গল্প:- আজব প্রেম। (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


daisies-1403041_1280.jpg

এর আগেও আমি এই পর্বের প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে পরের পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। এবং নীরবের মা মেয়ে দিকে আরো বললেন তুমি পয়জনে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে। যাতে করে তোমার উপর নিরবে মনে কষ্ট আসে। আর মেয়েটির যখন ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে ঠিক হল। তখন মেয়েটি ক্লাসের বন্ধু-বান্ধব সবাইকে দাওয়াত দিলেন।এবং নিরবকে দাওয়াত দিলেন না। এইখান থেকে নিরব কিছুটা হলে মেয়েটির উপর মনে কষ্ট আসলো। এবং দিন তারিখ ঠিক সময় মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেল। আর মেয়েটি এখন তার স্বামী নিয়ে আসে। আর নীরব কয়েকদিন ভালোবাসার জন্য কষ্ট করেছিল। ওই সময় নিরব ঠিক মতে খাওয়া দাওয়া করে নাই। এভাবে এক মাস থেকে দুই মাস গেল প্রেমের কষ্ট নিয়ে ছিলেন নীরব। আর কিছুদিন আগে হঠাৎ করে আবার খবর আসলো।

নীরব এখন মেয়েটির বান্ধবীর সাথে প্রেম করে। এবং তাদের প্রেমের সম্পর্ক নাকি বান্ধবীর বিয়ের পর থেকে হল। এখন নীরব মেয়েটির বান্ধবীর সাথে ভালই প্রেম করতে লাগলো। কিছুদিন আগে নীরব ঘরের মধ্যে তার মায়ের সাথে ঝগড়া করলেন। এবং ঘরের কিছু জিনিসপত্র নষ্ট করে ফেলেছেন সেই। এবার যেন তার মা তার এই ভালোবাসার মানুষটিকে তাকে বিয়ে করায়। এখন নীরবের মা একদম ভেঙ্গে পড়েছে। কারণ তার ছেলে প্রেম নিয়ে কারখানা চালু করে দিল। কারণ কিছু মাস একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে তার বিয়ে হলে এবং নতুন আরেকটি প্রেম ধরে।

আর নীরবের প্রথম প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেল দেখে নিরবের মা একটু শান্তি ছিল। এখন মেয়েটির বান্ধবীর সাথে প্রেম করে আবার নীরবের মাকে সে টেনশন দিয়ে দিল। তবে এইবার তার প্রেমিকার বাড়ি কোথায় সে তার মাকে বলে না। এবং বলতে লাগলো এই ভালবাসার মানুষকে যদি বিয়ে না করায় সেই তার জীবন রাখবে না। কারণ ভালোবাসার মানুষের জন্য সেই জীবন দিতে প্রস্তুত। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে বিগত দুই মাস আগে সে অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করে তার জন্য অনেক কষ্ট করেছিল। আর দুই মাস যেতে না যেতে সে নতুন করে আবার প্রেম করলো। তা আবার তার প্রেমিকার প্রিয় বান্ধবীর সাথে। আর এখন নীরবের প্রেমের কথা শুনলে বাড়ির সবাই হাসে।

কেউ কেউ বলে ছেলেকে বিয়ে করানোর জন্য নিরবের মাকে। কারণ এ মেয়েকে বিয়ে না করালে সেই আবার নতুন করে অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করবে। এবং বলে তার আবেগ নাকি এখন বেশি। আর নিরব সব সময় মেয়েটির সাথে কথা বলে। আবার কিছু কিছু লোক বলে তার ভালোবাসার মধ্যে নাকি প্রতারণা আছে। কারণ ভালোবাসার মানুষ যখন বিয়ে হয়ে গেল সে নতুন করে প্রেম করতে লাগলো। এবং এই ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করার জন্য সেই তার মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে লাগলো। আবার কিছু কিছু বাড়ির ছেলে নীরবকে দেখলে প্রেমিক বলে ডাকে। হয়তোবা এগুলো দুষ্টামির কারণে।

তবে নীরবের মা কিছুদিন আগে জানতে পারল মেয়েদের বাড়ি কোথায়। এবং এই মেয়েটির বাড়িও একই এলাকার মধ্যে। আর মেয়েটির বাবা কিন্তু খুব ভয়ঙ্কর। নীরব যদি ওই মেয়ের সাথে প্রেম করে তাহলে নিরবের জন্য বিপদ আছে। আর সত্যি বলতে ছেলে-মেয়ে বড় হলে মা-বাবার চিন্তা অনেক বেড়ে যায়। কারণ ছেলে মেয়ে সঠিকভাবে চলাফেরা না করলে তখন মা-বাবার চিন্তা অনেক বেশি থাকে। তবে নিরবের কারণে নীরবের মা সব সময় চিন্তা করে। কারণ বাবা থাকে বিদেশ সে তেমন কিছু জানেনা দেশের খবর। আর নিরবের মা চেষ্টা করতে লাগলো ছেলেকে ঠিক করানোর জন্য।

আবার অনেকে বলে মেয়েটির বাবা মানুষ ভালো না তাদের বাড়িতে গেলে নীরবের মাকে অপমান করবে। আর কিছুদিন আগে নিরব বাড়ি থেকে রাগ করে চলে গেল। আজব প্রেমের কারণে নীরব এখন যাযাবর হয়ে গেল। এই হচ্ছে কিশোর নিরবের প্রেম কাহিনী। আশা করি আমার প্রেমের গল্প পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Posted using SteemPro

Sort:  
 5 days ago 

Screenshot_2025-08-22-16-12-20-245_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-08-22-16-10-29-811_com.twitter.android.jpg

Congratulations!

Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀

upvoted.png

This is an automated message.

💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!

🟩 Vote for witness faisalamin

https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin

 5 days ago 

আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। আজকের পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। তবে আমার কাছে মনে হয় নীরব ছেলে হিসেবে তেমন ভালো না। কারণ ভালোবাসার মানুষের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সে নতুন করে আবার প্রেম করতে লাগলো। এ ধরনের লোকগুলো যেকোনো সময় পরিবর্তন হয়ে যায়। যাই হোক বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।