গল্প :- কিছু কিছু ভালোবাসার কারণে জীবন দিতে হয়।

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


apple-1632919_1280.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। যদিও এই ঘটনাটি অনেক বছর আগে ঘটেছিল। তবে এই ঘটনাটি আমি আমার শাশুড়ির মুখ থেকে শুনেছিলাম। আমাদের পাশের এলাকায় একটি প্রেমের ঘটনা আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করব। একটি গরীব ফ্যামিলিতে ছোট্ট একটি রাজকুমারী ছিল। মেয়েটি তেমন বড় না ১২ থেকে ১৩ বছর হবে তার বয়স ওই সময়। আর তাদের পাশের বাড়ির একটি ছেলে ওই মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতেন। যদিও ছেলেটি প্রাইভেট পড়াতে কোন টাকা নিতেন না মেয়েটির পরিবার থেকে। কারণ মেয়েটির পরিবার অনেক গরীব তার বাবা রিক্সা চালায়।

আর মেয়েটির নাম হচ্ছে শিল্পী। আর যেই ছেলেটি তাকে প্রাইভেট পড়াতেন ওই ছেলেটি ওই সময় কলেজে লেখাপড়া করতেন। আর ছেলেটির পরিবার অনেক প্রভাবশালী ছিলেন। এবং সেটির বাবার অনেক টাকা ছিল। যখন শিল্পী ক্লাস সিক্স বা সেভেনে পড়ালেখা করে। তখন মেয়েটির বাবা পড়ালেখার খরচ চালাতে পারছে না। আর ওই সময় ছেলেটি শিল্পীর বাবাকে বলেছে তাকে পড়ালেখা করানোর জন্য। তার সম্পূর্ণ খরচ সেই দিবে। আর ছেলেটির নাম হচ্ছে রফিক।। তবে এই ব্যাপারটি রফিকের ফ্যামিলি ভালোভাবে দেখে নাই। আর রফিকের মা-বাবা শিল্পীর বাবাকে বাজেভাবে কথা বললেন। আর শিল্পীর বাবা রফিকের বাবার সাথে এ নিয়ে কিছু কথা বলে ঝগড়া করলেন।

আর শিল্পী তার বাবার পরিবারে একমাত্র মেয়ে। তাদের পরিবারে আর কোন ছেলে মেয়ে ছিল না। তবে ওই সময় টেলিভিশনে নাটক এবং কোন অনুষ্ঠান দিলে অনেক মানুষ রাত্রেবেলা গিয়ে পাশের ঘরের টিভি দেখে অনেকে। আর ওই সময় টেলিভিশন ও খুব কম ছিল। একদিন শিল্পী রাত্রেবেলা পাশের ঘরে গিয়ে টেলিভিশন দেখতে লাগলো। এবং রাত অনেক হলো যখন শিল্পী ঘরে আসে নাই। তখন তার পরিবার ওই ঘরে খোঁজ করতে গেলেন। এবং তারা বলতে লাগলো আরো দুই ঘন্টা আগে সেই এখান থেকে চলে গেল আপনাদের ঘরে। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করতে লাগলো শিল্পী কে। কিন্তু কোথাও শিল্পিকে পাওয়া গেলে না।

এভাবে খুঁজতে খুঁজতে সকাল হয়ে গেল। তবে কোথাও শিল্পী কে পাওয়া হলো না। এবং এদিক ওদিক খুঁজতে খুঁজতে অনেক মানুষ জানলো শিল্পীকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর অনেকে অনেক ধরনের কথা বলতে লাগলো। আর দুইদিন পরে শিল্পীর লাশ পেল তাদের বাড়ির পিছনে জমির মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে রাখল। যদিও ওই জমির মধ্যে দুটি লাঠি দিয়ে রাখল। আর ওইখানে কাদামাটি ছিল বিদায় অনেকে সন্দেহ করতে লাগলো। পরে মাটি হালকা তুলার পর শিল্পীর লাশ দেখতে পেল। হঠাৎ করে এলাকা মধ্যে হই চই পড়ে গেল। ১২ ১৩ বছরের মেয়েটিকে মেরে ফেলেছে। পরে শিল্পীর বাবা থানায় মামলা করলেন রফিক এর ফ্যামিলির জন্য।

আর সাথে সাথে রফিক গিয়ে থানায় হাজির হলেন। এবং সেই বলতে লাগল এই ব্যাপারে সে কিছুই জানে না। তবে পরে সত্য প্রমাণিত হলো রফিক এই ব্যাপারে কিছু জানে না। রফিকের বাবা এবং মা ও তার এক মামা মিলে লোক ধরিয়ে শিল্পী কে মেরে ফেলেছে। এবং অনেক বছর পর এই মামলার রায় হলো আসামি গুলোর কয়েক বছরের সাজা। কিন্তু আসামি গুলো থানায় থেকে বাইর হয়ে গেল। আর মা-বাবা তাদের একমাত্র আদরের মেয়েকে হারালো। যদিও ওই সময় শিল্পী মেয়েটি ছোট ছিল। হয়তোবা আবেগের কারণে তার প্রাইভেট শিক্ষকের সাথে প্রেম করেছে। আর এই প্রেমের কারণে লাশ পর্যন্ত তার জীবন দিতে হলো। আশা করি আমার এই বাস্তব গল্পটির পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Posted using SteemX