গল্প :- রাগ অভিমান ভালো না। (প্রথম পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


strength-1148029_1280.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো রাগ অভিমান নিয়ে একটি গল্প। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাগ অভিমান করলে নিজের জন্য ক্ষতি হয়। এমনকি নিজের জীবন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে। আমার শ্বশুর এলাকায় এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল আজকে আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করব। আমার শ্বশুরের পাশের বাড়ির একটি ছেলে। ছেলেটির নাম হচ্ছে সজীব। সজীব পড়ালেখা করে খুব ভালো একটি ছেলে। সজিব যখন কলেজে পড়ে তখন তার একজন বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। এবং কলেজে একটি ছেলের সাথে ভালো সম্পর্ক হয়েছে। সজীব একটি স্কুল থেকে পাশ করে গেল আর তার বন্ধু অন্য স্কুল থেকে পাশ করে আসলে না। সজিবের বন্ধুর নাম হচ্ছে আকাশ।

দুইজন এতই ভালো বন্ধুত্ব হলে একজনের বাড়িতে একজন সব সময় আসা-যাওয়া করতো। এবং দুজনের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক মত হয়ে গেল। আর ভালো-মন্দ কিছু হলে একজনের পাশে একজন দাঁড়াতেন। একবার আকাশের মা অসুস্থ হয়েছে রক্তের প্রয়োজন ছিল। ওই সময় সজীব আকাশের মাকে রক্ত দিলেন। এবং দুজন সব সময় চেষ্টা করেন একজনের পাশে একজন দাঁড়াতে। তবে আকাশের একটি ছোট বোন আছে। বোনটি দশম শ্রেণীতে পড়ালেখা করতেন। আর আকাশের বোন সজিবদের বাড়িতে আসতো। সজিবের পরিবারের সবাইও আকাশের বাড়িতে সব সময় কম বেশি যেতেন। এভাবে তাদের বন্ধুত্ব চলতে থাকলো। আর যখন সজীব আর আকাশ ইন্টার পাশ করলো। তখন আকাশ চিন্তা করল বিদেশ যাবে।

যদিও তারা দুইজন ইন্টার শেষ করে আবার কলেজে ভর্তি হলেন ডিগ্রী কমপ্লিট করার জন্য। আর আকাশের বোন ওই সময় এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হলেন। এভাবে তাদের দিনগুলো যাচ্ছিল। হঠাৎ করে আকাশ সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা জমা দিলেন। এর কয় মাস পর আকাশ সাউথ আফ্রিকা চলে গেলেন। আর আকাশদের বাড়িতে শুধু আকাশের বোন এবং মা আছে। আকাশের বাবা বিদেশ থাকে। আর সজীব মাঝে মধ্যে গিয়ে আকাশদের পরিবারের বাজার ও অন্যান্য কাজ করে দিতেন। আর সজীব আকাশের পরিবারে একজন বিশ্বস্ত লোক হয়ে গেলেন। যদিও পাশের বাড়ির লোক গুলো অনেক কথাই বলতো তাদেরকে নিয়ে।

আর আকাশের বোনের কলেজের যেকোনো কাজ সজীব গিয়ে দেখতেন। এভাবে দিন যেতে যেতে হঠাৎ করে সজীব এবং আকাশের বোন এর মধ্যে সম্পর্ক হয়ে গেল। আর আকাশের বোনের নাম হচ্ছে সুইটি। সুইটি যেমন দেখতে সুন্দর এবং তার আচার ব্যবহার। যদিও প্রথমে কেউ বুঝতে পারে নাই তাদের প্রেমের সম্পর্ক। আর আকাশের মা যে দিকে যেতেন সজীবকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। এদিকে আকাশ বিদেশ থেকে সব সময় সজীবের সাথে কথা বলতেন ভালো-মন্দ পরিবারের জানতেন। তবে আস্তে আস্তে আকাশের মা এবং আকাশ জানতে পারলো তার বোনের সাথে সজিব প্রেমের সম্পর্ক গড়েছে। এতে করে পরিবারের কারো আপত্তি ও ছিল না। কারণ পরিবারের সবাই সজীবকে পছন্দ করে। আর সজীব ছেলেটিও ভালো এই কারণে।

এভাবে সজীব এবং সুইটির প্রেম চলতে লাগল পরিবারের বাধা ছাড়া।। এবং আকাশ সব সময় ফোন করে সজীব থেকে পরিবারের খোঁজখবর জানতো। এদিকে হঠাৎ করে আকাশের বাবা দেশে আসলেন। আকাশের বাবা যখন দেশে আসলো তখন আকাশের বাবা সজীব তাদের বাড়িতে যাওয়া আসার পরে সেটি পছন্দ করতেন না। আর সজীব তার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে সেটিও পছন্দ করতেন না। যখন আকাশের বাবা বিদেশ থেকে দেশে আসলো তখন সজীব তাদের বাড়িতে খুব কমে যেতেন। আর সুইটি সজীবের সাথে বাইরে দেখা করতেন। এভাবে দিন যেতে লাগল তাদের। হঠাৎ করে সুইটির জন্য ভালো একটি বিয়ের সম্পর্ক আসলো। ছেলেটি ইউরোপে থাকে। যাইহোক আছে এই পর্যন্ত পরবর্তীতে পরে পর্ব নিয়ে হাজির হব। (চলবে)

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 days ago 

Screenshot_2025-04-19-19-36-35-879_com.twitter.android.jpg

 4 days ago 

Screenshot_2025-04-19-19-44-26-554_com.android.chrome.jpg

 4 days ago 

Screenshot_2025-04-19-19-46-33-991_com.twitter.android.jpg

 4 days ago 

Screenshot_2025-04-19-19-49-48-112_com.twitter.android.jpg

 4 days ago 

আপু রাগে-অভিমান ভালো না তবে ভালোবাসার মধ্যেই রাগ অভিমান থাকে। আপনার গল্প পড়ে প্রথম থেকে বেশ ভালো লেগেছিল। কিন্তু সুইটির বাবা এসে সব কিছু এলোমেলো করে দিল।দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।