পহেলা তারিখে মধ্যমগ্রাম ডি বাপির ভীড়!
নমস্কার বন্ধুরা,
নতুন বছরের পহেলা তারিখে গিয়েছিলাম মধ্যমগ্রামে এক দাদার বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার নেমন্তন্ন পালন করতে। কোথাও নেমন্তন্ন থাকলে আমার না থাকে না তাই দুপুর দুটো নাগাদ বেরিয়ে পড়েছিলাম। রাস্তাঘাট সেদিন তুলনামূলক বেশ ফাঁকাই ছিল। মূলত পহেলা তারিখ তা ছাড়া সেদিন অফিস ঘাট সবই বন্ধ তাই মানুষজন রাস্তাঘাটে বিশেষ নেই তবে প্রচুর কপোত কপোতীর দেখা পাচ্ছিলাম। মিনিট ত্রিশেক মোটর বাইক চালিয়ে সেই দাদার বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে শুনি বহু সময় ধরে কাছের ডি বাপি রেস্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানি অর্ডারের চেষ্টা করেও কিছুতেই অর্ডার সম্ভব হয়নি।
কয়েকদিন আগে বারাসাতের ডি বাপি বিরিয়ানিতে দারুন চিকেন বিরিয়ানি খেয়েছিলাম। সেই স্বাদ মুখে লেগে আছে এখন। মধ্যমগ্রামে খাওয়ার সুযোগ পেয়েছি সেটা ছাড়া যায় না, তাই আমি নিজেই বেরিয়ে পড়লাম। ঘর থেকে অল্প কিছুটা দূরেই রয়েছে মধ্যমগ্রামের ডি বাপির বিরিয়ানি আউটলেট। দূর থেকে পহেলা তারিখের ভিড় দেখে আমার চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার অবস্থা। বিশাল লাইন স্কুটার পার্ক করার আগেই একটু ভয় পেয়ে গেছিলাম। লাইনের কাছে গিয়ে বুঝলাম হোটেলে যারা বসে খাবে তাদেরই লাইন। পার্সেল লাইনটা ছোটো। দুটো চিকেন বিরিয়ানির টাকা মিটিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম ছোট্ট লাইনে। ঘড়িতে তখন বাজে সাড়ে তিনটা।
কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর জানতে পারলাম চিকেন বিরিয়ানির হাড়িটা শেষ হয়ে গেছে এবং আর পনেরো কুড়ি মিনিটের মধ্যেই বিরিয়ানি হয়ে যাবে। ওমা! দাঁড়িয়েই আছি যারা মাটন বিরিয়ানির জন্য এসেছিলেন তারা টপাটপ বিরিয়ানি নিচ্ছিলেন আর বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। দেখতে দেখতে আমাদের চোখের সামনে দুটো মাটন বিরিয়ানির হাড়ি শেষ হয়ে গেল কিন্তু আমরা সেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে। অপেক্ষা প্রহর শেষ হলো যখন ঘড়িতে বাজে চারটে ত্রিশ অর্থাৎ ঠিক ১ ঘন্টা পর। বিরিয়ানি হাতে পেতেই দিলাম ছুট। ঘরে ফেরার সময় মনে ভাবছিলাম, আমরা রীতিমত বিরিয়ানি বানিয়েই ঘরে ফিরলাম। হাঃ হাঃ।
খিদেয় তখন পেটে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে। জলদি বিরিয়ানি বের করে থালায় সাজিয়ে ফেললাম। বিরিয়ানির চাল অনেকটা তবে বারাসাতে যে পরিমাণে পেয়েছিলাম তেমনটা নয়। সেসবে মাথা না খাটিয়ে গ্রাস মুখে তুললাম। আহা! পরিমাণ কিছুটা কম হলেও স্বাদ দুর্দান্ত এবং মাংসের টুকরো টাও খুবই ভালো ছিলো, অস্ত একটা লেগ পিস। খিদের চোটে এক টানেই গপাগপ পুরোটা খেয়ে সাবরে দিলাম। মধুরেণ সমাপয়েত।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হা হা হা। মধুরেণসমাপয়েৎ! ভালো জিনিস বেশিক্ষণ ফেলে রাখতে নেই তাছাড়া খিদের মুহূর্তের স্বাদ বোঝার মত অবস্থায় জিভের থাকেনা। সেই সময়ের যায় খাওয়ার পাওয়া যায় সেটাই অমৃত ভেবে গপাগপ মেরে দেয়া হয়। এই জিনিসটা আমাদের প্রায়শই ঘটে বইমেলার সময়। যথা সময় ঠিকঠাক খাবার পাওয়া যায় না লাঞ্চ করতে করতে বিকেলবেলায় সাড়ে তিনটে চারটে বেজে যায় তখন যাই পাই সবই ভালো লাগে খেতে। তবে ডি বাপি বিরিয়ানির কথা আমি শুনেছি আমার কয়েকজন বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে। বেশ ভালো খেতে হয়। দেখি নারায়ণ কবে কপালে রেখেছেন।
ডি বাপী বিরিয়ানিতে বিরিয়ানি কেনার একটি দারুন অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। আসলে এই ডি বাপির বিরিয়ানি আমার কাছে অন্যতম প্রিয় একটি খাবার। এখানে বসে খেলে আনলিমিটেড রাইস দেয় দেখেছি। আর তাদের স্বাদ গন্ধ সব দিক থেকে অতুলনীয়। তাই মধ্যমগ্রাম গেলে আমিও ডি বাপী থেকে বিরিয়ানি আনার চেষ্টা করি।
এতো লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে যে শেষ পর্যন্ত বিরিয়ানি পেয়েছেন, সেটাই তো অনেক। তবে বিরিয়ানির ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল। কলকাতায় গেলে অবশ্যই দাদা বৌদি এবং ডি বাপির বিরিয়ানি খাবো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।