কালীপুজো ২০২৪ ( পর্ব ৮ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে কালীপুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। আমরা পরে চলে গিয়েছিলাম আমাদের লোকেশন এর বাইরে অর্থাৎ আমাদের যেসব জায়গায় মেইন টার্গেট ছিল, তার প্রায় অধিকাংশ দেখা হয়ে গিয়েছিলো। তো আমরা ভেবেছিলাম যে, আমরা এইবার অন্যদিকে ঘুরতে যাবো। যেহেতু বাইক ছিল, তাই আমরা অন্য্ পাড়ার দিকে চলে গিয়েছিলাম। এরপর আমাদের মোটামুটি সামনে একটি বিদ্রোহী নামের ক্লাব এর প্যান্ডেলের ভাব্য দৃশ্য চোখে পড়লো। প্যান্ডেলের সৌন্দর্যতা যেন একপ্রকার মুগ্ধ করা ছিল। প্যান্ডেলের লাইটিং, উচ্চতা সবমিলিয়ে যেন কোনো প্যারিসের টাওয়ার দেখছিলাম সামনে। এর উচ্চতা অনেক হবে হিসেবে। এই মাঠের ভিতরে যেন আরো অনেক প্রকারের সৌন্দর্যতা ছিল। জলের ফোয়ারা বা ঝর্ণার মতো একধরণের প্রদর্শনী তারা তুলে ধরেছিলো।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
মোটামুটি লাইটিং এর মাধ্যমে একপ্রকার দারুন লাগছিলো। এইরকম উপর থেকে নির্দিষ্ট গতিতে জলের পড়ার দৃশ্যটা উপভোগ্যের বিষয়। এইসব দৃশ্য থাকলে পারিপার্শ্বিক সৌন্দর্যতা আরো বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে। প্যান্ডেলের বাহ্যিক ডিজাইনটা একপ্রকার দারুন লাগছিলো। যেন কোনো একটা বড়ো রাজপ্রাসাদের মতো বিষয়টা তুলে ধরেছে। তবে এর শুধু বাহ্যিক ঝলকটা দৃষ্টিনন্দন হওয়ার একটা কারণ হলো এই লাইটিং ইফেক্টটা। প্রতিটা প্যান্ডেলে, বিশেষ করে এই ধরণের প্যান্ডেলে তিন ধরণের লাইটিং ইফেক্ট ফেলাতে পারলে ভালো হয়। সবচেয়ে গোলাপি কালারের লাইট ইফেক্টটা বেশি সুন্দর লাগে বা ডিজাইনে ফুটে ওঠে ।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
তবে একটা বিষয় যে, এই প্যান্ডেলের বাইরের দিকে যেমন সৌন্দর্যতা ছিল, তার থেকে এর ভিতরের ডিজাইনের আকর্ষণীয়তা আমাকে বেশি মুগ্ধ করে তুলেছিল। ভিতরে ঢোকার মুহূর্তেই যে ডিজাইন দেখেছিলাম, তাতেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। উপরে ঝাড়বাতি ছিল অসাধারণ সৌন্দর্যপূর্ণ। এছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ডে বিভিন্ন নকশার ডিজাইন ছিল অসাধারণ চোখ ধাঁধানো। এছাড়া আরো চমকপ্রদ একটা ঝাড়বাতি ছিল একদম প্যান্ডেলের মাঝ বরাবর। আসলে প্যান্ডেলগুলোতে যেসব আকৃতির ঝাড়বাতি লাগায়, তার মূল আকর্ষণ থাকে ডিজাইনের ধরণের উপরে। এমনিতেই ঝাড়বাতির তো বিভিন্ন প্রকারের আকর্ষণ ছিল আর তার থেকে বেশি বেশি আকর্ষণীয় ব্যাপার ছিল তার চারিপাশের গণেশের মস্তকের ডিজাইনে। এরপর প্যান্ডেলের দেওয়ালে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের ডিজাইন, যা দেখতে মনোমুগ্ধকর লাগছিলো।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আসলে প্যান্ডেলের ভিতরে এই ধরণের ডিজাইন থাকলে যেতে আর ইচ্ছা হয়না, কারণ এইরকম মুগ্ধ করা দৃশ্যগুলো স্বল্প সময়ে দেখে মন ভরে না বলতে গেলে। এই পুজো কিন্তু মাঝেমধ্যে ফাস্টও হয়ে যায়। এইবারের চিন্তাধারায় যা দেখেছিলাম, তাতে কিছু না কিছু হয়েছে। তো যাইহোক, আসলে ভিতরের এইসব ডিজাইন মোটামুটি দেখে মায়ের মূর্তির কাছে চলে গিয়েছিলাম, কিন্তু মূর্তি দেখে মনে হচ্ছিলো, সোনা দিয়ে তৈরি করা, আসলে কালারটা এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছিল, যে সোনা না কি সেটা আর বোঝার বাইরে ছিল। আমরা মোটামুটি এইসব দেখে বাইরে চলে এসেছিলাম।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.