেও তৃতীয় হাজবেন্ডের পরিবারের সাথে থাকার চেষ্টা করে। এবং অনেকে এখন বলে নাজু আগে অনেক অহংকার করতেন। সে অহংকার করে মানুষদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন। আর নাজুর সংসারে এখনো পর্যন্ত কোন ছেলেমেয়ে নেই। তবে ছেলে মেয়ে না থাকার কারণে নাজুর হাসবেন্ড নাজুকে মারধর করে। এবং অনেক সময় বলে তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে।

কারণ সংসারের ছেলে মেয়ে না থাকলে সৌন্দর্য নেই। আর নাজুর জামাই বর্তমানে নাজুকে এবং তার পরিবারকে ঘৃণা করে। কারণ এক সময় নাজুর পরিবার এদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। আর এখন নাজুর হাসবেন্ড নিজেই বলে তারা মানুষকে মানুষ বলতো না। আর নাজু ও মানুষকে মানুষ বলে মান সম্মান দিত না। সত্যি বলতে নাজু তিন সংসারে বিয়ে হয়েছে কখনো সুখ দেখে নাই। যদিও প্রথম দুই সংসারে তার অহংকারের কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেল। আর এখন তৃতীয় সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ছেলে মেয়ে না হওয়ার কারণে। যদিও এখনো পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক আছে স্বামী-স্ত্রীর। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সন্তান না হলে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। এই হচ্ছে অতি অহংকার করা একটি মেয়ের জীবন কাহিনী। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 18 days ago 

IMG_20250602_200602.jpg

 17 days ago 

অহংকার পতনের মূল এটাই বাস্তব । আসলে অহংকার করা কোনভাবে উচিত নয়। অহংকার করা মানে নিজের পতন ডেকে আনা। আপনার গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।