এলিমিনেটর ম্যাচে মুম্বাইয়ের ব্যাটিং তান্ডব

in আমার বাংলা ব্লগ15 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

ChatGPT Image May 31, 2025, 03_30_12 AM.png

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল এলিমিনেটর ম্যাচ ছিল আইপিএল এর। এই ম্যাচে গুজরাট মুম্বাইয়ের ম্যাচ ছিল। তবে তার আগে ব্যাঙ্গালুরু আর পাঞ্জাবের মধ্যে একটি কোয়ালিফাই ম্যাচ হয়ে গেছে। আর এই ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু সরাসরি ফাইনালে পৌঁছে গেছে। প্রথম দিকে থাকলে এই একটা সুবিধা যে, জিতলে সরাসরি ফাইনালে আর হারলে পরে আরেকটা ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকে। ফলে পাঞ্জাব আরেকটা সুযোগ পেলো। কিন্তু ম্যাচটা বেশি ভালো হয়নি, কারণ পাঞ্জাবকে একদম কোনঠাসা করে ফেলেছিলো। যাইহোক, গতকালকের ম্যাচটা সব থেকে বেশি ভালো হয়েছিল। গুজরাটও যেমন প্রথম থেকে একদম হাই ভোল্টেজে প্রত্যেক ম্যাচ খেলে এসেছে আবার মুম্বাই প্রথম দিকে এতো হারা সত্বেও শেষের দিকে প্রায় সব ম্যাচ জিতে দারুন রিকোভার করেছে।

সেই হিসেবে এই ম্যাচটাও চন্ডিগড়ের মাঠে খেলা হয়েছিল আর মুম্বাই টসে জিতে আগে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মুম্বাই আসলে শুরুটা মোটামুটি করলেও তেমন একটা সুবিধার ছিল না, কারণ প্রথম দিকে এতো ক্যাচ উঠেছে, সেটা বলার মতো না। কারণ এক রোহিতের ক্যাচ উঠেছে কমপক্ষে ৩ টা। কিন্তু কপাল ভালো যে, একটা ক্যাচও গুজরাট ধরতে পারেনি। আর রোহিত এর এতবার ক্যাচ মিস মানে, রান কোথায় গড়াবে, সেটা আর বলার উপেক্ষা রাখে না। এই ম্যাচে আবার বেয়ারস্টোকে নামিয়েছিল, হিসেবে বেয়ারস্টো একজন ভালো ব্যাটার। দুইজনেই ওপেনে যা শুরু করেছিল, তাতে রীতিমত বিপক্ষ টিমে একটা চিন্তার ছাপ পড়ে গিয়েছিলো। রান রেট একদম চরম পর্যায়ে, প্রতি ওভারে সাড়ে ১২ থেকে ১৩ গিয়েছিলো।

বেয়ারস্টো পরে পড়ে গেলেও রোহিত মোটামুটি ছিল বেশ খানিক্ষন, রোহিত শর্মার এই ৮১ রান অনেক বড়ো ভূমিকা রেখেছে মুম্বাইয়ের দলগত রানের মধ্যে। মূলত এই যে মুম্বাইয়ের ২০০+ রানের এক বড়ো ধাক্কা, তার মূল প্রতিফলন ঘটিয়েছে এই দুইজন। বাকি পরে যারা এসেছে, তারা টুকিটাকি রান করে চলে গিয়েছে, তাও কম বল খেলে বেশি রান করে গিয়েছে। যাইহোক, বিশাল একটা বড়ো রানের সম্মুখীন করে দিয়েছিলো গুজরাটের। গুজরাট যদিও বেশ ভালো খেলছিল, বিশেষ করে সাই সুদর্শন। গিল আসল জায়গায় খেলতে পারলো না, কারণ এই ম্যাচে তার ব্যাটিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা প্রয়োজন ছিল। নতুন একজন কুশল মেন্ডিসকে নামালো, কিন্তু তার দিক থেকেও তেমন কোনো ফলাফল পাওয়া গেলো না, যদিও সে একজন ভালো ব্যাটসম্যান।

তবে এই ম্যাচের সম্পূর্ণ হাল ধরেছিলো সাই সুদর্শন আর তার সাথে একজন সঙ্গ দিয়েছিলো ওয়াশিংটন সুন্দর। তবে ওয়াশিংটন সুন্দরের আউটটা মারাত্মক ছিল, জেনুইন ইয়র্কার। তবে যা ব্যাটিং করে দিয়ে গেছিলো, তা অসাধারণ ছিল। এতে এক দিক থেকে সাই সুদর্শনের উপকারী হয়েছিল। কারণ ওখানে ওই মুহূর্তে ওই পার্টনারশীপ না বিল্ড হলে, অনেক আগেই হেরে বসতো। এই ম্যাচটা একপ্রকার জিতিয়ে আনার পর্যায়ে এনেছিল, কিন্তু ওখানে সাই সুদর্শনের ফ্লপ শর্টের কারণে একটা ভুলভাল আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচের মোড়টাই যেন চেঞ্জ হয়ে গেলো।

এখানে এই ম্যাচের হাল আর তেমন কেউ ধরার মতো ছিল না, রাদারফোর্ডও ছিল ভরসা। কিন্তু সেও পড়ে যাওয়ায় ম্যাচ ওখানেই শেষ হয়ে গেছে একপ্রকার। তবে একটা ইন্টারেষ্টিং যে, গুজরাট একদিকে যেমন এই ম্যাচে খারাপ ফিল্ডিং করেছে। তেমনি মুম্বাই ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং সব মিলিয়ে একটা দারুন কামব্যাক তৈরি করে ফেলেছে। লাস্ট আরেকটা পাঞ্জাবের সাথে জিততে পারলে সোজা ফাইনালে দুই বন্ধু ( কোহলি-রোহিত )।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.