গল্প :-কিছু ভুলের জন্য সারা জীবন কাঁদতে হয়। (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


lighthouse-5439227_1280.jpg

এর আগে এই পর্বের প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবারো দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। কারণ তাদের মধ্যে মেয়ে আছে। মূলত সালেহার ফুফাতো ভাইয়ের একটি মেয়ে আছে দেখতে অনেক সুন্দর। এদিকে মামাতো বোন এবং ফুফাতো ভাইয়ের মধ্যে ভালই মিল আছে। সালেহার হাসবেন্ড যখন ফুফাতো ভাইয়ের সাথে কথা বলল সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল। যদিও সালেহা বড় ফুফাতো ভাই ছোট বয়সে। এরপর সালেহার বড় ছেলেকে তার ফুফাতো ভাইয়ের মেয়েকে বিয়ে করালো। তবে সালেহার বড় ছেলের নাম হচ্ছে মাসুম। আর ওই সময় মাসুম কিন্তু মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা করে একজন আলেম হয়েছে। আর এদিকে রেখার ছেলেটি দাখিল পাস করে আলেম এ পড়ালেখা করতে লাগলো। আর ফুফাতো ভাইয়ের মেয়েকে বিয়ে করানোর পর সবাই মিলেমিশে থাকতে লাগলো।

এদিকে মাসুমের দেশে কোন চাকরি হচ্ছে না। তার মামারা বিদেশ থাকে এই কারণে চিন্তা করতে লাগলো ভাগিনাকে বিদেশ নিয়ে যাবে। এই কথা শোনার পর সালেহা এবং তার হাজবেন্ড রাজি হল ছেলেকে বিদেশ পাঠাবে। কয়েক মাসের মধ্যে মাসুম বিদেশ চলে গেল মামাদের কাছে। বিয়ে করার পর তাদের ঘরে কোন ছেলে সন্তান হয় নাই। যদিও বিয়ের তিন চার মাস পর মাসুম বিদেশ চলে গেল। আর পরিবার সবাই মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা করেছে বিদায় সব সময় পদ্মা সেইভাবে চলাফেরা করে। আর সালেহা ও রেখা তাদের প্রত্যেক জনের একটি ছেলে একটি মেয়ে করে আছে। একদিকে চাচাতো বোন চাচাতো বোন অন্যদিকে খালাতো বোন। তবে পরিবারের সবাই মিলেমিশে থাকতে থাকতে হঠাৎ করে তাদের পরিবারে ভিন্ন রকম একটি আঘাত আসলো।

সালেহার পুত্র মাসুমের ওয়াইফ কে রেখার ছেলেটি চুরি করে বিয়ে করে ফেলেছে। একদিকে জ্যাঠাতো ভাইয়ের ওয়াইফ অন্যদিকে তার মামার মেয়ে। এবং একই ঘরে বসবাস করে। প্রথমে তাদের ব্যাপারটা কেউ বুঝতে পারে নাই। পরে জানাজানি হয়ে গেল মাসুমের ওয়াইফ কে তার খালাতো ভাই শাকিল বিয়ে করে ফেলেছে। এই নিয়ে সালেহা এবং রেখার মধ্যে ঝগড়া। অন্যদিকে ভাই ভাই ঝগড়া লেগে গেল। বড় ভাই বলতে লাগে তোর ছেলেটি খারাপ আমার ছেলের ওয়াইফ নিয়ে গেল। আর এদিকে বোন দুটিও একজনকে একজন দোষারোপ করে। বিগত ২৫ থেকে ২৬ বছর পর্যন্ত দুই বোন একসাথে থাকে একই ঘরে। আর এখন ছেলের ওয়াইফের কারণে দুটি বোনের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেল।

বাই বাই এর সম্পর্ক পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেল। এই নিয়ে পরিবার-পরিবারে ঝগড়া। এই ঝগড়া নিয়ে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত আলাদা করে ফেলেছে। কারণ বাই বাই একসাথে ব্যবসা আর করবে না। এদিকে সালেহা এবং রেখা তারও একসাথে খাওয়া দাওয়া করবে না একই ঘরে থাকবে না। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর তারা পরিবার নিয়ে বসলো। তখন দোষ কি সেটি জানতে চেষ্টা করল। পরবর্তীতে দেখে ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ে অর্থাৎ মাসুমের ওয়াইফের মধ্যে সমস্যা আছে। এই কারনে সে ঘরে থাকা অবস্থায় রেখার ছেলের সাথে সম্পর্ক করে বিয়ে বসলেন। আর এই মেয়ে যদি ওই ঘরে থাকে। কখনো মাসুম দেশে আসে তাহলে আরো ঝগড়া হবে।

কারণ একদিকে দুইজন চাচাতো ভাই জ্যাঠাত ভাই। অন্যদিকে দুইজন খালাতো ভাই। এই কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শাকিল মাসুমের ওয়াইফকে ডিভোর্স দিবে। এবং ডিভোর্স দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে। নয়তোবা মাসুম এবং শাকিল এর মধ্যে ঝগড়া থাকবে আজীবন। কারণ দুই খালাতো ভাই একই বাড়িতে থাকবে। আর এই ওয়াইফ থাকলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হবে। এই কারণে পরিবারের সবাই বলে মাসুমের প্রথম ওয়াইফকে শাকিল ডিভোর্স দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন। এতে করে তাদের ঘরে আবার শান্তি ফিরে আসলো। আর ওইদিকে ফুফাতো ভাইয়ের মেয়েটির কপাল খারাপ হয়ে গেল। প্রথম স্বামী এবং দ্বিতীয় স্বামী দুই দিক হারালো। এই কারণে অতিরিক্ত লোভ লালসা করা ভালো না। আশা করি আমার গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 last month 

Screenshot_2025-05-06-19-57-35-275_com.twitter.android.jpg

 last month 

বর্তমানে এসব সমস্যাগুলো কমবেশি সব জায়গাতে দেখা যায়। তবে এইখানে শাকিল মনে হয় ভুল করেছে। কারণ জ্যাঠাতো ভাইয়ের ওয়াইফ অপরদিকে খালাতো ভাইয়ের ওয়াইফ নিয়ে যাওয়া ঠিক হয় নাই। অপরদিকে তাদের মা দুইজন আপন বোন একই ঘরে থাকে। আর এসব সমস্যাগুলো অনেক জটিল পরিবারের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক গল্পের শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।