ওয়েব সিরিজ রিভিউ: তাকদীর ( পর্ব ৬ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'তাকদীর' ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "বরখেলাপ"। গত পর্বের শেষ দেখেছিলাম তারা বরফকল এর ভিতরে লাশ নিয়ে গিয়েছিলো। আজকে তার পরের থেকে কি ঘটনা সেটা দেখবো।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☬মূল কাহিনী:☬
তারা সবাই বরফকলের ভিতরে লাশ নিয়ে যাওয়ার পরে একটা লাশ কাটাকাটি করা লোককে নিয়ে আসে, কিন্তু সে আবার মাতাল টাইপ এর একটা লোক। যাইহোক, তারপরেও তাকে দিয়ে জোর করে কাটিয়ে নেয়, কিন্তু আসলে তার শরীরের যেখানে মেমোরি কার্ডটা থাকার কথা সেখানে কেউ খুঁজে পায় না। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও না পেলে সবার অবস্থাতো আরো খারাপ হয়ে যায়, কারণ বাঁচার একমাত্র উপায় ওই মেমোরি কার্ড, নাহলে সবাই ফেঁসে যাবে অর্থাৎ নির্দোষ লোকগুলো । এই মেমোরি কার্ডে একটা মেয়ের বয়ান রেকর্ড করা ছিল, যেটা আফসানা করেছিল চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে। মূলত একটা গ্রামে জোস্না নামক মেয়ের সাথে এই খারাপ ঘটনাগুলো ঘটেছিলো অর্থাৎ রেফ সম্বন্ধিত এই ঘটনা। আফসানা আর তার সহকারী রানা এরা দুইজন মিলে এই বয়ান রেকর্ড করেছিল লুকিয়ে। তবে এই ঘটনাটা কিছুদিনের মধ্যে চেয়ারম্যান জেনে যায় তার লোকের মাধ্যমে।
এই মেমোরি কার্ডটা নিয়ে প্রমাণস্বরূপ যাচ্ছিলোও ঢাকার উদ্দেশ্যে পুলিশের সাথে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। এখন তাকদীর সহ মন্টুর বক্তব্য এটাই যে এই মেমোরি কার্ড যখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তখন আরেকটা শেষ উপায় আছে, সেটা হলো এই মেয়ে যা যা বক্তব্য দিয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধে সেগুলো সে আবার এখানে এসে বলুক। কিন্তু তাদের কাছে রেকর্ড করার মতো ক্যামেরা ছিল না, তবে ছোট যে বাটন এর ফোন ছিল সেটা দিয়ে রেকর্ড করার কথা বলে। এখন এখানে আরেকটা সমস্যা তাদের সামনে আসে, যে এই মেয়েকে আবার পুলিশের পারমিশন ছাড়া সেখান থেকে নিয়ে আসা যাবে না। তাকদীর এর তো আরো বেশি মাথা গরম হয়ে যেতে লাগে এইসব বিষয় শোনার পরে। সে রেগে গিয়ে মন্টুকে বলে যে থানায় গিয়ে কথা বলতে আর রানার সাথে কথা বলিয়ে দিতে তারপর সে কিভাবে কি ম্যানেজ করবে সে বুঝুক। এদিকে চেয়ারম্যান এর একটা লোক গ্রামের দিকে গিয়ে মন্টুকে খুঁজতে লাগে।
আর তাদের উদ্দেশ্য ছিল সেই গাড়িটা খুঁজে বের করা। বাড়িতে মন্টুকে না পেলে গাড়ির দিকে নজর যায়, মানে গাড়িটা কভার দিয়ে ঢাকা কিন্তু তাও তার সন্দেহ হলে কভার সরিয়ে দেখে সেই গাড়ি। যাইহোক, এরপর মন্টু তার একজন বন্ধু বা ভাইকে ফোন করে তার সাথে থানায় যাওয়ার জন্য। তারা যাওয়ার পরে মন্টু নিজে না গিয়ে আরেকজনকে পাঠায় কথা বলার জন্য। এদিকে রানা তাকদীর-কে বলতে থাকে যে চেয়ারম্যান এর সাথে হাত মিলিয়ে নিতে, কিন্তু তারা আসলে এখন এই চোর পুলিশ খেলতে খেলতে এতো গভীরে চলে এসেছে যে যেখানে যাবো সেখানেই বিপদে পড়তে হবে অর্থাৎ একদিকে পুলিশ আর আরেকদিকে চেয়ারম্যান এর পোলাপান।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
এখানে ঘটনাটা এখনো এক জায়গাতেই আটকে আছে অর্থাৎ বরফকলের ওখান থেকে পরবর্তী কোনো স্টেপ নিতে পারেনি সেভাবে ঢাকার উদ্দেশ্যে পুলিশের কাছে। এখন তাদের মেইন উদ্দেশ্য হলো প্রমানটা ম্যানেজ করা। যেটা আসলে এই মেমোরি কার্ড এর মাধ্যমে সহজে সমস্যাটা মিটে যেত, সেইটা না পাওয়ায় এখন বিষয়টা আরো জটিলতায় ভরে গিয়েছে। এখন নতুন করে ওই মেয়েকে এখানে ডেকে নিয়ে আসা তারপর নতুন করে বয়ান নেওয়া আরেক ঝামেলা। তারপর আবার পুলিশের ঝামেলা তো আছেই। রানা আবার লুকিয়ে সেই লাশ কাটা লোকটার পকেট থেকে ফোনটা বের করে তার অফিসে ফোন করে সম্ভবত। কিন্তু বিষয়টা অতটা বোঝা যায়নি কার কাছে করেছে। এখন এই মেয়েকে কিভাবে নিয়ে আসছে পুলিশের পারমিশন নিয়ে আর বয়ান নিতে পারছে কিনা সেটা দেখার বিষয়।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮/১০
☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে দাদা অন্যান্য দিনের মতো এই ওয়েব সিরিজের পরের পর্বের রিভিউ ও অনেক সুন্দর ছিল। তাকদীর ওয়েব সিরিজের প্রত্যেকটা পর্ব আমার পড়া হয়েছে। আর আজকের পর্ব টা দেখে এবং পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এখানে তো দেখছি মেমোরি কার্ড টি কোথাও পাওয়া যায়নি, আর তারা ওই মেয়েটাকে নিয়ে গিয়ে আবারো বয়ান নেওয়ার চেষ্টা করতেছে এখন। আমি তো ভাবছি সেই মেয়েটার কাছ থেকে বয়ান নিতে পারবে নাকি পারবে না তারা। এখন এইটা দেখার জন্য আমার অনেক বেশি আগ্রহ জেগেছে। লাশটা তুলেও কোন লাভ হয়নি। আসল যে কারণে উঠিয়েছিল সেই জিনিসটাই তো পাওয়া গেল না। দাদা এই ওয়েব সিরিজের পর্বের রিভিউ গুলো অনেক বেশি বৃদ্ধি হচ্ছে এবং যত পড়ছি ততই রহস্য বেধে যাচ্ছে একে একে। অনেক বেশি ভালো লেগেছে দাদা আমার কাছে আপনার ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্ব। দেখা যাক তাহলে পরবর্তী পর্বে কি হয় তা।
দাদা কাহিনীটা এখনো বরফকলের মধ্যেই আটকে আছে। সেখান থেকে তারা কখন বের হতে পারে সেটা এখনো কিছু বুঝা যাচ্ছে না। আবার মেমোরি কার্ড ছাড়া সমস্যা টা সহজে সমাধান হচ্ছে না। এখন আবার নতুন করে ওই মেয়ের জবানবন্দি নিতে হবে। সেটা আবার অনেক জটিল কাজ। কিভাবে কি হবে সেটা কিছুই বুঝা যাচ্ছে না। একটা জামেলা থেকে মুক্ত হতে চাইলে আরো দশটা জামেলা এসে হাজির হয়। দেখা যাক পরের পর্বে আমরা কি দেখতে পারি। তাকদীর মুভিটা আমার দেখা হয়নি। আপনার মাধ্যমে রিভিউ পরে মোটামুটি মুভিটা সম্পর্কে আমার ধারনা হয়ে গেছে। সে জন্য আপনাকে একবার ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার। ধন্যবাদ।
'তাকদীর' ওয়েব সিরিজের ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। যদিও ঘটনা খুব একটা এগিয়ে যায়নি। সেই তখন থেকে এখনো লাশের চারপাশেই ঘুর পাক খাচ্ছে। তবে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছে যে কোন ভাবেই হোক মেমোরি কার্ডটা খুঁজে বের করার। আসলে তারা পুরোপুরি ভাবে ফেসে গেছে। সাংবাদিক আফসানা মেমোরি কার্ডটা কোথায় লুকিয়ে রেখেছে তারা বুঝতেই পারছে না। তাই তো লাশ কাটার জন্য সেই মাতাল লোকটিকে নিয়ে আসে। কিন্তু তারা তো বুঝতে পারছিল না কি করে কি করবে। কারণ সেই মেমোরি কার্ডে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। গ্রামের মেয়ে জোস্না আর সে তার সাথে হওয়া অন্যায়ের সব প্রমাণ সাংবাদিক আফসানাকে দিয়ে দিয়েছিল এবং তার জবানবন্দি দিয়েছিল। কিন্তু এখন যেহেতু সেই মেমোরি কার্ডটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাই নিরীহ কিছু লোক এর মধ্যে ভেসে গেছে। আর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সব প্রমাণ গুলো সেই মেমোরি কার্ড এর মাঝে লুকিয়ে আছে। এখন নতুন করে আবার সেই জবানবন্দী নেওয়া হবে কিনা সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
দাদা এই কয়েকদিন তাকদীর ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আর আপনি আজকে ওয়েব সিরিজটির পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। গত পর্বে দেখেছিলাম তারা বরফকলের ভিতরে লাশ নিয়ে গিয়েছিল। আর এর পর থেকে যে ঘটনা ঘটেছিল তা অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আপনি। সত্যি দাদা আজকের পর্বটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ওই মেয়েটার নতুন করে বয়ান নেওয়া কিন্তু অনেক বড় জটিল ব্যাপার। আর তারা কি পারবে মেয়েটার বয়ান নিতে। তারা অনেক চেষ্টা করেছে সেই মেমোরি কার্ড খুঁজে বের করার কিন্তু তারা খুঁজে পায়নি কোথাও। কার্ডটি যদি পাওয়া যেত তাহলে তাদের হাতে বড় একটা প্রমাণ থাকতো। আর সেই প্রমাণ নিয়ে তারা সবকিছু সামলে নিতে পারত। আমি তো অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি পরবর্তী এপিসোড দেখার জন্য। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বটা শেয়ার করবেন। আর তার মধ্যে আরো কিছু বিষয় ক্লিয়ার হবে।